অনুষ্কা শর্মা ও বিরাট কোহলি। ছবি: সংগৃহীত।
চলতি বছরের বিশ্বকাপের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় তিনি। তাঁর ঝুলিতেই সবচেয়ে বেশি রান। ২০২৩ সালে এক দিনের বিশ্বকাপের ‘প্লেয়ার অফ দ্য টুর্নামেন্ট’-এর শিরোপাও পেয়েছেন বিরাট কোহলিই। তার পরেও অধরা বিশ্বকাপ। গোটা টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় হিসাবে বিরাট নির্বাচিত হলেও বিশ্বসেরার তকমা পাওয়া হল না ভারতের। রবিবার ১৯ নভেম্বর, আমদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে ছিল বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচ। সেই ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হয়েছিল ভারত। ২০০৩ সালের বিশ্বকাপের ফাইনালেও এই দুই দল মুখোমুখি হয়েছিল। সেই ম্যাচেও জিতেছিল অস্ট্রেলিয়াই। ২০ বছর আগের সেই ম্যাচের হারের বদলা চলতি বছরের বিশ্বকাপে নেবে ভারত, এই লক্ষ্যেই মাঠে নেমেছিল ‘ব্লু ব্রিগেড’। সেই লক্ষ্যপূরণ হয়নি। ২৪০ রানে শেষ হয়ে যাওয়া ভারতের ইনিংসকে টপকাতে ৫০ ওভারও লাগেনি অসিদের। গোটা টুর্নামেন্টে অপরাজিত থেকে ফাইনালের মঞ্চে হার স্বীকার করেছে ভারত। সেই হারের গ্লানি খেলোয়াড়দের চোখেমুখে। কারও চোখে জল, কেউ দৌড়ে গিয়ে ঢুকলেন সাজঘরে। কেউ আবার মাথা নীচু করে মাঠ থেকে হেঁটে গেলেন প্যাভিলিয়নের দিকে। ভারতের হার নিশ্চিত, এ কথা বুঝতে পারার পর থেকেই গ্যালারিতে বিমর্ষ মুখে বসে থাকতে দেখা গিয়েছিল বলিউড অভিনেত্রী ও বিরাটের স্ত্রী অনুষ্কা শর্মাকে। চোখের জল কোনও মতে ধরে রাখতে সমর্থ হয়েছিলেন তিনি। ম্যাচ শেষে বিরাটকে জড়িয়ে ধরতেও দেখা গিয়েছিল তাঁকে। শেষ পর্যন্ত তাঁর হাত ছাড়লেন না তিনি।
রবিবার আমদাবাদ থেকে মুম্বইয়ে ফেরেন অনুষ্কা ও বিরাট। বিরাটের পরনে ছিল সাধারণ পোশাক। সাদা সালোয়ার-কামিজ়ে ছিলেন অনুষ্কা। ছবিশিকারিদের ক্যামেরার সামনে মুহূর্তের জন্যও দাঁড়াননি তাঁরা কেউই। বরং বেশ তিরিক্ষি মেজাজেই দেখা মিলল অনুষ্কার। সাদা সালোয়ারে স্পষ্ট হল অভিনেত্রীর স্ফীতোদরও।
ফাইনাল ম্যাচ শেষ হওয়ার পরে বিরাটের চোখেমুখে স্পষ্ট ছাপ ছিল যন্ত্রণা ও হতাশার। নিজে ‘প্লেয়ার অফ দ্য টুর্নামেন্ট’ হওয়ার পরেও দলের বিশ্বকাপ হাতছাড়া হওয়ার সেই গ্লানি কিছুমাত্র কম হয়নি। বরং থমথমে মুখেই দেখা গিয়েছিল ক্রিকেট তারকাকে। এমন অবস্থায় বিরাটকে সঙ্গে নিয়েই স্টেডিয়াম ছাড়লেন অনুষ্কা। বিরাট তাঁর কোনও এক সতীর্থের উদ্দেশে কিছু কথা বলছিলেন। সেই সময় ধৈর্য ধরে তাঁর জন্য অপেক্ষা করছিলেন অভিনেত্রী। তার পরে বিরাটের হাত ধরে নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়াম ছেড়ে বেরিয়ে যান তিনি।
চলতি বছরে বিশ্বকাপে নিজের এক দিনের ক্রিকেট জীবনের ৫০তম শতরানটি করেছেন বিরাট। নিজের ৩৫তম জন্মদিনে ইডেন গার্ডেন্সে ৪৯তম শতরান করে সচিন তেন্ডুলকরের নজির স্পর্শ করেছিলেন কোহলি। সেমিফাইনালে নিউ জ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে খেলতে নেমে ৫০তম শতরান করে মাইলফলক তৈরি করেন বিরাট। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ফাইনাল ম্যাচে খেলতে নেমেও অর্ধশতরান করেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy