সোমিত্রর সঙ্গেই রুপোলি পর্দায় পথ চলা শুরু স্বাতীলেখার।
সেই ১৯৮৪ সাল। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় এবং ভিক্টর বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে এক পর্দায় সত্যজিৎ রায়ের ‘ঘরে বাইরে’-তে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। শোনা গিয়েছিল নারী মুক্তির কথা বলতে। বাংলা ছবির দর্শক এর পর বহু বছর তাঁকে পর্দায় দেখতে পাননি। কিন্তু অন্য দিকে মঞ্চ দাপিয়ে বেড়াচ্ছিলেন সেই অভিনেত্রী। তারপর প্রযোজক-পরিচালক নন্দিতা রায় ও শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের হাত ধরে বাংলা ছবিতে নাট্যকার রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্তের স্ত্রী স্বাতীলেখা সেনগুপ্তের প্রত্যাবর্তন।
শনিবার সেই অভিনেত্রী পা দিলেন ৭১ বছরে। তাঁর জন্মদিনে শিবপ্রসাদ স্মৃতিচারণে ভাসলেন। স্বাতীলেখার সঙ্গে কাটানো সময়গুলো নেটমাধ্যমে তুলে ধরলেন তিনি। লিখলেন, ‘বেলাশেষে থেকে বেলাশুরু। তিরিশ বছর পর আবার তুমিই পারো দুশো সতের দিনের বক্স অফিস রেকর্ড গড়তে। সবাই অপেক্ষা করছে তোমায় দেখবে বলে’। শেষে তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়ে লিখলেন, ‘শুভ জন্মদিন নায়িকা। আমার প্রিয়। আমার গুরু। আমার শিক্ষিকা। সাবাস স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত’!
সোমিত্রর সঙ্গেই রুপোলি পর্দায় পথ চলা শুরু স্বাতীলেখার। সত্যজিৎ রায়ের ‘ঘরে বাইরে’-তে তাঁদের জুটি আজও প্রশংসিত। তার পরে দীর্ঘ ৩১ বছর পরে সৌমিত্রর সঙ্গেই পর্দায় ফিরলেন তিনি। সেই ‘বেলা শেষে’ বক্স অফিসে দীর্ঘকালীন ছাপ রেখে যায়। সৌমিত্র-স্বাতীলেখার রসায়ন দেখে আপ্লুত দর্শকদের জন্য ফের ‘বেলাশুরু’-তে অভিনয় করেন তাঁরা। যদিও সেই ছবি মু্ক্তির আগেই জুটি ভেঙে চলে গেলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। গত বছর নভেম্বর মাসে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
কিন্তু স্বাতীলেখার জন্মদিনে শিবপ্রসাদের পোস্ট দেখে দর্শকের মনে আশা জাগল, আবার বড় পর্দায় তাঁদের পছন্দের জুটিকে দেখতে পাবেন তাঁরা। গত বছরই মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল ‘বেলাশুরু’-র। কিন্তু করোনার একের পর এক ঢেউয়ের ফলে প্রেক্ষাগৃহে এই ছবির মু্ক্তি নিয়ে সংশয়ে প্রযোজকরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy