Anil Kapoors rejected Madhuri Dixit from 'Roop Ki Rani Choron Ka Raja' dgtl
Madhuri Dixit
অনিলের এই এক বিশ্বাসঘাতকতাই মাধুরীর ডুবতে বসা কেরিয়ারকে বাঁচিয়ে দেয়
ফিল্ম হিট হওয়ার জন্য এক সময় মাধুরী দীক্ষিতের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিলেন অনিল কপূর। প্রতিশ্রুতি না রাখার মাসুলও দিতে হয়েছিল তাঁকে।
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ১৮ জানুয়ারি ২০২১ ১৬:২০
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৬
ফিল্ম হিট হওয়ার জন্য এক সময় মাধুরী দীক্ষিতের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিলেন অনিল কপূর। প্রতিশ্রুতি না রাখার মাসুলও দিতে হয়েছিল তাঁকে।
০২১৬
যে ফিল্মের জন্য মাধুরীকে দেওয়া কথার খেলাপ করেছিলেন, বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়েছিল সেটিই।
০৩১৬
ঠিক কী হয়েছিল? কেন মাধুরীর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিলেন অনিল এবং কেনই বা তার মাসুল স্বয়ং অনিলকেই দিতে হয়েছিল?
০৪১৬
১৯৮৪ সালে রাজশ্রী প্রোডাকশনের ড্রামা ‘অবোধ’-এ ডেবিউ করেন মাধুরী। এই ফিল্মে তাঁর বিপরীতে ছিলেন তাপস পাল।
০৫১৬
ফিল্মটি সুপারফ্লপ হয়েছিল। কিন্তু ফিল্মে মাধুরীর অভিনয় নজর কেড়েছিল সকলের। এর পর মাধুরী পর পর অনেকগুলো ফিল্মে সুযোগ পান। কিন্তু প্রতিটা ফিল্মই ফ্লপ হয়।
০৬১৬
‘সাথী’, ‘মানব হত্যা’, ‘হিফাজত’ এবং ‘উত্তর দক্ষিণ’। ‘অবোধ’-এর পর ১৯৮৬ এবং ১৯৮৭ এই দু’বছর পর পর ৪টি ফিল্মে অভিনয় করেন মাধুরী। তাঁর অভিনয় দর্শকের মন কাড়লেও ফিল্মগুলো সফল হয়নি।
০৭১৬
এর পরের বছর ১৯৮৮ সালেও আরও ৩টি ফিল্ম করেন মাধুরী। সেগুলোও সব ফ্লপ হয়। শুরুটা এ ভাবেই হয়েছিল মাধুরীর।
০৮১৬
অভিনয়ের সূত্রেই অনিল কপূরের সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল তাঁর। অনিল এবং তাঁর দাদা বনি কপূর সে সময় একটি বড় বাজেটের ফিল্ম বানানোর পরিকল্পনা করছিলেন।
০৯১৬
সেই ফিল্মে মাধুরীকে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন অনিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মাধুরীকে নেননি তিনি। পরিবর্তে সে সময়ের এক সুপারহিট নায়িকাকে নেন।
১০১৬
ফিল্মটি ছিল ‘রূপ কি রানি, চোরো কা রাজা’। এই ফিল্ম বানানোর কথাবার্তা যখন চলছিল ঠিক সে সময়েই মুক্তি পেয়েছিল ‘মিস্টার ইন্ডিয়া’।
১১১৬
‘মিস্টার ইন্ডিয়া’য় শ্রীদেবীর সঙ্গে কাজ করেছিলেন অনিল। সুপারহিট এই ফিল্মে অভিনয় করে শ্রীদেবীর স্টারডমও তখন শীর্ষে। তাই তাঁর বিগ বাজেট ফিল্ম ‘রূপ কি রানি, চোরো কা রাজা’-তে মাধুরীর পরিবর্তে শ্রীদেবীকেই নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
১২১৬
মুঠোর মধ্যে এসেও বড় বাজেটের এই ফিল্ম ফস্কে যায় মাধুরীর হাত থেকে। কিন্তু বোধ হয় এটাই হয়ে ওঠে তাঁর কেরিয়ারের টার্নিং পয়েন্ট। আরও একটা ফ্লপের হাত থেকে বেঁচে যান তিনি।
১৩১৬
১৯৮৭ সালে ওই ফিল্মের কাজ শুরু করেন অনিল কপূর। তার ৬ বছর পর মুক্তি পায় ‘রূপ কি রানি, চোরো কা রাজা’।
১৪১৬
এর মাঝে ফিল্মের কখনও কাজ বন্ধ থেকেছে, কখনও মাঝ পথ থেকেই আবার পরিচালক কাজ ছেড়ে চলে যান। প্রথমে পরিচালক ছিলেন শেখর কপূর। তিনি চলে যাওয়ায় সতীশ কৌশিক পরিচালনার দায়িত্ব নেন।
১৫১৬
এ সব নানা কারণে দীর্ঘ সময় লাগে ছবি মুক্তি পেতে। তাই সে সময়ের বিগ বাজেট ফিল্ম হওয়া সত্ত্বেও বক্স অফিসে ব্যর্থ হয় ফিল্মটি। প্রচুর আর্থিক ক্ষতি হয় অনিল এবং বনির।
১৬১৬
অন্য দিকে এই ফিল্ম মুক্তির আগে অনিলের সঙ্গেই ব্লকবাস্টার ফিল্মে অভিনয়ের সুযোগ পেয়ে যান মাধুরী। ১৯৮৮ সালে ‘তেজাব’-এ অভিনয় করে তত দিনে সুপারস্টার হয়ে গিয়েছিলেন মাধুরী।