(বাঁ দিক থেকে) হিমাংশু ধানুকা, ফিরদৌসুল হাসান এবং স্বরূপ বিশ্বাস। ছবি: সংগৃহীত।
বুধবার ইম্পা এবং ফেডারেশনের যৌথ বৈঠকে টলিপাড়া সুষ্ঠু ভাবে পরিচালনার জন্য বেশ কয়েকটি প্রস্তাব রাখা হয়েছে। সেখানে ফেডারেশনে তরফে সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাস জানান, অনেক সময়েই প্রযোজকেরা কলাকুশলীদের বকেয়া পারিশ্রমিকের টাকা মেটান না। তাই আগামী দিনে প্রযোজকদের ছবির কাজ শুরুর আগে ইম্পার কাছে ৫ লক্ষ টাকা জমানত হিসেবে রাখার প্রস্তাব দেওয়া হয়। বিষয়টি নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা।
সমাজমাধ্যমে অনেকেই দাবি করেছেন, এই ধরনের নিয়ম চালু হলে ছোট প্রযোজকেরা সমস্যায় পড়বেন। হাতেগোনা কয়েক জন প্রযোজক ছাড়া এই শর্ত মানতে পারবেন না কেউই। ছবি তৈরির আগে কী ভাবে ৫ লক্ষ টাকা জমা রেখে শুটিং শুরু করবেন, তা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন। পরিচালক সুব্রত সেন যেমন ফেসবুকে লেখেন, “আমি ইম্পার সদস্য। ছোট ছোট স্বাধীন ছবি বানিয়ে থাকি। আমার উপায় নেই, ৫ লাখ জমা রেখে ছবি বানানো সম্ভব না। আমি বাধ্য হয়ে ইম্পার সদস্যপদ ছাড়ব।”
প্রযোজক ফিরদৌসুল হাসানের মতে, এই টাকা জমা রাখতে হলে সেই সংক্রান্ত নিয়মকানুন আরও স্পষ্ট হওয়া উচিত। বললেন, “কারও পারিশ্রমিক বাকি রাখা উচিত নয়। কিন্তু কোনও এক জন প্রযোজক টাকা মেটাননি বলে, অন্যদের উপর শর্ত চাপিয়ে দেওয়া হবে, এটা কোনও আইন হতে পারে না।” ফিরদৌসুলের মতে সিনেমা তৈরির প্রক্রিয়া দাবা খেলা নয়, বরং ফুটবল খেলার মতো। তাই সকলের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। তিনি বললেন, “এই প্রস্তাবে ফেডারেশন তাদের সুরক্ষার কথা ভেবেছে। আমাদের কথা কে ভাববে?” ‘পদাতিক’ ছবির প্রযোজকের মতে, জমানত জমা রাখতে হলে বিনিময়ে তাঁকেও কিছু সুবিধা দিতে হবে। বললেন, “ছবি না চললে আমরা কি অভিনেতার থেকে পারিশ্রমিক ফেরত চাই? তা হলে তো আমরাও যদি আগামী দিনে অভিনেতাদের কাছে পারিশ্রমিকের বিনিময়ে ছবি সাফল্যের গ্যারান্টি দাবি করি!” একই সঙ্গে ফিরদৌসুলের দাবি, জমানত রাখলে সে ক্ষেত্রে প্রযোজককেরও পছন্দ অনুযায়ী কলাকুশলী নির্বাচনের স্বাধীনতা থাকা উচিত।
ফেডারেশনের প্রস্তাবকে ঘিরে ইম্পার তরফে প্রযোজকদের সঙ্গে কোনও বৈঠক করলে বিষয়টি আরও স্পষ্ট হতে পারে বলেই মনে করছেন প্রযোজক হিমাংশু ধানুকা। তাঁর কথায়, “অনেক প্রযোজক যেমন পারিশ্রমিক না দিয়েই গায়েব হয়ে যান। অন্য দিকে ভাল প্রযোজকও তো রয়েছেন। তাই এই ধরনের কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সকলে মিলে বসে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।” ইন্ডাস্ট্রির উন্নতির স্বার্থে পরিবর্তনের পক্ষে হিমাংশু। তাঁর মতে, যে কোনও আইন যেন সব পক্ষকে মাথায় রেখে তৈরি হয় সেটাও খেয়াল রাখা উচিত। বললেন, “একের পর এক নিয়ম তৈরি হচ্ছে, অথচ কেউ জানতে পারল না, এ রকম যেন না হয়। নিয়মগুলি যেন মৌখিক না হয়, সে দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। তা হলে ভবিষ্যতে নতুন প্রযোজকদেরও সুবিধা হবে।”
ইম্পার সভাপতি পিয়া সেনগুপ্ত অবশ্য বৃহস্পতিবার সমাজমাধ্যমে এই প্রস্তাব এবং সেই সংক্রান্ত বিতর্ক নিয়ে কথা বলেছেন। জানিয়েছেন, এখনও ইম্পার তরফে ফেডারেশনের প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়নি। পিয়ার কথায়, “প্রস্তাব যে কেউ দিতে পারে। কিন্তু প্রযোজকদের সঙ্গে কথা না বলে ইম্পার তরফে কোনও সিদ্ধান্তও নেওয়া হবে না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy