হৃিতক
নিজের বায়োপিক তৈরির জন্য আনন্দ কুমারের দিক থেকে বেশ তাড়া ছিল। ছবিটি কী ভাবে হবে, কবে হবে— সবটা নিয়ে তিনি নির্মাতাদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। আসলে চাইছিলেন, সুস্থ থাকতে থাকতে ‘সুপার থার্টি’ ছবিটি যেন মুক্তি পায়। ব্রেন টিউমরে আক্রান্ত আনন্দ চেয়েছিলেন পর্দায় নিজের জার্নি দেখতে। কারণ তাঁর কথায়, ‘‘জীবন আর মৃত্যু একেবারেই অনিশ্চিত!’’
শুক্রবার মুক্তি পাচ্ছে হৃতিক রোশন অভিনীত ‘সুপার থার্টি’। তাঁর চরিত্রটি যেন হৃতিকই করেন, এটাও চেয়েছিলেন আনন্দ। ২০১৪ সালে ধরা পড়ে আনন্দের ব্রেন টিউমর আছে। প্রথমে ডান দিকের কানে কম শুনতে থাকেন তিনি। ডাক্তারি পরীক্ষায় কানের কোনও সমস্যা ধরা পড়ে না। কিন্তু টিউমারের কথা জানান ডাক্তাররা। দিল্লি-মুম্বইয়ের বড় হাসপাতালে যোগাযোগ করেন আনন্দ। ডাক্তারদের বক্তব্য, আনন্দ অ্যাকিউস্টিক নিউরোমায় আক্রান্ত। অপারেশন করা হলেও, তাঁর সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা কম। অস্ত্রোপচারে সামান্য এ দিক-ও দিক হলে তাঁর মুখের আকার, চোখের দৃষ্টি সব কিছুর উপরে প্রভাব পড়তে পারে। আনন্দ এখনও চিকিৎসার মধ্যেই রয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘‘প্রতি ছ’মাস অন্তর একটা ট্রিটমেন্টের মধ্য দিয়ে যেতে হয় আমাকে। জীবিত অবস্থাতেই নিজের বায়োপিক দেখে যেতে চাইছিলাম।’’ তাঁকে অনেকেই প্রশ্ন করছিলেন, এত কম বয়সে কেন তিনি নিজের বায়োপিকে রাজি হলেন? ‘‘সকলে ভাবছে আমার এখনও অনেকটা পথ চলা বাকি। কিন্তু বাস্তবে কী হবে কেউ জানে না,’’ বক্তব্য আনন্দের।
‘আনন্দ’ ছবিতে রাজেশ খন্নার সংলাপ ছিল ‘‘বাবুমশাই জ়িন্দেগি লম্বি নেহি, বড়ি হোনি চাহিয়ে...’’ বাস্তবের আনন্দ কুমারও তাই বিশ্বাস করেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy