(বাঁ দিকে)রাহুল মুখোপাধ্যায় ও মধুরা পালিত (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
টলিপাড়ায় ফেডারেশন বনাম পরিচালক বিতর্ক এখনও অব্যাহত। সোমবার সকাল থেকে বন্ধ সমস্ত ধারাবাহিক ও ছবির শুটিং। রাহুল মুখোপাধ্যায়ের উপর নিষেধাজ্ঞার ঘটনা এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে টালিগঞ্জে এখন অচলাবস্থা। বিষয়টি নিয়ে এ বার মুখ খুললেন কান-জয়ী সিনেমাটোগ্রাফার মধুরা পালিত।
শনিবার ফ্লোরে রাহুল মুখোপাধ্যায় থাকায় কাজ করতে রাজি হননি টেকনিশিয়ানেরা। পরিচালকেরা পাল্টা জানিয়েছিলেন, তাঁরা কাজ বন্ধ করলে, টলিপাড়ার কাজ আদৌ এগোবে তো? এই তরজায় মধুরা তাঁর সমাজমাধ্যমের পোস্টে লেখেন, “পুরো ঘটনাটা পরিচালক বনাম টেকনিশিয়ান, এ ভাবে তৈরি করা হচ্ছে। আসলে কি সেটা তাই? টেকনিশিয়ানদের ক’জন নিজের ইচ্ছেতে বয়কট করেছেন? আদৌ তাঁরা এমন করেন? টেকনিশিয়ানদের উপর গিল্ডের যে অসংবেদশনীল ও অবাস্তব চাপ থাকে সেটার সঙ্গে যাঁরা মুখোমুখি হয়েছেন, শুধু তাঁরাই জানেন। যেটার বিরুদ্ধে কথা হচ্ছে সেটা হল নীতি।”
মধুরা তাঁর পোস্টে দাবি করেছেন, পুরনো নিয়মের যুক্তি দিয়ে কাজ নষ্ট হচ্ছে। তাঁর কথায়, “পুরনো নিয়ম আর অদ্ভুত যুক্তি দিয়ে আজকের কাজের সিস্টেম নষ্ট করা হচ্ছে। ২০ বছর আগের ছবির বানানোর প্রযুক্তি, অর্থনীতি ও পদ্ধতি পুরোটাই পাল্টে গিয়েছে। সেই অনুযায়ী নিয়ম পাল্টাতে হবে। নতুন নিয়ম ও নতুন লোক লাগবে, যাঁরা ছবি কী করে তৈরি হয় সেটা জানেন। যাঁরা সেটে গিয়েছেন, নিজের কাজের মাধ্যমে কথা বলেছেন এ রকম লোক দরকার। সহ-অভিনেতার কার্ড রয়েছে, কিন্তু শিডিউল কাকে বলে সেটা জানেন না, এমন লোক নয়।”
শেষে টেকনিশিয়ানদের হয়ে সরব হয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, “অনেক টেকনিশিয়ান নিজেদের কথা বলতে চান। কিন্তু তাঁরা ভয় পাচ্ছেন, কারণ, এর জন্য যদি তাঁদের চিহ্নিত করে বরখাস্ত করে দেওয়া হয়। টেকনিশিয়ানরা ক্রাফটসমেন। তাঁরাও শিল্পী।” টেকনিশিয়ানদের জোর করে শ্রমিক বানিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে দাবি মধুরার।
উল্লেখ্য, সোমবার দুপুরে এক বৈঠক ডাকা হয় প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের বালিগঞ্জের বাড়িতে। সেখানেই হাজির হন টলিপাড়ার পরিচালক-প্রযোজকেরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy