অমিতাভ বচ্চন। ছবি- অমিতাভ বচ্চনের ফেসবুক থেকে নেওয়া।
এই ভাষায় কথা বললেন অমিতাভ বচ্চন! চিরাচরিত স্বভাবের বাইরে গিয়ে ট্রোলারকে চাঁচাছোলা ভাবে জবাব দিলেন বর্ষীয়ান এই অভিনেতা। নিজের ব্লগে প্রকাশ্যে বাবা তুলে তাঁকে তুলোধনা করতেও ছাড়লেন না বিগ-বি।
গত ১১ জুলাই করোনায় আক্রান্ত হয়ে নানাবতী হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর থেকেই অগণিত ভক্ত আরোগ্য কামনা করছেন তাঁর। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে তো তাঁর সুস্থতা কামনায় করা হচ্ছিল পুজোও। এ সবের মাঝখানেই এক নেটাগরিক নিজের পরিচয় লুকিয়ে অমিতাভকে লেখেন, “করোনায় তো মরে গেলে পার।” নিজের দীর্ঘ কেরিয়ারে এখনও পর্যন্ত নম্র, মার্জিত স্বভাবের পরিচয় দিলেও এ বার আর সহ্য করতে পারেননি তিনি।
নিজের ব্লগে সেই ব্যক্তির উদ্দেশে অমিতাভের কড়া জবাব, “মিস্টার অ্যানোনিমাস, তোমার বাবার নামও তো দেখছি লেখা নেই। মনে হয় তুমি জানই না তোমার বাবা কে? দু’টো জিনিস হতে পারে। হয় আমি বাঁচব, না হয় মরে যাব। যদি মরে যাই, তবে এই কুৎসিত কথাগুলো লেখার আর লোক পাবে না। করুণা হয় তোমার জন্য…।”
নিজের ব্লগে কড়া জবাব অমিতাভের। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
এখানেই থামেননি তিনি। অমিতাভ আরও লেখেন, “যদি ভগবানের আশীর্বাদে বেঁচেও যাই, তবে আমার সুবিশাল অনুরাগীরা ছেড়ে দেবে না... এই বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে আমার ভক্তরা রয়েছে, এটা মাথায় রেখ। ওদের কাছে গিয়ে জাস্ট একটা কথাই বলব আমি। ঠোক দো শালে কো। ওরা কিন্তু আমার পরিবারেরই অংশ।”
আরও পড়ুন- বলিউডের ফেভারিটিজমের সবচেয়ে বড় শিকার হলেন কিশোর কুমার, লতাজিরা: অভিজিৎ
কিছু দিন ধরেই নিজের ব্লগে অমিতাভ লিখছিলেন কী ভাবে ক্রমশ একাকিত্ব গ্রাস করছে তাঁকে। দু’দিন আগে তিনি লেখেন, ‘‘কাছের মানুষ বলতে এখন ডাক্তারবাবু। যিনি আমার দেখভাল করছেন। তিনি ছাড়া আর কারও ঘেঁষার অনুমতি নেই তাই চোখ ভিজে উঠলেও মুছিয়ে দেওয়ার মতো কোনও হাত আমার পাশে নেই।"
এরই মধ্যে আদরের নাতনি আরাধ্যা সোমবার হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছে। ভেজা চোখে তাঁকে বিদায় জানিয়েছেন অমিতাভ। বাড়ি ফেরার সময় নাকি আরাধ্যা তাঁকে বলে গিয়েছে, “চিন্তা কোরো না। তুমি ঠিক ভাল হয়ে যাবে...”, ব্লগে লিখেছেন অমিতাভ। একাকিত্ব, করোনা, সঙ্গে মৃত্যুকামনা... বিগ-বি যে মানসিক ভাবে বিধ্বস্ত তা ভাল ভাবেই আঁচ করা যায়।
তাঁর এই আচরণে কিছুটা হলেও অবাক ভক্তরা। বিগ-বি তো কোনওদিনও কারও বাবা তোলেননি এর আগে! তবে তাঁদের এখন একটাই প্রার্থনা, যত দ্রুত সম্ভব সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে আসুন অমিতাভ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy