ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, অঙ্কুশ হাজরা, বনি সেনগুপ্ত এবং কৌশানী মুখোপাধ্যায়।
বাংলাদেশের চলচ্চিত্র প্রযোজনা ও পরিবেশনা প্রতিষ্ঠান ‘শাপলা মিডিয়া ইন্টারন্যাশনাল’ সাম্প্রতিককালে একসঙ্গে ১০০ সিনেমা নির্মাণের কথা ঘোষণা করেছে। যা হইচই ফেলেছে বাংলাদেশ জুড়ে। ফেব্রুয়ারির শেষে প্রথম পর্যায়ে ১০টি সিনেমার শ্যুটিং শুরু হয়ে গিয়েছে। এই কাজে যোগ দিচ্ছেন টালিগঞ্জের একাধিক শিল্পী। সেই তালিকায় রয়েছেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, অঙ্কুশ হাজরা, বনি সেনগুপ্ত এবং কৌশানী মুখোপাধ্যায়। তবে তাঁরা কে কোন ছবিতে অভিনয় করবেন তা এখনও স্পষ্ট নয়।
পশ্চিমবঙ্গের মতো বাংলাদেশেও প্রেক্ষাগৃহের মালিকদের অবস্থা ভাল নয়। প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে ছবি দেখার অভ্যাস কমে যাওয়ায় দর্শকের অভাবে তা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে সর্বত্র। তার উপরে করোনার আগমন এবং লকডাউনে নতুন ছবির সংখ্যা কমে গিয়েছে একদম। এই পরিস্থিতিতে শাপলা মিডিয়ার কর্ণধার সেলিম খান লাগাতার ১০০টি সিনেমা নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় প্রেক্ষাগৃহের মালিকরা ফের আশায় বুক বেঁধেছেন।
জানা যাচ্ছে, একসঙ্গে কাজ করতে পারেন অঙ্কুশ এবং ঋতুপর্ণা। তবে কোন ছবিতে, কোন ধরনের চরিত্রে কাজ করবেন তা এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। অঙ্কুশ জানান, “ছবির কিছুই ফাইনাল হয়নি।” প্রাথমিক কথা অন্তত হয়েছে কি না জানতে চাইলে অঙ্কুশ বলেন, “না না, কিছুই হয়নি।” বিশিষ্ট অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত বললেন, “ছবির বিষয়ে কথা চলছে। ফাইনাল স্ক্রিপ্ট এখনও পড়িনি। স্ক্রিপ্ট পড়ে সিদ্ধান্ত নেব।” তবে বনি এবং কৌশানীকে নিয়ে আগামী মাস থেকে শ্যুটিং শুরু হবে বাংলাদেশে।
ঋতুপর্ণার নতুন কাজ নিয়ে ধোঁয়াশা থাকলেও বাংলাদেশের সিনেমায় তিনি নতুন নন। সেই ১৯৯৭ সালে বাংলাদেশে তাঁর প্রথম সিনেমা মনোয়ার খোকন পরিচালিত ‘স্বামী কেন আসামী’। শাবানা, জসিমের পাশে চাংকি পান্ডে, ঋতুপর্ণা। দুই বাংলায় জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী এর পর একাধিক ছবিতে অভিনয় করেছেন। বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত তাঁর শেষ ছবি ২০১৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত আলমগীর পরিচালিত ‘একটি সিনেমার গল্প’। এ দিকে তরুণ নায়ক অঙ্কুশ ভারত-বাংলাদেশের যৌথ প্রযোজনায় অভিনয় করেছেন ‘আমি শুধু চেয়েছি তোমায়’, ‘রোমিও বনাম জুলিয়েট’-এ। জিৎ এবং দেব-এর পর এই প্রজন্মের কাছে অঙ্কুশ নিজস্ব জায়গা তৈরি করে নিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy