ট্রোলড হলেন ‘দেবী শতাক্ষী’ ঊষসী রায়!
এক দেখাতে মনে হতেই পারে, বুঝি কুমোরটুলির দৃশ্য। সোনার বরণ দেবী প্রতিমা তৈরি হচ্ছে। পরক্ষণেই দৃশ্যপট চেঞ্জ।
এ কি কৈলাসের মানস সরোবর?
ওই যে দূরে, স্বয়ং ‘মহাদেব’ মুঠোফোনে কথায় ব্যস্ত! রয়েছেন মা দুর্গার ভিন্ন রূপ ভ্রামরী, রক্তদন্তা, শতাক্ষী, পার্বতীও। ব্রহ্মার চোখে আবার চশমা!
ভুল ভাঙবে সুরকার উপালি চট্টোপাধ্যায়ের বর্ণনায়। পুরোটাই জি বাংলার ‘দুর্গা সপ্তশতী’র সেট! ভরতলক্ষ্মী স্টুডিয়োর ভিতরে একপাশে কুমোর চক্ষুদান করছেন দেবীর। মেকআপ রুমে ‘নকল’ দেব-দেবীদের ভিড়। মুখে মাস্ক এঁটে শেষ মুহূর্তে যন্ত্রের মতো হাত চলছে টেকনিশিয়ানদের। শুটের ফাঁকে প্রত্যেক অভিনেতা ঝালিয়ে নিচ্ছেন নিজের অংশ। টুকরো দৃশ্যগুলিই চ্যানেলের মহালয়া পর্বের বিশেষ অনুষ্ঠানের নেপথ্য কাহিনি। যা আগের দিন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল।
‘দুর্গা সপ্তশতী’র শুটিংয়ের ছবি ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়।
শো তৈরি করতে গিয়ে আর কী হল? দেখা গেল, ডাবিং রুমে ভয়েস দিচ্ছেন অভিনেতা সব্যসাচী চক্রবর্তী। ক্যামেরা তারপরেই প্যান করে ফ্লোরে। যেখানে ক্যামেরা, রোল, অ্যাকশন বলতেই একে একে নিজের ভূমিকায় ‘পার্বতী’ দিতিপ্রিয়া রায়, ‘শতাক্ষী’ ঊষসী রায়, ‘ভ্রামরী’ স্বস্তিকা দত্ত, ‘মহাদেব’ অভিষেক বসু, ‘অসুর’ নীল চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ। অভিনয়ে নামার আগে সবাই দেবীকে প্রণাম জানিয়ে নিচ্ছিলেন। এরই মাঝে ট্রোলড ‘দেবী শতাক্ষী’ ঊষসী রায়! সোশ্যাল মিডিয়ায় নেটাগরিকদের মন্তব্য, মা দুর্গার সারা গায়ে কবে এত চোখ ছিল! ভুল ভাঙিয়েছেন মানালি মনীষা দে, শ্রুতি দাস, সায়ক চক্রবর্তী। তাঁরা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন, দেবীর একটি রূপশতাক্ষী। দেবী দুর্গা নন।
আরও পড়ুন: প্রেক্ষাগৃহ খুললে এই পুজোতেই আসছে ‘মায়াকুমারী’?
এত জনকে এত রকম সাজানো চাট্টিখানি কথা? পুরো দায়িত্ব সামলেছেন স্যান্ডি। এ দিকে আর এক কাণ্ড! দেবী ভ্রামরীর সঙ্গে আড্ডায় মজেছেন অসুর! পোজ দিয়ে সেলফিও তুলছেন তাঁরা। রেকর্ডিং রুমে তখন রক্তবীজের কণ্ঠের গান গাইছেন দুর্নিবার সাহা। নিজেই জানালেন সে কথা। দেখা গিয়েছে মহালয়ার কোরিওগ্রাফার রিকি চক্রবর্তী, অদিতিকেও। আবহ রেকর্ডিং করতে করতেই উপালি জানালেন, গান আর চিত্রনাট্য রঙ্গন চক্রবর্তীর। ততক্ষণে তিরধনুক, তলোয়ারে শেষ শান, থুড়ি পালিশ দিতে ব্যস্ত কিছু টেকনিশিয়ান। কয়েক জন গুছিয়ে তুলছেন দেবদেবীদের পোশাক।
আরও পড়ুন: ‘পুশ পূজা পুশ!’ প্রথম সাধে অভিনেত্রীকে পরামর্শ আত্মীয়দের
এ ভাবেই কপালে ঘাম, মুখে হাসি নিয়ে সবাই মেতেছিলেন মহালয়ার অনুষ্ঠানে। রাত পোহালেই শোনা যাবে, ‘আশ্বিনের শারদ প্রাতে, বেজে ওঠে মঙ্গল শঙ্খ...!’ পর্দায় জেগে উঠবেন দেবদেবীরা। সারা বছর এঁদের অপেক্ষাতেই যে থাকেন আট থেকে আশি!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy