অরিত্র দত্ত বণিক। ছবি: সংগৃহীত।
বাংলায় কাজ করতে ভরসা পাচ্ছেন না বাইরের বিনিয়োগকারী ও প্রযোজকেরা? গত কয়েক দিন ধরে ফেডারেশন বনাম পরিচালক বিতর্কে টালিগঞ্জে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে প্রথম থেকেই সমাজমাধ্যমে সরব ছিলেন অরিত্র দত্ত বণিক। এক সময়ে শিশু অভিনেতা হিসেবে জনপ্রিয় অরিত্রের একটি বিজ্ঞাপনী সংস্থা রয়েছে। নতুন একটি পোস্টে তিনি দাবি করলেন, মুম্বইয়ের এক বিজ্ঞাপনী সংস্থার প্রোজেক্ট ম্যানেজার বাংলার অবস্থা দেখে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছেন না।
অরিত্র তাঁর পোস্টে লিখেছেন, “খারাপ লাগে কিন্তু কিছু করার নেই, এটাই নিষ্ঠুর পৃথিবী। বাংলার অচলাবস্থায়, ‘উই আর নট কমফর্টেবল’ এই মন্তব্য করে মিটিং থেকে বেরোলেন মুম্বইয়ের এজেন্সি-র প্রোজেক্ট ম্যানেজার।” স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে দু’টি বিজ্ঞাপনে কাজ করার কথা ছিল তাঁদের। কিন্তু বিনিয়োগকারীরা ভরসা পাচ্ছেন না বাংলায় কাজ করতে। তাই এই বিজ্ঞাপন দু’টির কাজ হবে দিল্লি ও ঝাড়খন্ডে।
আনন্দবাজার অনলাইনকে অরিত্র বলেন, “বাংলায় একটা অদ্ভুত নিয়ম রয়েছে, যার ফলে বহু ব্র্যান্ডই বিজ্ঞাপনের কাজ করতে স্বচ্ছন্দ নয়। যেমন কোনও ছবির ক্ষেত্রে টেকনিশিয়ানদের জন্য যে বাজেট বরাদ্দ থাকে, বিজ্ঞাপনের ক্ষেত্রে সেই বাজেট দ্বিগুণ হয়ে যায়। বিজ্ঞাপনের যদি হিন্দি সংস্করণ তৈরি হয়, তা হলে তা আড়াই গুণ হয়ে যায়। আর এখন তো টিভির বিজ্ঞাপন নয়। সমাজমাধ্যমে রিল ও ভিডিয়ো— এগুলিও এক ধরনের বিজ্ঞাপন। সে ক্ষেত্রে বাজেট খুব কম থাকে। কিন্তু আমাদের ফেডারেশন এগুলির সঙ্গে কোনও রকম আপস করে না। তাদের নিয়ম অনুযায়ী, নির্দিষ্ট সংখ্যক টেকনিশিয়ানকে কাজে নিতেই হবে। তাই বাংলায় ব্র্যান্ডগুলি কাজ করতে চাইছে না।”
অরিত্র জানাচ্ছেন, এত দিন যেটুকুও কাজ হত, এই অচলাবস্থা দেখে আরও কাজ হচ্ছে না। বাইরের ব্র্যান্ডগুলি ভাবছে, এত বড় প্রযোজনা সংস্থার সঙ্গে ফেডারেশনের বিরোধ। প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের মতো বড় মাপের অভিনেতা এলেও টেকনিশিয়ানেরা কাজ করেননি। তা হলে ব্র্যান্ডের বিজ্ঞাপনের শুটেও সমস্যা তৈরি হতে পারে। তাই বাংলায় কাজ করতে তাঁরা আতঙ্কিত।
ফেডারেশন বনাম পরিচালকদের যে তরজা চলছে তা নিয়ে অরিত্র বলেন, “যে কোনও ইউনিয়নেরই মাথায় এমন মানুষ থাকেন, যিনি কাজটা জানেন। বাস চালকদের সংগঠনের মাথায় এমন কেউই থাকবেন যিনি বাস চালাতে জানেন। তাই ছবির ক্ষেত্রেও এই সংগঠনগুলির মাথায় এমন কারও থাকা উচিত যিনি ছবির জগতের মানুষ। যিনি ছবির প্রযুক্তিগত দিকগুলিও বোঝেন।”
অরিত্র মনে করছেন, এই পরিস্থিতিতে ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে জড়িত সকলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। বিশেষ করে পরিচালক, অভিনেতা এবং টেকনিশিয়ানদেরও ক্ষতি হচ্ছে, কারণ এঁরা প্রত্যেকেই দিনের কাজ অনুযায়ী পারিশ্রমিক পেয়ে থাকেন। সর্বোপরি বাংলা ছবির বিরাট ক্ষতি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অরিত্র।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy