ছবির লুকে অমিতাভ।
করোনা-যুগ শুরু হওয়ার আগে ঠিক ছিল এপ্রিল মাসে মুক্তি পাবে ওই ছবি। কিন্তু হঠাৎই দেশজুড়ে মারণরোগের থাবা সব সমীকরণ ওলটপালট করে দেয়। মার্চের মাঝামাঝি সময় থেকেই তালা ঝুলতে থাকে সিনেমা হলগুলোতে। দরজা বন্ধ হয়ে যায় মাল্টিপ্লেস্কগুলোর। প্রচুর সংখ্যক ছবি মুক্তি একের পর এক পিছিয়ে যেতে থাকে। প্রযোজক থেকে পরিচালক পরিস্থিতি উন্নত হওয়ার আশায় দিন গুণতে থাকে।
কিন্তু সে গুড়ে বালি! সংক্রমণ কমার তো প্রশ্নই নেই উল্টে দিনের পর দিন বেড়ে চলেছে মৃত্যু সংখ্যা।
কিন্তু ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি বসে থাকবে আর কতদিন? দিন কয়েক আগেই ডিজিটালি ছবি মুক্তির কথা ভাবতে শুরু করে বলিউড। অবশেষে খুব শিগগিরি সেই ভাবনা বাস্তবায়িত হতে চলেছে।অনলাইনে মুক্তি পাচ্ছে ‘গুলাবো সিতাবো’।
আরও পড়ুন- মুভি রিভিউ ‘লা পাত্রি– হোমল্যান্ড’: শেকড়ের সন্ধানে নিরন্তর যাত্রা মন কাড়ে
কমেডি ড্রামা্র এই ছবিতে অমিতাভ একজন বয়স্ক বাড়িওয়ালা।চরিত্রের নাম গুলাবো। অন্য দিকে আয়ুষ্মান গুলাবোর ভাড়াটে। ছবিতে তাঁর নাম সিতাবো। বাড়িওয়ালা এবং ভাড়াটের গল্প নিয়েই এই ছবি। এর আগে সুজিতের ‘পিকু’ এবং ‘পিঙ্ক’ ছবিতে অভিনয় করেছেন অমিতাভ। দুটি ছবি দর্শকের মনে দাগ কেটেছিল। ‘গুলাবো সিতাবো’ কতটা গ্রহণযোগ্য হবে তা নিয়ে বেশ উৎসাহী বিগ-বি নিজেই।
টুইটারে মুক্তির দিনক্ষণ শেয়ার করে তিনি লিখেছেন, “৫১ বছর ধরে কাজ করছি। অনেক পরিবর্তন এবং চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়েছে। আবারও একটি চ্যালেঞ্জ। ২০০টির বেশি দেশে আমার ছবি 'গুলাবো সিতাবো' ডিজিটালি মুক্তি পেতে চলেছে। এই রকম একটি চ্যালেঞ্জের অংশীদার হতে পেরে আমি গর্বিত।“
শুধু ‘গুলাবো সিতাবো’-ই নয় করোনা কালে বলিপাড়ায় আটকে রয়েছে কপিল দেবের জীবন নিয়ে তৈরি ছবি ’৮৩’। ওই ছবির নাম ভূমিকায় রয়েছেন রণবীর সিংহ। আটকে রয়েছে জাহ্নবী কপূর অভিনীত ‘গুঞ্জন সাক্সেনা, দ্য কার্গিল গার্ল’ –এর মুক্তিও। লিস্টে রয়েছে বিদ্যা বালন অভিনীত ‘শকুন্তলা দেবী’। শোনা যাচ্ছে, ওই ছবিগুলোকেও ডিজিটালি রিলিজ করা যায় কী না সে বিষয়ে বিভিন্ন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে কথাবার্তা চালাচ্ছেন পরিচালক-প্রযোজকরা।
সিনেমার ভবিষ্যৎ কি তবে শুধুই ওয়েব প্ল্যাটফর্ম? পরিস্থিতি যে দিকে এগোচ্ছে তাতে করে এমনটাই মনে করছেন ইন্ডাস্ট্রির বৃহত্তম অংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy