ছবি পরিচালনা থেকে রাজনীতির আঙিনায় মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। ছবি: সংগৃহীত।
বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলনের প্রতি প্রথম থেকেই সমর্থন জুগিয়েছেন তিনি। নিয়মিত আন্দোলনকারীদের সমর্থনে কথা বলেছেন। এ বার সরাসরি রাজনীতিতে অভিষেক ঘটল বাংলাদেশের প্রযোজক-পরিচালক মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর।
রবিবার রাতে সমাজমাধ্যমেই প্রথম এ খবর ভাগ করে নিয়েছিলেন ফারুকীর স্ত্রী, অভিনেত্রী নুসরত ইমরোজ় তিশা। তাঁর পোস্ট অনুযায়ী, রবিবার রাতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন ফারুকী। ও পার বাংলার সাম্প্রতিক ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ নিয়ে সরব হয়েছিলেন ‘টেলিভিশন’, ‘ডুব’–এর নির্মাতা। আড়াই দশকের বেশি সময় ছবি ও নাটক পরিচালনা করে খ্যাতি পেয়েছেন তিনি। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর, গত ৮ অগস্ট মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয় বাংলাদেশে। এই সরকারেই যোগ দিলেন ফারুকী।
আনন্দবাজার অনলাইন ফারুকীর সঙ্গে একাধিক বার যোগাযোগের চেষ্টা করেছিল। কিন্তু পাওয়া যায়নি তাঁকে। অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা হিসাবে যোগ দেওয়ার পর প্রশাসনিক বৈঠকে ব্যস্ত ফারুকী, সে কথা জানিয়েছেন তাঁর সহকারী রাশেদ। তিনি বলেন, “শপথ গ্রহণের পর থেকে একটুও ফুরসত পাচ্ছেন না ফারুকী। ফলে, ইচ্ছে থাকলেও কথা বলে উঠতে পারছেন না।” একই ভাবে ফোনে পাওয়া যায়নি তাঁর অভিনেত্রী স্ত্রীকেও। সমাজমাধ্যমে তিনি লেখেন, “তোমার নতুন যাত্রার জন্য আন্তরিক শুভেচ্ছা।” তিশার ওই পোস্টের নীচে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রযোজক-পরিচালকের অসংখ্য অনুরাগী।
শপথগ্রহণের পর ও পার বাংলার সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ফারুকী বলেন, “আমি কখনওই কোনও পদ কিংবা কোনও চেয়ারে বসব, এটা ভাবিনি। কিন্তু প্রফেসর ইউনূসের সহকর্মী হওয়াটা ‘টেম্পটিং’ (লোভনীয়), না বলাটা মুশকিল।” শপথগ্রহণের সময় তাঁর পরনে ছিল কালো পাঞ্জাবি, পায়জামা, টুপি। ফারুকী এও বলেছেন, “আমি যদি কাজে কোনও ভুল করি, সবার প্রতি আমার একই বক্তব্য, বিনা সঙ্কোচে ধরিয়ে দেবেন, এটা ভুল হচ্ছে। আমি সেটিকে সাদরে গ্রহণ করব।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy