নিয়ম করে রেওয়াজ করেন অনুপম।
তিনি শুধু গান করেন না। গান তৈরিও করেন। সেই গানেই বুঁদ হয়ে দিন কাটে অনেকের। ইন্ডাস্ট্রিতে এক যুগ কাটিয়ে ফেলার পরেও নিয়মিত সঙ্গীত সাধনা করেন অনুপম রায়। রোজ সকালে নিয়ম করে গাইতে বসেন তিনি। গলা সাধেন। সঙ্গীত চর্চার ক্ষেত্রে নিয়ম মানেন ঠিকই। কিন্তু গান তৈরির ক্ষেত্রে?
অনুপমের কথায়, “আমি সকাল ১০টার সময়ে লিখতে বসলাম। বিকেল চারটে অবধি লিখলাম— এ রকম নিয়ম আমাদের জন্য খাটে না। গান কখন আসবে, লেখা কখন আসবে, তা আমার নিয়ন্ত্রণে নেই। আমি সারা দুপুর বসে থাকতে পারি। একটা লাইনও না আসতে পারে। আবার থলি হাতে বাজার করতে গেলাম, তখনই হয়তো লেখাটা এল।”
কিন্তু গান তৈরির জন্য কি বিশেষ কোনও প্রস্তুতি লাগে অনুপম রায়ের? এখনও অধ্যয়ন দরকার হয়?
শনিবার সন্ধ্যায় আনন্দবাজার অনলাইনের লাইভ অনুষ্ঠানে অনুপম বললেন, “চার পাশে কী ঘটছে, একটু সজাগ থাকা ভাল। আমার গানে যদি ভাবগত বিচ্যুতি (পলিটিক্যালি ইনকারেক্টনেস) থাকে, তা হলে আমার গান কেউ শুনবে না। গানের মধ্যেও তো রাজনীতি থাকে।”
নিজের বক্তব্যকে আরও ব্যাখ্যা করতে গিয়ে রবি ঠাকুরের শরণ নিয়েছেন সঙ্গীত পরিচালক। অনুপমের কথায়, “রবি ঠাকুরের রাজনীতি অনুসরণ করার মতো। বাম, ডান — কোনও রাজনীতি বুঝতে হবে না। উনি প্রত্যেকটা জায়গায় যা বলে গিয়েছেন, তা অনুসরণ করলে আপনার রাজনীতি ঠিক থাকবেই।” তাঁর মতে, কোনও শিল্প-সৃষ্টির ক্ষেত্রে নিজে সতর্ক থাকলে, সজাগ থাকলে কাজটি ভাল হয়।
অনুপম কি রাজনীতিতে বিশ্বাস করেন? প্রশ্ন ছুড়তেই খানিক হেসে উত্তর, ‘সময় হয়নি বলার। তবে আমার ভাষার একটা রাজনীতি আছে। আমি বাংলাকে ভালবাসি। আমি উদারমনস্ক রাজনীতি পছন্দ করি। ফ্যাসিবাদ পছন্দ করি না। উদার ভাবে ভালবাসি। ভাবতে চাই।”
না, এর পরে আর কিছু বলেননি অনুপম। বাকি কথা তুলে রাখা আছে। অন্য কোথাও, অন্য দিনের জন্য।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy