(বাঁ দিক থেকে) সত্যম ভট্টাচার্য, সন্দীপ্তা সেন এবং সুহোত্র মুখোপাধ্যায়। ছবি: সংগৃহীত।
৬৩ বছর পর বড় পর্দায় ফিরতে চলেছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘মণিহারা’। ১৯৬১ সালে রবীন্দ্রনাথের জন্মশতবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা জানিয়ে সত্যজিৎ রায় তৈরি করেছিলেন ‘তিন কন্যা’। তাঁর তিনটি ছোট গল্পের নায়িকা রতন, মণিমালিকা আর মৃন্ময়ীকে নিয়ে নির্মিত সেই ছবি আজও ভারতীয় চলচ্চিত্র জগতের পথপ্রদর্শক। ২০২৪ সালে ফের জানা গেল পর্দায় ফিরবে মণিমালিকা ও ফণিভূষণ। এ বারের ‘মণিহারা’র সঙ্গেও থাকছে অন্য দু’টি ছবি। তবে সেগুলি রবীন্দ্রনাথের গল্প থেকে উঠে আসবে না। বরং এ বার এই ত্রয়ীর সংযোগ সূত্র ভূত।
কয়েক বছর আগে ‘বল্লভপুরের রূপকথা’ ছবিটির মাধ্যমে দর্শকমহলে নিজের স্বতন্ত্র পরিচিতি তৈরি করেছিলেন অভিনেতা সত্যম ভট্টাচার্য। আরও এক বার সাহিত্যনির্ভর ভূতের ছবিতে অভিনয় করতে চলেছেন অভিনেতা। পরিচালক জুটি কাকলি ঘোষ এবং অভিনব মুখোপাধ্যায় তৈরি করছেন ছবিটি। থাকছে একাধিক চমক।
আপাতত এই ছবিটির শিরোনাম রাখা হয়েছে ‘ভূত ও পূর্ব’। ছবিতে থাকবে তিনটি গল্প। তার জন্য বাংলা সাহিত্যের তিনটি জনপ্রিয় গল্পকে বেছে নিয়েছেন পরিচালকদ্বয়। রবীন্দ্রনাথের ‘মণিহারা’র পাশাপাশি থাকছে তারাদাস বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘তারানাথ তান্ত্রিক’ সিরিজ়ের একটি গল্প এবং মনোজ সেনের ‘শিকার’। সূত্রে খবর, ছবিতে ভিন্ন সময়ের তিনটি গল্পের মধ্যে একটি যোগসূত্রও থাকবে।
নতুন ‘মণিহারা’ গল্পে ফণিভূষণের চরিত্রেই অভিনয় করছেন সত্যম। মণিমালিকার চরিত্রে রয়েছেন অমৃতা চট্টোপাধ্যায়। অন্য দিকে তারানাথ তান্ত্রিক এবং মাতু পাগলির চরিত্রে রয়েছেন সপ্তর্ষি মৌলিক এবং রূপাঞ্জনা মিত্র। ‘শিকার’ গল্পে রয়েছেন সুহোত্র মুখোপাধ্যায় এবং সন্দীপ্তা সেন।
আরও এক বার ভূতের ছবিতে অভিনয় করবেন সত্যম। তবে কাহিনি আলাদা বলে তিনি চিন্তিত নন। বললেন, ‘‘কাকলি এবং অভিনব থিয়েটারে জগতের মানুষ। খুব অন্য ভাবে চিত্রনাট্যকে ভেবেছেন। আশা করি ছবিটা দর্শকের পছন্দ হবে।’’ সম্প্রতি ছবির জন্য অভিনেতাদের লুক সেটও করা হয়েছে। আগামী ১৫ নভেম্বর থেকে বোলপুরে ছবির আউটডোর শুরু হবে। তার পর শহরের একাধিক লোকেশন জুড়ে হবে ছবি শুটিং।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy