ভাস্বর চট্টোপাধ্যায়
অতিমারিও রুখতে পারছে না ভাস্বর চট্টোপাধ্যায়কে। কলকাতায় বসে কাশ্মীরের এক দুঃস্থ পরিবারের মেয়ে সফিয়া নবির বিয়ে দিচ্ছেন তিনি। কী ভাবে? মেয়েটির পরিবারকে মোটা অঙ্কের অর্থ সাহায্য করে। সব ঠিক থাকলে ৫ জুন, শনিবার চার হাত এক হবে। আনন্দবাজার ডিজিটালের কাছে অভিনেতার দাবি, ‘‘বুধবার রাতে অনলাইনে উর্দুতে লেখা নিমন্ত্রণ পত্র পেয়েছি। যাওয়ার উপায় নেই। ইচ্ছে ছিল, বিয়ের ‘জোড়া’ পাঠাব। ডাক পরিষেবার অনিয়মের কারণে সেটিও সম্ভব হচ্ছে না। তবে কার্ড হাতে পাওয়ার পর আনন্দে চোখে জল এসে গিয়েছিল।’’
কী ভাবে সম্ভব হল এত কিছু? ভাস্বরের কথায়, ‘‘আমার কাশ্মীরি ক্রিকেটার বন্ধু সইম মুস্তাফা এই পরিবারটির কথা জানান। ওঁর থেকে জানতে পারি সফিয়ার বাবা স্থানীয় ফল বিক্রেতা। আগে এঁরা বর্ধিষ্ণু পরিবার ছিলেন। ২০১৯-এ ৩৭০ ধারা জারি হতেই অর্থনৈতিক ভাবে প্রথম ধাক্কা খায় পরিবারটি। ব্যবসায় মন্দা দেখা দেয় তখন থেকে।’’ সফিয়ারা ৪ বোন ১ ভাই। ভাস্বরের জানালেন, হিন্দু নিম্নবিত্ত পরিবারে মেয়ের সংখ্যা বেশি হলে যে সমস্যা, কাশ্মীরেও ঠিক তাই। তার মধ্যেই গত বছর সফিয়ার বাবা তাঁর বড় মেয়ের বিয়ে দেন। সেই সময় পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছিল ভাস্বরের বন্ধু সইমের স্বেচ্ছ্বাসেবী সংস্থা ‘ফেইথ’। এ বারেও সংগঠন সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে।
কাশ্মীরি বন্ধুর থেকে গোটা ঘটনা জানার পরেই এই কর্মকাণ্ড থেকে দূরে থাকতে পারেননি অভিনেতাও। তখন কাশ্মীরি মেয়েটির আধার কার্ডের নকল শংসাপত্র ভাস্বরের হাতে তুলে দিয়েছিলেন তাঁর বন্ধু। সেখানে যোগাযোগ নম্বরও ছিল। মেয়েটির সঙ্গে কথা বলে অভিনেতা জানতে পারেন, অর্থকষ্টের কারণে এবং অতিমারির জন্য খুবই সংক্ষিপ্ত ভাবে বিয়ের অনুষ্ঠান পালিত হবে। রীতি মেনে তামার গয়না আর সামান্য পোশাক দেওয়া হবে মেয়েকে। অর্থের অভাবে কাটছাঁট হবে কাশ্মীরি বিয়ের বিশেষ খাওয়াদাওয়া ‘ওয়াজওয়ান’-এও। অভিনেতার পাশাপাশি তাঁর অনুরোধে কলকাতার আরও অনেকেই অর্থ সাহায্য পাঠিয়েছেন। সাহায্যকারীদের আর্জি, ভাস্বর যেন দায়িত্ব নিয়ে সংগৃহীত অর্থ সফিয়ার পরিবারকে পাঠিয়ে দেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy