জায়েদ খানের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ নায়িকা পপির
প্রতিবার উৎসবের আকার নেয় বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন। এ বার কিন্তু এই নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক-অশান্তির শেষ নেই। ছবির দুনিয়া ছাড়িয়ে যার উত্তাপ ছড়িয়ে পড়েছে গোটা দেশেই।
অভিনেত্রী নিপুণ শিল্পী সমিতির নির্বাচন কমিশনার পীরজাদা হারুনের বিরুদ্ধে অশালীন প্রস্তাবের যে অভিযোগ এনেছেন, তা নিয়ে তুমুল শোরগোল এই মুহূর্তে। সেই সঙ্গে নিপুণ অভিযোগ করেছেন এ বারেও সম্পাদক পদে বিজয়ী অভিনেতা জায়েদ খানের বিরুদ্ধে। জায়েদ খান এবং কোনও এক ক্ষমতাবান মানুষের কথাবার্তার কিছু স্ক্রিনশট সাংবাদিক সম্মেলনে তুলে ধরেছেন নায়িকা। জায়েদ খান অবশ্য বলেছেন, সবটাই বানানো এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আপাতত
দু'পক্ষের মামলার হুমকি চলছে।
এই সব আলোচনায় চাপা পড়ে গিয়েছে নির্বাচনের দু'দিন আগের একটি ঘটনা। এক নায়িকার ভিডিয়ো বার্তা প্রচারিত হয়েছিল একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে। সেখানে নাম উল্লেখ না করলেও সবাই বুঝেছেন অভিনেত্রীর অভিযোগের তির বিতর্কিত জায়েদ খানের দিকেই।
ভিডিয়ো বার্তাটি বাংলাদেশের আর এক জনপ্রিয় নায়িকা সাদিকা পরভীন পপি-র। তিরিশটির বেশি ছবিতে অভিনয় একাধিক তিনি। জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন তিনবার। তার পরে হঠাৎ তিনি চলচ্চিত্র জগৎ ছেড়ে অজ্ঞাতবাসে চলে গিয়েছিলেন। পপির বিয়ে, স্বামী-সন্তান নিয়ে মাঝে মাঝেই রটেছে গুঞ্জন।
যেমন হঠাৎ তিনি উধাও হয়ে গিয়েছিলেন, তেমনই আচমকা ফের এই ভিডিয়োয় দেখা গেল তাঁকে। তাতে মারাত্মক অভিযোগ এনেছিলেন তিনি। ফেসবুক ও ইউটিউবে সেই ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়ে।
ভিডিয়োতে নিজের অন্তর্ধানের কারণ জানিয়েছেন পপি। বলেছেন, "আমার মতো শিল্পী যে তিন বার জাতীয় পুরস্কার পেয়েছে, তাঁর সদস্যপদ বাতিলের চিঠি দেওয়া হয়েছে (শিল্পী সমিতি থেকে)। এত দিন ধরে কাজ করার পর এটা এক জন শিল্পীর জন্য কতটা অপমানের, তা আমি বুঝতে পারি। আমার মতো ১৮৪ জন শিল্পী, যাঁরা এ ধরনের পরিস্থিতির শিকার, তাঁদের কষ্টও বুঝতে পারি। তাঁরাও আমার কষ্টটা বুঝতে পারেন। এই নোংরামির জন্য, আমার মান সম্মানের ভয় ছিল, আমার জানের ভয় ছিল। সব কিছু মিলে আমি নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছি।"
ভিডিয়োয় পপি আরও বলেছিলেন, "ভেবেছিলাম আর কখনওই ক্যামেরার সামনে আসব না। … আজকে অনেক কষ্ট নিয়ে কথা বলতে এসেছি। আপনাদের অনেকের প্রশ্ন আমি কোথায়? আমি আছি, আছি আপনাদের মাঝে। হয়তো ভাগ্যে থাকলে আবারও কাজে ফিরব।"
এর পরেই নায়িকার স্পষ্ট অভিযোগ ছিল, "বর্তমান সমিতির একটিমাত্র ব্যক্তির কারণে, তার পলিটিকস, নোংরামি এবং অনেক রকমের অপকর্মে অসহযোগিতা করার কারণে আমাকে বারবার অপমানিত হতে হয়েছে। শুধু আমি না, রিয়াজ, ফেরদৌস, পূর্ণিমা- আমাদের সকলকেই ব্যবহার করা হয়েছে। আমাদের কাঁধে বন্দুক রেখে সে এই চেয়ারটিতে বসেছে এবং বিভিন্ন রকম অপকর্ম করার চেষ্টা করেছে, যেখানে আমি বা আমরা সায় দিইনি। ...আমার সদস্যপদ বাতিলের চিঠিটি এখনও আছে। আমি নিজেকে সরিয়ে নিয়েছি আপনাদের কাছ থেকে, এই নোংরা পরিবেশ থেকে। যদি পরিবেশ কখনও ভাল হয় তবে ফিরব। এই নোংরা মানুষগুলো যদি সরে যায়, তখনই ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করব।"
বাংলাদেশ সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে ভিডিয়ো বার্তায় পপির আরও গুরুতর অভিযোগের কথা। বলা হয়েছে, জায়েদ খান নাকি পিস্তলের নল ঠেকিয়েছিলেন পপির বুকে। চলচ্চিত্র জগৎ থেকে সরে যাওয়ার জন্য তাঁকে হুমকি দিয়েছিল।
সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জায়েদ খান। তাঁর মতে, এ সব হল নির্বাচনের আগে বিপক্ষের শেখানো কুৎসা প্রচার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy