Ashish Chaudhary could not shine as a successful hero in Bollywood dgtl
bollywood
২৬/১১ হানায় বোন ও ভগ্নীপতিকে হারিয়ে বিপর্যস্ত, বিস্মৃত এই নায়ক এখন ব্যস্ত সমাজসেবায়
সোশ্যাল মিডিয়ায় আশিস খুবই সক্রিয়। টুইটারের মাধ্যমে তিনি নিয়মিত যোগাযোগ রাখেন ভক্তদের সঙ্গে। টুইটার এবং ফ্যামিলি মিলিয়ে তিনি নিজের প্রোফাইলের নাম দিয়েছেন ‘টোয়ামিলি’।
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ০৬ নভেম্বর ২০২০ ১১:৩৩
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১২০
ইন্ডাস্ট্রিতে এসেছিলেন বহিরাগত হয়ে। কোনও গডফাদার ছাড়াই সুযোগ পেয়েছিলেন বিজ্ঞাপন, মিউজিক ভিডিয়ো, টেলিভিশন সিরিয়াল এবং সিনেমায়। কিন্তু কেরিয়ার দীর্ঘ হয়নি আশিস চৌধুরির। বহু তারকাখচিত ছবির একজন অভিনেতা হয়েই বিস্মৃত হয়ে যেতে হয়েছে।
০২২০
আশিসের জন্ম ১৯৭৮ সালের ২১ জুলাই, গুয়াহাটিতে। মুম্বইয়ে মডেলিং কেরিয়ার শুরু বিজ্ঞাপনের হাত ধরে। আটের দশকে এক ডেয়ারি ফার্মের বিজ্ঞাপনে শিশুশিল্পী আশিস ছিলেন পরিচিত মুখ। পরবর্তী সময়েও মডেলিংয়ের সুযোগ তাঁর কাছে আসা বন্ধ হয়নি।
০৩২০
১৯৯৫ সালে দূরদর্শনের ‘আপনে জ্যায়সে টাইপস’ শো-এ আত্মপ্রকাশ অভিনেতা হিসেবে। এর পর ‘ওয়াজুদ’ সিরিয়ালেও তাঁর কাজ প্রশংসিত হয়েছিল দর্শকের দরবারে।
০৪২০
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ‘হামকো ইশক নে মারা’, ‘হম পরদেশি হো গ্যয়ে’, ‘এক মুঠ্ঠি আসমান’, ‘খিলাড়ি’, ‘হম পরদেশি হো গ্যয়ে’ এবং ‘দেব’-সহ একাধিক জনপ্রিয় টেলি সিরিয়ালে তিনি ছিলেন উল্লেখযোগ্য অংশ। বর্তমানে ‘বেহদ টু’ মেগা সিরিয়ালেও তিনি উল্লেখযোগ্য অভিনেতা।
০৫২০
টেলিভিশনের পাশাপাশি বড় পর্দাতেও আশিসের কেরিয়ার শুরু ১৯৯৫ সালে। প্রথম ছবি ছিল ‘দিল কা ডক্টর’। দ্বিতীয় সুযোগের জন্য তাঁকে অপেক্ষা করতে হয়েছিল ৪ বছর। ১৯৯৯ সালে মুক্তি পায় আশিসের দ্বিতীয় ছবি ‘চলো আমেরিকা’।
০৬২০
‘লভ অ্যাট টাইমস স্কোয়্যার’, ‘কয়ামত: দ্য সিটি আন্ডার থ্রেট’, ‘শাদি কা লাড্ডু’, ‘গার্লফ্রেন্ড’, ‘স্পিড’, ‘ধামাল’, ‘ভূতনাথ’, ‘কিসসে প্যায়ার করুঁ’, ‘পেয়িং গেস্ট’, ‘ড্যাডি কুল’, ‘ডাবল ধামাল’-সহ বেশ কিছু ছবিতে অভিনয় করেছেন আশিস। কিন্তু বড় ব্যানারের ছবির মুখ কোনওদিন হয়ে উঠতে পারেননি।
০৭২০
অভিনয় ছাড়া আরও একটি কারণে আশিসকে মনে রেখেছে নয়ের দশকের খুদে দর্শকরা। দূরদর্শনে ‘ডিজনি’ শো সঞ্চালনা করতেন তিনি। সে সময়েই তাঁর সঙ্গে আলাপ হয় অভিনেত্রী শমিতা বঙ্গারগির। ক্রমে আলাপ থেকে প্রেম। ৭ বছর প্রেমপর্বের পরে দু’জনে বিয়ে করেন ২০০৬-এর ২৭ জানুয়ারি মাসে।
০৮২০
কিছু হিন্দি ছবিতে শমিতা অভিনয় করেছিলেন। তবে বিয়ের পর তাঁকে সেভাবে পর্দায় দেখা যায়নি। ছেলে অগস্ত্য এবং যমজ মেয়ে সালারা এবং সম্মাহকে নিয়ে আশিস-শমিতার ভরপুর সংসার।
০৯২০
মধুর ব্যক্তিত্ব থাকার পরেও সুদর্শন আশিস বলিউডে নিজের জায়গা মজবুত করতে পারেননি। সুশান্ত সিংহ রাজপুতের মৃত্য পরবর্তী সময়ে আশিসও মুখ খুলেছেন হতাশা ও অবসাদ নিয়ে। তবে তাঁর অবসাদের কারণ পুরোটা কেরিয়ারকেন্দ্রিক ছিল না।
১০২০
সোশ্যাল মিডিয়ায় আশিস খুবই সক্রিয়। টুইটারের মাধ্যমে তিনি নিয়মিত যোগাযোগ রাখেন ভক্তদের সঙ্গে। টুইটার এবং ফ্যামিলি মিলিয়ে তিনি নিজের প্রোফাইলের নাম দিয়েছেন ‘টোয়ামিলি’।
১১২০
মুম্বইয়ে ২৬-১১ হানায় প্রাণ হারিয়েছিলেন আশিসের বোন মনিকা এবং তাঁর স্বামী অজিত। এর পরই মানসিক ভাবে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছিলেন আশিস। মুখোমুখি হয়েছিলেন চরম আর্থিক ক্ষতিরও।
১২২০
স্ত্রী এবং বন্ধুদের সাহায্যে সমস্যা কাটিয়ে ওঠেন বলে জানিয়েছেন আশিস। তাঁর কথায়, স্ত্রী শমিতার সাহায্য না পেলে তিনি হতাশা থেকে মুক্তি পেতেন না। আর্থিক দিক থেকে বন্ধুরা সব সময় তাঁর পাশে থেকেছেন বলে জানান এই অভিনেতা।
১৩২০
অভিনয়ের পাশাপাশি আশিস একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা পরিচালনা করেন। সংস্থার তরফে একটি নাইট স্কুল চালানো হয়।
১৪২০
ফিটনেস সচেতন আশিস অনেকটা সময় দেন শরীরচর্চার পিছনেও। জিমে দীর্ঘ সময় কাটানোর পাশাপাশি তাঁর প্রধান শখ বেড়াতে যাওয়া এবং সাঁতার কাটা। সময় পেলেই তিনি নেমে পড়েন সুইমিং পুলে।
১৫২০
অভিনয় ছাড়াও তাঁর আরও কিছু ব্যবসা আছে। একটি বিজ্ঞাপন সংস্থার মালিক তিনি।
১৬২০
বড় পর্দায় ব্যর্থ আশিস অংশ নিয়েছিলেন বেশ কিছু রিয়েলিটি শো-এও। কিন্তু তার পরেও তাঁর কেরিয়ারে বাড়তি কোনও গতি যোগ হয়নি।
১৭২০
জীবনের না পাওয়া গুলোকে বড় করে দেখতে চান না আশিস। বরং, সিদ্ধিদাতা গণেশের ভক্ত এই অভিনেতা খুশি থাকতে চান জীবনে যা পেয়েছেন, সে সব নিয়েই।
১৮২০
বন্ধুদের সঙ্গে হইহুল্লোড় করতে ভালবাসেন আশিস। ক্রিকেটার যুবরাজ সিংহও তাঁর অন্তরঙ্গ বন্ধুদের মধ্যে একজন।
১৯২০
সুশান্তের অকালমৃত্যুতে শোকস্তব্ধ আশিস বলেন, সকলের প্রয়োজন মন খুলে কথা বলা সকলের সঙ্গে ।
২০২০
সম্প্রতি আশিস সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর অনুরাগীদের জানিয়েছেন, জীবনে কতটা ভালবাসা পেলেন বা অন্যদের কতটা ভালবাসতে পারলেন, সেটাই তাঁর কাছে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ।