বয়সে প্রবীণ। তবে ভাবনায় এখনও নবীন তাঁরা। একজন চুটিয়ে অভিনয় করছেন ৭৩ বছরে এসেও। আর অন্য জন বেছে নিয়েছেন রাজনীতির ময়দান। বহুদিন পর মুখোমুখি আড্ডায় প্রাণোচ্ছল সেই দুই পুরনো কলিগ। তাঁরা অমিতাভ বচ্চন এবং শত্রুঘ্ন সিনহা। উপলক্ষ শত্রুঘ্ন সিনহার বায়োগ্রাফি প্রকাশ অনুষ্ঠান।
অমিতাভের সঙ্গে সম্পর্ক তিক্ত-মধুর হলেও বোঝাপড়া যথেষ্ট ছিল, নিজের জীবনীতে এমনটাই জানিয়েছেন শত্রুঘ্ন। তিনি বলেন,অমিতাভের সঙ্গে মতের অমিল থাকলেও, তাঁদের মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক কোনওদিন নষ্ট হয়নি।
সাত বছর ধরে সাক্ষাৎকার নেওয়ার পর ভারতী প্রধানের লেখা শত্রুঘ্নের জীবনী গ্রন্থ ‘এনিথিং বাট খামোশ: দ্য শত্রুঘ্ন সিনহা বায়োগ্রাফি’-তে বিভিন্ন বিষয়ের পাশাপাশি উঠে এসেছে তাঁর এবং বিগ বি-র ব্যক্তিগত সম্পর্কের কথা। শত্রুঘ্ন বলেন, ‘‘যদি আমি সে সব পুরোনো কথা না বলতাম, তবে এটা সত্যি বায়োগ্রাফি হয়ে উঠত না।’’ সে সময় দু’জনেই তরুণ, দু’জনেই স্টারডামের পিছনে দৌড়েছেন। এটাই গণতন্ত্র। কিন্তু তাই বলে তিনি যে অমিতাভের বিপক্ষে নন, তাও স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন শত্রুঘ্ন।
২০০৭-এ অমিতাভ-শত্রুঘ্ন সম্পর্কে কিছুটা তিক্ততা তৈরি হয়। ছেলে অভিষেকের বিয়েতে শত্রুঘ্নকে নিমন্ত্রণ জানাননি অমিতাভ। পরে শত্রুঘ্নর বাড়িতে মিষ্টির প্যাকেট পাঠিয়েছিলেন বিগ বি। তা নিতে অস্বীকার করেন শত্রুঘ্ন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy