সিসিটিভি ফুটেজের ব্যক্তি শরিফুলই, সইফ-কাণ্ডে নয়া তথ্য দিল মুম্বই পুলিশ

সইফ আলি খানের উপর হামলার ঘটনার তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে মুম্বই পুলিশ। ১৫ জানুয়ারি রাতে হামলার ঘটনার তিন দিনের মধ্যেই মূল অভিযুক্ত শরিফুল ইসলাম শেহজ়াদকে গ্রেফতার করা হয়। তার আগে হামলার রাতে সইফের বাড়ির সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায় এক ব্যক্তিকে। সেই ব্যক্তি শরিফুলই কি না, তা নিয়ে ধোঁয়াশাও তৈরি হয়েছিল। অবশেষে শুক্রবার মুম্বই পুলিশ জানিয়ে দিল, সিসিটিভি ক্যামেরার ব্যক্তি আসলে শরিফুলই।

মুখমণ্ডলের শনাক্তকরণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মুম্বই পুলিশ নিশ্চিত করেছে, সিসিটিভি ফুটেজে যাঁকে দেখা গিয়েছিল, তিনি শরিফুলই। ২৯ জানুয়ারি পুলিশি হেফাজতের মেয়াদ শেষ হয়েছে তাঁর। বর্তমানে তিনি রয়েছেন বিচারবিভাগীয় হেফাজতে।

১৫ জানুয়ারি মধ্যরাতে সইফ-করিনার বাড়িতে প্রবেশ করেছিলেন শরিফুল। তাঁর লক্ষ্য ছিল এক কোটি টাকা আদায় করা। কিন্তু ধরা পড়ে যান। বাধা দিতে এলে সইফের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েন তিনি। একের পর এক ছুরিকাঘাতে রক্তাক্ত করেন অভিনেতাকে। ঘটনার তিন দিনের মাথায় পুলিশের জালে ধরা পড়ে যান শরিফুল ইসলাম। পুলিশের হাতে আসে তাঁর বাংলাদেশি ভোটার কার্ড।

পুলিশি জেরায় শরিফুল ইসলাম জানিয়েছেন, শুধু অর্থ আদায় করার পরিকল্পনা ছিল তাঁর। কারও ক্ষতি করতে চাননি। তাই পুলিশকে তিনি বাংলাদেশে পৌঁছে দেওয়ার অনুরোধও জানিয়েছেন। মুম্বইয়ের এক রেস্তরাঁয় কাজ করতেন তিনি। গত ১৫ ডিসেম্বর তাঁর কাজ চলে যায়। আর্থিক অভাবের জেরেই চুরির পরিকল্পনা করেছিলেন বলে দাবি তাঁর। সইফের বাড়িতে নির্দ্বিধায় লুট করতে পারলে ভারত ছেড়ে বাংলাদেশে ফিরে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাঁর।