সন্তানকে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে দূরে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অনুষ্কা।
হবু বাবা ভারতীয় ক্রিকেট টিমের অধিনায়ক। মা বলিউডের প্রথম সারির অভিনেত্রী-প্রযোজক। কিন্তু সন্তানকে বড় করতে চান আর ৫টা শিশুর মতোই আড়ম্বরহীন ভাবে।
এক ম্যাগাজিনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে হবু মা অনুষ্কা শর্মা বলেন, ‘‘আমি এবং বিরাট মানুষ হিসাবে অনেকটাই এক রকম। তাই আমাদের সন্তানকে বড় করতে এই মিল কিছুটা সুবিধা করে দেবে। আমি খুবই প্রগতিশীল পরিবেশে বড় হয়েছি। আমাদের পরিবারের ভীত ভালবাসা দিয়ে তৈরি। আমি এবং বিরাট চাই আমাদের সন্তান সকলকে শ্রদ্ধা করবে। নীতি শিক্ষাটা এ ক্ষেত্রে ভীষণ জরুরি। আমরা অবাধ্য সন্তান বড় করতে চাই না।’’
অনুষ্কা চান তাঁর সন্তান বড় হয়ে সকলকে শ্রদ্ধা করবে। তিনি শৈশবে মা-বাবার কাছে যে শিক্ষা পেয়েছেন, সেই শিক্ষায় শিক্ষিত করতে চান নিজের সন্তানকেও। প্রাচুর্যের মধ্যে বড় হয়ে সে যাতে ‘অবাধ্য’ না হয়, তা নিয়ে সতর্ক থাকবেন বিরাট এবং অনুষ্কা দু’জনেই।
নিজেদের সন্তানকে খুব সাধারণ ভাবে বড় করতে চান বিরাট -অনুষ্কা
আরও পড়ুন: অভিনেত্রী বোন সংসারী, দীর্ঘ বসন্ত পেরিয়েও জীবনে একা ‘শাহরুখের শ্যালিকা’, ডিডিএলজে-এর ছুটকি
মা হওয়ার আগেই নিজের সন্তানকে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে দূরে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অভিনেত্রী। করিনা কপূর খান সম্প্রতি তাঁর টক শো-তে বলেছিলেন, বিরাট-অনুষ্কার সন্তান এলে তৈমুর পাপারাৎজিদের থেকে মুক্তি পাবে। তবে তেমনটা হওয়ার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। কারণ অনুষ্কার কথায়, ‘‘আমরা জনসমক্ষে নিজেদের সন্তানকে বড় করতে চাই না। এই বিষয়ে আমরা অনেক ভেবেছি। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে আমাদের সন্তানকে দূরে রাখতে চাই।’’
একজন শিশুকে আর পাঁচজন শিশুর থেকে বেশি গুরুত্ব দেওয়ার পক্ষপাতী নন অনুষ্কা। তিনি মনে করেন, তাঁদের সন্তান বড় হয়ে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করবে কি না, সেই সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ সে নেবে। মা-বাবা হিসাবে তাঁরা কোনও সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিতে চান না।
আরও পড়ুন: বছর শেষে রেড কার্পেটে হাঁটলেন স্বস্তিকা
আর কয়েকটা দিনের অপেক্ষা। জানুয়ারি মাসেই দুই থেকে তিন হতে চলেছেন তাঁরা। বুধবার রাতে জুহুর একটি ক্লিনিকে দেখা গিয়েছে হবু মা-বাবাকে। সন্তান পৃথিবীতে আসার পর প্রথম কয়েক মাস অনুষ্কাই তাঁর দেখাশোনা করবেন বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘বিরাটকে সারা বছর খেলতে হবে। কিন্তু আমি কখন কাজ করব, সেই সিদ্ধান্ত আমি নিতে পারি। সে ক্ষেত্রে আমি বছরে একটি বা দু’টি ছবিও করতে পারি। পরিবারের হিসাবে আমরা কতটা সময় একসঙ্গে কাটাতে পারছি সেটাই আসল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy