Advertisement
০৪ নভেম্বর ২০২৪
Entertainment News

গৌতমদা চলে যাওয়া মানে একটা সময় হারিয়ে যাওয়া...

কখনও রেডিওতে পুরনো কোনও রেকর্ডিং বাজানো হলে, পুরনো গলা চিনতে পেরে ফোন করতাম। খুশি হতেন। দিলদরিয়া প্রাণখোলা মানুষ ছিলেন।

গৌতমের সঙ্গে ‘রাজা গজা’র দৃশ্যে অম্বরীশ।

গৌতমের সঙ্গে ‘রাজা গজা’র দৃশ্যে অম্বরীশ।

অম্বরীশ ভট্টাচার্য
শেষ আপডেট: ২৪ ডিসেম্বর ২০১৮ ১৫:৪৪
Share: Save:

গৌতমদার সঙ্গে আমার পরিচয় আমার কাজের শুরু থেকেই। ‘রাজা গজা’তে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। বন্ধুর মতো সম্পর্ক ছিল। উনি তো পুরনো দিনের থিয়েটারের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। রেডিও নাটকে অভিনয় করেছেন। আমার আবার পুরনো দিনের ইতিহাসে খুব আগ্রহ। ফলে সে সব গল্প শুনতে চেয়ে গৌতমদাকে বিরক্ত করতাম। উনি খুশি হতেন।

কখনও রেডিওতে পুরনো কোনও রেকর্ডিং বাজানো হলে, পুরনো গলা চিনতে পেরে ফোন করতাম। খুশি হতেন। দিলদরিয়া প্রাণখোলা মানুষ ছিলেন। ওঁর বাড়িতে বসে আড্ডা মেরেছি। আমাদের যে বয়সের ফারাক রয়েছে, বুঝতে দিতেন না।

মাস খানেক আগে গৌতমদার অসুস্থতার খবর জানতে পারি। তবে আমার দেখতে যাওয়া হয়নি। না গিয়ে হয়তো ভালই হয়েছে। গতকালই শঙ্কর চক্রবর্তীর সঙ্গে একটা অনুষ্ঠানে দেখা হয়েছিল। তখনও জানতাম না আর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই চলে যাবেন গৌতমদা। শঙ্করদা দেখতে গিয়েছিলেন। হাসি মুখের হইচই করা গৌতমদা কাউকে চিনতে পারছিল না। কথা বলতে পারছিল না। আমার মনে হয়, না গিয়ে ভালই হয়েছে। ওই গৌতমদাকে তো আমি দেখতে চাইনি।

আরও পড়ুন, বাংলা টেলি সিরিয়ালের জনপ্রিয় মুখ গৌতম দে প্রয়াত

মাস দুয়েক আগে ফোনে আমার সঙ্গে শেষ কথা হয়েছিল। ‘কুসুমদোলা’র একটা সিন দেখে মেসেজ করেছিলাম। বাঘের মতো অভিনয় করলে। তুমি দেখিয়ে দিলে। প্যাকআপের পরে ফোন করেছিল আমাকে। বলেছিল, ‘আজকালকার দিনে তো কেউ বলে না, খুব ভাল লাগল।’

আরও পড়ুন, গৌতমদাকে আর হাসিমুখে শুটিংয়ে দেখব না, ভাবতেই পারছি না

গৌতমদা চলে যাওয়া নিঃসন্দেহে বড় ক্ষতি। বিশ্বরূপা, রঙমহলের মতো হলগুলো যেমন হারিয়ে গেছে। গৌতমদাদের মতো মানুষদের চলে যাওয়া মানে সেই সময়টার হারিয়ে যাওয়া...।

(হলিউড, বলিউড বা টলিউড - টিনসেল টাউনের টাটকা বাংলা খবর পড়তে চোখ রাখুন আমাদের বিনোদনের সব খবর বিভাগে।)

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE