অঙ্কিতা- সুশান্ত।
বিচ্ছেদের পরেও অঙ্কিতার সাড়ে চার কোটি টাকার ফ্ল্যাটের ইএমআই দিতেন সুশান্ত? শুক্রবার এই প্রশ্নেই তোলপাড় ছিল মিডিয়া। প্রথমে চুপ থাকলেও অবশেষে এ নিয়ে মুখ খুললেন সুশান্ত সিংহ রাজপুতের প্রাক্তন প্রেমিকা অঙ্কিতা লোখণ্ডে।
ফ্ল্যাটের ইএমআই বাবদ এক বছরে যাবতীয় লেনদেনের কাগজ সোশ্যাল মিডিয়ায় এনে অঙ্কিতা লেখেন, “যতটা সম্ভব স্পষ্ট ভাবে বলা যায় বললাম। গত বছরের জানুয়ারি থেকে এ বছরের মার্চ পর্যন্ত আমার ব্যাঙ্কের লেনদেনের যাবতীয় হিসেবে আপনাদের দেখালাম। আর কিছু বলার নেই আমার। #জাস্টিস ফর এসএসআর।’’
লেনদেনের যে স্ক্রিনশট অঙ্কিতা শেয়ার করেছেন তাতে স্পষ্টই দেখা যাচ্ছে, প্রতি মাসে নিজের অ্যাকাউন্ট থেকে ফ্ল্যাটের ইএমআই বাবদ ২৩ হাজার ৭৭৫ টাকা এবং ৭৪ হাজার ২৯৬ টাকা করে দিতেন অঙ্কিতা। শুক্রবার সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর খবর, এক ইডি আধিকারিক জানিয়েছিলেন,মুম্বইয়ের মালাড অঞ্চলে প্রাক্তন বান্ধবীরএকটি ফ্ল্যাটের জন্য প্রতি মাসের ইএমআই দিয়ে যেতেন সুশান্ত। প্রাক্তন বান্ধবী থাকলেও সুশান্তের নামেই ফ্ল্যাটটি। ইডি সূত্রে এ-ও জানা যায়, রিয়া নাকি জেরায় জানিয়েছেন সুশান্তের সেই প্রাক্তন বান্ধবী আদপে অঙ্কিতা লোখণ্ডে। যার সঙ্গে ৬ বছর সম্পর্কে ছিলেন সুশান্ত।
অন্য একটি সূত্র বলছিল, সম্পর্কে থাকাকালীন মুম্বইয়ের মালাডে পাশাপাশি দু’টি ফ্ল্যাট কেনেন সুশান্ত এবং অঙ্কিতা। ফ্ল্যাট নম্বর ৩০৩ এবং ৩০৪। প্রথম ফ্ল্যাটটি সুশান্তের নামে আর দ্বিতীয়টি অঙ্কিতার। বিচ্ছেদের পর সুশান্ত বান্দ্রার এক ফ্ল্যাটে চলে গেলেও অঙ্কিতা থেকে যান। পরে নাকি পাশাপাশি ওই দুই ফ্ল্যাটের সংযোগকারী দেওয়াল ভেঙে একটি বড় ফ্ল্যাটের আকার দেওয়া হয়। সে কারণেই নাকি অঙ্কিতার ফ্ল্যাটে আজও নেমপ্লেটে তাঁর নামের পাশপাশি দেখা যায় সুশান্তের নাম। যেহেতু ৩০৩নম্বর ফ্ল্যাটটি সুশান্তের নামে কেনা হয়েছিল তাই তারই ইএমআই বাবদ টাকা দিতেন সুশান্ত।
EMI of a flat where #SushantSinghRajput's friend and actor Ankita Lokhande used to stay, was deducted from Sushant's bank account. This flat is registered in Sushant's name: ED (Enforcement Directorate) Officer pic.twitter.com/ZusHOFIJaw
— ANI (@ANI) August 14, 2020
এত সব আলচনার মধ্যেই শুক্রবার গভীর রাতেসবিস্তার লেনদেনের হিসেব প্রকাশ করেন অঙ্কিতা। ফ্ল্যাটের দলিলের ফটোকপিও প্রকাশ্যে আনেন। সেখানেও দেখা যাচ্ছে, অঙ্কিতা এখন যে ফ্ল্যাটে থাকেন, সেই ফ্ল্যাটটির ক্রেতার জায়গায় সুশান্ত নয়, অঙ্কিতা লোখণ্ডের নাম। স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে, অঙ্কিতার ফ্ল্যাট বাবদ যদি সুশান্ত টাকা না দিয়ে থাকেন তবে ইডি’র কথা অনুযায়ী কোন প্রাক্তন বান্ধবীর জন্য মাস গেলে ইএমআই দিতেন সুশান্ত?
অন্য দিকে ইডি সূত্রে শুক্রবারই জানা গিয়েছিল, সুশান্তের অ্যাকাউন্ট থেকে রিয়ার অ্যাকাউন্টে কোনওরকমের বড় লেনদেন নজরে আসেনি তাদের। তবে গত বছর নভেম্বর মাসে সুশান্তের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে বেশ কয়েক বার বড় অঙ্কের টাকা তোলা হয়েছে। ভাঙা হয়েছে ফিক্স ডিপোজিটও। ব্যাঙ্ক সূত্রে জানানো হয়েছে, প্রতি বারই টাকা তোলার জন্য ব্যাঙ্কে আসতেন সুশান্তের হাউজ ম্যানেজার স্যামুয়েল মিরান্ডা। স্যামুয়েলকে নিযুক্ত করেছিলেন রিয়াই। সুশান্ত জীবিত থাকাকালীন তাঁর সঙ্গে নিয়মিত কথা হত রিয়ার। তবে সুশান্তের মৃত্যুর পর থেকে স্যামুয়েল বা রিয়া কেউই কাউকে ফোন করেননি। ইতিমধ্যেই স্যামুয়েলকে জেরা করেছে ইডি। সুশান্তের বাবা যে এফআইআর করেছিলেন তাতে রিয়া ও তাঁর পরিবারের পাশাপাশি নাম রয়েছে স্যামুয়েলেরও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy