(বাঁ দিকে) শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। ‘বহুরূপী’ ছবিতে অভিনেতার লুক। ছবি: সংগৃহীত।
গত বছর পরিচালক হিসেবে পুজোয় তাঁর ছবি মুক্তি পেয়েছিল। চলতি বছরে পুজোয় মুক্তি পাচ্ছে শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের অভিনীত ছবি ‘বহুরূপী’। পুজো এগিয়ে আসছে। শহরে বাড়ছে পরিচালক অভিনেতার ছবি-সহ পোস্টারের সংখ্যাও। সোমবার দক্ষিণ কলকাতার নবীনা সিনেমা হলের বাইরে নিজের ‘ক্যারেক্টার পোস্টার’ দেখে আবেগপ্রবণ শিবপ্রসাদ।
প্রেক্ষাগৃহের বাইরে পোস্টারের তোলা ছবি সমাজমাধ্যমে ভাগ করে শিবপ্রসাদ লেখেন, “৩০ বছর সময় লাগল পুজোয় আমার অভিনীত ছবি মুক্তি পেতে। পোস্টার পড়ল হলে। ধন্যবাদ নন্দিতা রায়। ধন্যবাদ নবীনা সিনেমা।” ১৯৯৭ সালে মুক্তি পায় শিবপ্রসাদ অভিনীত প্রথম ছবি ‘চার অধ্যায়’। আনন্দবাজার অনলাইনের তরফে যোগাযোগ করা হলে পরিচালক জানালেন, ১৯৯৪ সালে তিনি টলিপাড়ার প্রথম কাজ শুরু করেন। শিবপ্রসাদের কথায়, “রাজা দাশগুপ্তের ‘একুশে পা’ ধারাবাহিক ছিল আমার প্রথম কাজ।” তার পর নন্দিতা রায় এবং নীতীশ রায়ের সঙ্গে ধারাবাহিক ভাবে কাজ করতে শুরু করেন শিবপ্রসাদ। পরিচালক বললেন, “সেই সময় আমাকে নিয়ে ছবি তৈরি হবে বা সেই ছবি পুজোয় মুক্তি পাবে, এ রকম কোনও ভাবনাও আমরা ছিল না।”
শিবপ্রসাদ মনে করেন পশ্চিমবঙ্গের যে কোনও অভিনেতারই স্বপ্ন, পুজোয় তাঁর কোনও ছবি মুক্তি পাবে। পরিচালকের কথায়, “নন্দিতা রায়ের হাত ধরে এ বার আমার সেই আশা পূর্ণ হল।” অভিনেতা হিসেবে তাই এই বছরের পুজোও তাঁর কাছে তাৎপর্যপূর্ণ। শিবপ্রসাদের কথায়, “আমি খুব খুশি। ‘বহুরূপী’তে যে চরিত্রে অভিনয় করেছি, সেটা যে কোনও অভিনেতার কাছেই অত্যন্ত লোভনীয়।” এই সুযোগের নেপথ্যে ঈশ্বর এবং তাঁর মায়ের আশীর্বাদের কথাও আলাদা ভাবে উল্লেখ করলেন শিবপ্রসাদ। তাঁর কথায়, “না হলে, এক জীবনে কোনও অভিনেতা ‘অ্যাক্সিডেন্ট’, ‘কণ্ঠ’ এবং ‘বহুরূপী’র মতো ছবি পায় না। এটা খুবই বিরল একটা ঘটনা।”
তবে শুধু নিজের কথা নয়, একই সঙ্গে দর্শকের জন্যও বিশেষ বার্তা দিলেন শিবপ্রসাদ। তাঁর কথায়, “অভিনেতা হিসেবে বার বার দর্শকের প্রত্যাশা পূরণের চেষ্টা করেছি। সেখান থেকে বলতে পারি, ‘বহুরূপী’ তাঁদের সব প্রত্যাশা পূরণ করবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy