(বাঁ দিক থেকে) শর্মিলা, সুমন, মিঠুন ও সৌমিত্র। ছবি: সংগৃহীত।
সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে তিনি পাঁচটি ছবি করেছেন। শর্মিলা ঠাকুরের সঙ্গে একটি (‘পুরাতন’) ও মিঠুন চক্রবর্তীর (‘নোবেল চোর’ ও ‘কাবুলিওয়ালা’) সঙ্গে দুটি ছবি। তিন অভিজ্ঞের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা কী রকম? তাঁদের মিলই বা কোথায়? জানালেন সুমন ঘোষ।
সম্প্রতি, দু’দিনের জন্য শহরে এসেছিলেন শর্মিলা। উপলক্ষ, ‘পুরাতন’ ছবির ডাবিং। রবিবার সমাজমাধ্যমে বর্ষীয়ান অভিনেত্রীর ডাবিংয়ের ছবি পোস্ট করেছেন সুমন। একই সঙ্গে তিনি সৌমিত্র এবং মিঠুনের ডাবিংয়ের ছবিও পোস্ট করেছেন। তিন শিল্পীর সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে বেশ কিছু মিল খুঁজে পেয়েছেন সুমন। তিনি বললেন, ‘‘এই বয়সেও অভিনয়ের ক্ষেত্রে তাঁদের ডেডিকেশন এবং নিয়মানুবর্তিতা অতুলনীয়। চরিত্রের জন্য সময় নিয়ে প্রস্তুতি থেকে কল টাইমে ফ্লোরে আসা— সত্যিই সবটাই শিক্ষণীয়।’’
সুমনের মতে, বাংলা ছবির তিন দিকপাল অভিনেতাকে নিয়ে সংক্ষেপে আলোচনা করা সম্ভব নয়। পরিচালক তিন জনের ডাবিংয়ের ছবি পোস্ট করেছেন, সেই সূত্র ধরে তিন শিল্পীর ডাবিংয়ের প্রসঙ্গ তুললেন সুমন। জানালেন, তিন জনের ডাবিংয়ের কৌশলে বিশেষ মিল রয়েছে। বললেন, ‘‘ইংরেজিতে নয়, ওঁদের তিন জনকেই কিন্তু ডাবিংয়ের সময় বাংলায় সংলাপ লিখে দিতে হয়। বিশেষ করে, শর্মিলা এবং মিঠুন তো ইংরেজি চিত্রনাট্য দেখলেই রেগে যান।’’
সুমন তাঁর পোস্টে লিখেছেন, ‘‘তিন জনের সঙ্গে কাজ করে গর্বিত। এ বার আমি অবসর গ্রহণ করতে পারি।’’ তিনি কি সত্যিই অবসরের কথা ভাবছেন? সুমন হেসে বললেন, ‘‘ওটা মজা করে লিখেছি। আমি শ্রীরামপুরের ছেলে। আমার পরিবারের কেউই সিনেমাজগতের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। তাই কোনও দিন ভাবিইনি, এঁদের সংস্পর্শে আসতে পারব।’’
‘পুরাতন’-এর পোস্ট প্রডাকশন ও ডাবিংয়ের কাজ শেষ করেছেন সুমন। জানালেন, খুব শীঘ্রই ছবি মুক্তির দিনক্ষণ প্রকাশ করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy