তারকাদের মধ্যে পার্থক্য বুঝিয়ে দিলেন অমাল মালিক। ছবি: সংগৃহীত।
১০ বছরের বেশি সময় কাটিয়ে ফেলেছেন সঙ্গীতজগতে। পারিবারিক আভিজ্ঞতা ছিলই। বাবা, কাকা, ঠাকুরদা— সকলেই সঙ্গীত জগতের মানুষ। যদিও তাতে যে বিশেষ সুবিধা হয়েছে নিজেকে প্রমাণ করতে, তা নয়। বরং নিজের পায়ের তলার মাটি শক্ত করতে হয়েছে নিজেকেই। তিনি অমাল মালিক। সম্প্রতি ‘ভুলভুলাইয়া ৩’ ছবিতে ‘আমি যে তোমার’ গানটিকে নতুন রূপ দিয়েছেন তিনি। দু’টি গানের একটি গেয়েছেন শ্রেয়া ঘোষাল, অন্যটি সোনু নিগম। দু’টিই এই মুহূর্তে ইউটিউবে সাড়া ফেলে দিয়েছে। ২০০৭ সালে প্রীতমের করা সুরে ‘আমি যে তোমার’ জনপ্রিয়তার যে শিখরে পৌঁছেছিল, সেখান থেকে তার খোলনলচে বদলে এই গানের নতুন উপস্থাপন। সেই গান তো বটেই, সঙ্গে বর্তমান প্রজন্মের তারকা, ভাই আরমান মালিক থেকে অরিজিৎ সিংহ, দিলজিৎ দোসাঞ্জ-সহ নানা প্রসঙ্গে আনন্দবাজার অনালাইনের সঙ্গে আড্ডা দিলেন অমাল মালিক।
প্রশ্ন: কেমন আছেন ‘ভুলভুলাইয়া ৩’-এর সাফল্যের পর?
অমাল: দুর্দান্ত আছি। ‘আমি যে তোমার’ ও ‘মেরে ঢোলনা’র দুটো ভার্সান যে দর্শক পছন্দ করেছেন, তাতে আমি আপ্লুত। তবে কাজটা সহজ ছিল না। গানটা বানাতে প্রায় ৯ মাস সময় লেগেছিল। প্রথম বার প্রীতমদা সুর করেছিলেন গানটা। সে গান লোকের মুখে মুখে ফিরত। আমি ভাগ্যবান যে, এমন একটা গানে নিজস্বতার ছোঁয়া দিতে পেরেছি। শুধু তা-ই নয়, দর্শক সেটা পছন্দও করেছেন।
প্রশ্ন: এই গানটা তৈরির পর এমন কোনও প্রতিক্রিয়া পেয়েছেন, যা আপনার মন ছুঁয়ে গিয়েছে?
অমাল: আমার কাছে যার প্রতিক্রিয়া সব থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল, সেই মানুষটি শ্রেয়া ঘোষাল। গান রেকর্ড করে খুশি হয়েছিলেন, সুর আর কথা দুই-ই ওঁর পছন্দ হয়েছে। তা ছাড়া, বলিউড সঙ্গীত জগতের অন্য সুরকারেরা যখন প্রশংসা করতে শুরু করলেন, সেটা সত্যিই আলাদা ভাললাগার জায়গা। সোনু নিগম আর একটা ভার্সন গেয়েছেন। গানটা যে ভাবে পুনর্নির্মাণ করা হয়েছিল তাতে তিনি খুশি হয়েছিলেন।
প্রশ্ন: প্রীতম চক্রবর্তীর সুরে গানটা তুমুল জনপ্রিয়তা পায়, সেই গান নতুন ভাবে দর্শকের সামনে উপস্থাপন করার ক্ষেত্রে সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ কী ছিল?
অমাল: এমন একটা আইকনিক গানের পুনর্নির্মাণ করার কাজটা খুব সহজ ছিল না। আমার মাথায় সব সময় একটাই ভাবনা কাজ করছিল, কথা ও সুর ভাল হতে হবে। যেটা ছবির চিত্রনাট্যের সঙ্গে মিলেমিশে যাবে, একই সঙ্গে দর্শকের মনও ছুঁয়ে যাবে। আমার খুব ভাল লাগছে এটা ভেবে যে, আমি এই ইন্ডাস্ট্রিকে একটা শাস্ত্রীয় সঙ্গীত দিতে পারলাম। এই গানের ৮০ শতাংশ যন্ত্রানুষঙ্গের লাইভ রেকর্ডিং করা হয়েছে। এই সময়ে এটা প্রায় বিরল একটা ঘটনা। প্রায় ২০-৩০ জন বাদ্যযন্ত্র শিল্পীকে নিয়ে কাজ করেছি আমরা। এটাও আমার জন্য গর্বের বিষয়।
প্রশ্ন: সোনু নিগমের ‘আমি যে তোমার’ ভার্সনের শেষের দিকটা প্রায় এক নিঃশ্বাসে গাওয়া, সেটা কী যন্ত্রের কারসাজি?
অমাল: না না, সোনুজি গানটা প্রথমে দু’ বার গাইলেন। তার পর তো রেকর্ডিংয়ে এক টেক-এ গেয়ে দিলেন। গানটা শুনলে বোঝাও যাবে, কাট সে ভাবে নেই। আসলে ছবির ক্লাইম্যাক্সে আসে গানটা, তাই প্রচুর বাদ্যযন্ত্র নিয়ে তা তৈরি করা হয়েছে। যার মধ্যে প্রতিহিংসা, নাটকীয়তা— সব কিছুর প্রয়োজন ছিল। আমার মনে হয়, সোনুজির অংশটা যদি অন্য কোনও গায়ক গাইতেন, তা হলে তাঁর মাসখানেক প্রস্তুতির প্রয়োজন হত। সহজে গাওয়াই যাবে না ওই অংশ। আসলে এই গানটিকে সম্পূর্ণতা দিতে পরিচালক আনিস বাজ়মি খুব সাহায্য করেছেন। বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে আবেগকে জড়িয়ে দিতে হয়েছে এই গানে। আমার অনেক দিন ধরেই ইচ্ছে ছিল, এমন একটি গান করার, আক্ষরিক অর্থে ‘বড় পর্দার গান’ যাকে বলে। সেই স্বপ্ন পূরণ হল।
প্রশ্ন: প্রীতম কি বললেন গানটা শুনে?
অমাল: আশা করছি, উনি এত দিনে শুনে ফেলেছেন, আমি খসড়া অংশটি পাঠিয়েছিলাম। আসলে আমি যখন গানটা করার প্রস্তাব পাই, তখনই ওঁকে ফোন করেছিলাম। কারণ যখনই কোনও পুনর্নির্মাণ করি, সেই গানের সুরকারের অনুমতি নিয়েই করি। ওঁর তরফে প্রথম থেকেই সদর্থক প্রতিক্রিয়া পেয়েছি। বিভিন্ন সময়ে আমার প্রশংসাই করেছেন।
প্রশ্ন: ‘আমি যে তোমার’ গানটি মাধুরী দীক্ষিত ও বিদ্যা বালনের উপর চিত্রায়িত। কিন্তু, শুধু শ্রেয়া ঘোষাল গাইলেন কেন? কেন দ্বিতীয় গায়িকার কথা ভাবলেন না?
অমাল: আসলে শ্রেয়ার কণ্ঠ দর্শক-শ্রোতার কানে যেমন বসে গিয়েছে, আমার হৃদয়েও ততটাই বসে গিয়েছে। আমার এতটাই পছন্দ ওঁর কণ্ঠ। আমি যদিও অন্য কাউকে ওঁর সঙ্গে গাইতে বলতাম, তা হলে তাঁকে অনেক পরিশ্রম করতে হত। প্রাথমিক ভাবে আমি নিজেও ভেবেছিলাম, দু’জন অভিনেত্রী আছেন যখন, দুটো কণ্ঠই ব্যবহার করব। কবিতা কৃষ্ণমূর্তি, চিত্রাজির কথা ভেবেছিলাম। কিন্তু, শ্রেয়া যে ভাবে দুটো চরিত্রের জন্য গেয়েছেন, গলার স্বরের যে ভাবে পরিবর্তন এনেছেন, তা মাধুরী ও বিদ্যা— দু’জনের সঙ্গেই মানিয়ে গিয়েছে। তার পরে আর অন্য কোনও উপায় দেখিনি।
প্রশ্ন: বলিউডে আপনার কাজের অভিজ্ঞতা ১০ বছরের বেশি। এখন তো একটা ছবির জন্য একাধিক সুরকার কাজ করেন। সুযোগ কমছে কি?
অমাল: আসলে এই নতুন ধারা শুরু হয়েছিল বছর দশেক আগে। সেই জন্যই আমার মতো নবাগত এক সময় সুযোগ পেয়েছিল। ফলে এই বিষয়টাকে আমার খুব খারাপ বলে মনে হয় না। যদিও অনেক সময় এটা দেখা গিয়েছে, একগাদা সুরকার নিয়েও কাজ ভাল হয়নি। আবার যদি ‘বদ্রীনাথ কি দুলহনিয়া’, ‘কপূর এন্ড সন্স’-এর মতো অ্যালবামগুলি দেখেন, সেগুলিতে একাধিক সুরকার রয়েছেন এবং প্রতিটা গানই সফল। আসলে আজকাল সুরকারদের এত কম সময় দেওয়া হয় গান বানানোর জন্য, মৌলিক ভাল গান পাওয়া দুষ্কর হয়ে যায়। বর্তমান সময়ে একটা গান বানানোর পিছনে অনেকগুলি মাথা থাকে— প্রযোজক, পরিচালক থেকে মিউজ়িক কোম্পানির কর্তাব্যক্তিরা। ফলে গান বানানোটা অত সহজ নেই আর। কেউই চান না, একটা-দুটো গান কিংবা রিমিক্স গান বানাতে। কিন্তু সময় নেই যে হাতে। অনেক সময় একাধিক সুরকার নেওয়া হয় অনেক বেশি সংখ্যক দর্শকের কাছে পৌঁছনোর জন্যে।
প্রশ্ন: দক্ষিণী চলচ্চিত্র জগতের পরিচালকেরা কিন্তু একটা ছবিতে একজন সুরকারের উপরেই ভরসা রাখেন... বলিউডের তুলনায় দক্ষিণের এই প্রবণতা সম্পর্কে আপনার কী মনোভাব?
অমাল: হ্যাঁ ঠিকই। কারণ, পরিচালককে সুরকারের পাশে থাকতে হবে। যেটা দক্ষিণী পরিচালকরা করেন। দেখুন, অ্যাটলির মতো পরিচালক শাহরুখ খানকে নিয়ে ছবি করছেন। গোটা অ্যালবাম করছেন অনিরুদ্ধ রবিচন্দ্র। এখানে হিন্দি ইন্ডাস্ট্রি পিছিয়ে। আসলে যাঁরা এখন সিনেমা বানাচ্ছেন, তাঁদের কাছে সময় বড্ড কম। ‘ফাস্ট ফুড’-এর মতো গান দরকার। যেখানে সময় নিয়ে গান বানানো হয়, কাজটা ভাল হয়। সে ক্ষেত্রে আপনি ‘অ্যানিম্যাল’, ‘এম এস ধোনি’, ‘কবীর সিংহ’-এর মতো অ্যালবাম দেখুন। সেখানে অনেক সময় দিয়ে গানগুলো বানানো হয়েছে। ‘কবীর সিংহ’-এর জন্য সন্দীপ রেড্ডি বঙ্গা এক বছরে উপর কাজ করেছেন। সেই জন্য অত ভাল অ্যালবাম বেরিয়েছে। নতুন প্রজন্মে অনেক ভাল সুরকার আছেন। কিন্তু সুযোগ কম।
প্রশ্ন: আপনার কাকা অনু মালিক, বাবাও গায়ক। তা হলে সুযোগ পাওয়াটা অনেকের তুলনায় সহজ ছিল নিশ্চয়ই?
অমাল: কাকা জনপ্রিয় সুরকার, বাবা এই ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে যুক্ত, দাদু সুরকার ছিলেন। সে দিক থেকে দেখলেই প্রথম খুব পোক্ত জায়গা না পেলেও হয়তো কিছু লোকজন চিনতেন। তাই, প্রাথমিক স্তরের কথাবার্তা হওয়াটা সহজ ছিল। তবে আপনার কাজের যদি জোর থাকে, তা হলে এই জায়গা টিকতে পারবেন, না হলে নয়। কাজ ভাল হলে ইন্ডাস্ট্রির বাইরে থেকে এলেও সমান সুযোগ পাবেন। অঙ্কিত তিওয়ারি, অর্কপ্রভ মুখোপাধ্যায়, বিশাল মিশ্র— এঁরা পরিশ্রম করে নিজেদের জায়গা তৈরি করেছেন। অথচ, তাঁরা কিন্তু মুম্বইয়ের মানুষই নন। এখানে টিকে থাকার একটাই উপায়— কাজ করে যেতে হবে। থেমে গেলে চলবে না।
প্রশ্ন: এই মুহূর্তে ভারতীয় যে শিল্পীর শোয়ের টিকিট নিয়ে হাহাকার পড়ে যায়, তিনি দিলজিৎ দোসাঞ্জ। বাকি শিল্পীদের নিয়ে কেন এমন হচ্ছে না? অমাল: আপনি যেটা দেখছেন, সেটা সমাজমাধ্যমের প্রচার। দিলজিৎ দোসাঞ্জ, কর্ণ অউজলা, অরিজিৎ সিংহ, দর্শন রাওয়াল— এঁরা কিন্তু সমাজমাধ্যমের যুগের তারকা। সারা বিশ্বে ইংরিজি ও স্প্যানিশের পর সব থেকে বেশি যে গান শোনা হয়, সেটা পঞ্জাবি। তাই পঞ্জাবি গান সর্বজনগ্রাহ্য। এই গানে যেমন আধুনিকতার ছোঁয়া রয়েছে, তেমনই রয়েছে মাটির টান। তাই এত জনপ্রিয়তা দিলজিতের। ২০ বছর আগে এক জন শিল্পীকে যে জায়গায় দেখেছেন, এই সময় দাঁড়িয়ে হয়তো তাঁকে আর সেই জনপ্রিয়তায় দেখা যাবে না। কিন্তু, সোনু নিগম, সুনিধি চৌহান, অলকা যাজ্ঞিক, কুমার শানুরা কিংবদন্তি হয়েই থেকে যাবেন। আমার মনে হয়, দিলজিৎ নিজেও চাইবেন না ওঁর সঙ্গে সোনুর তুলনা টানা হোক। বাকি যা দেখা যায়, সে সব নম্বরের খেলা।
প্রশ্ন: দিলজিৎকে এই মুহূর্তে ভারতের প্রথম ‘রকস্টার’-এর তকমা দেওয়া হচ্ছে। আপনি কতটা সহমত?
অমাল: আমার মনে হয়, ভারতের প্রথম ‘রকস্টার’ হিমেশ রেশমিয়া। দিলজিৎ এই প্রজন্মের সমাজমাধ্যমের তারকা। আর ‘পপ স্টার’ যদি বলি, সোনু নিগম ও আদনান সামি। আরমান মালিক আমার কাছে প্রথম রকস্টার, কারণ তিনিই প্রথম ভারতীয় গায়ক, যাকে টাইম স্কোয়্যারে দেখানো হয়েছিল। যদি দিলজিতের কথা বলি, সমাজমাধ্যমে যেমন দেখা যায়, মানুষটা হয়তো ততটাই মাটির কাছাকাছি। সেই জন্য দর্শক ওঁকে নিয়ে এত উৎসাহী। আসলে আজকাল ইনস্টাগ্রামে সকলে দেখনদারি করতেই ভালবাসেন। তবে দিলজিৎ আন্তর্জাতিক স্তরে একটা খ্যাতি পেয়েছেন।
প্রশ্ন: অরিজিৎ সিংহকে নিয়ে এত কাজ করেছেন। কেমন মানুষ তিনি? তাঁর জীবনযাপনও খুব সাধারণ, অন্তত সমাজমাধ্যমে তেমনটাই দেখা যায়।
অমাল: অরিজিৎ মানুষটাই আলাদা। সঙ্গীতই ওঁর ধ্যানজ্ঞান, গান ওঁর কাছে একটা প্রার্থনার মতো। ওঁর দেখানোর কিছু নেই। রেকর্ডিংয়ে আসে রিকশ করে। কখনও গাড়ি পার্ক করে ভুলে যায়। ওঁর কিছু যায়-আসে না। অরিজিৎ এ সবের ঊর্ধ্বে। তবে ভীষণ মজার মানুষ। রসিকতাও করে খুব। কখনও নিজের স্বর পরিবর্তন করে বলে, “আজ আর গাইতে পারব না।” কখনও আমাকে ডেকে বলবেন, যাতে আমি গেয়ে দিই। দু’ঘণ্টা হয়তো গাইলেনই না। অরিজিতের কাছে বিষয়টা এমন, গানটা যত ক্ষণ না পর্যন্ত একেবার নিখুঁত হচ্ছে, ছা়ড়বেন না। আমার মনে হয়, এই শতাব্দীতে ভারতীয় সঙ্গীতকে যিনি শ্রোতার হৃদয়ে পৌঁছে দিয়েছেন, তিনি একমাত্র অরিজিৎ।
প্রশ্ন: বাংলা গান শোনেন?
অমাল: না, সে ভাবে শোনা হয় না। তবে জিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের কিছু গান শুনেছি।
প্রশ্ন: কলকাতা থেকে এত গায়ক যাচ্ছেন, রিয়্যালিটি শো করছেন, কিন্তু তাঁরা প্লেব্যাকে সুযোগ পাচ্ছেন না কেন?
অমাল: দশ বছর আগে ৩০০টা ছবি হলে এখন ৩০টা ছবি হয় বছরে। ছবির সংখ্যা কমেছে। আর অনেক সময় নতুন গায়ককে ভরসা করার ব্যাপারে একটা ঝুঁকি থেকে যায়। আমার মতে, বলিউডকেই শুধু লক্ষ্য হিসাবে রাখা ঠিক নয়। সমাজমাধ্যমের দৌলতে শিল্পী তাঁর শ্রোতাদের কাছে পৌঁছতে পারেন। সিনেমার গানই একমাত্র উপায় নয় দর্শক অবধি পৌঁছনোর। আসলে রিয়্যালিটি শো অল্প সময়ে জনপ্রিয়তা দিয়ে ফেলে। পরিচিতি পাওয়া আর সাফল্যের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। যে দিন রিয়্যালিটি শোয়ের মঞ্চ ছাড়ছেন, সেটাই আপনার প্রথম দিন— এটা মাথায় রাখতে হবে। কাজ চাইতে হবে। স্টুডিয়োয় যেতে হবে। স্টারডমকে পিছনে ফেলে নতুন করে শুরু করতে হবে।
প্রশ্ন: এই মুহূর্তে ছবির সংখ্যা কমেছে বললেন, সুযোগ কমেছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) কি বাড়তি চিন্তার কারণ মিউজ়িক ইন্ডাস্ট্রির কাছে?
অমাল: আমার মনে হয় না, এটা কোনও চিন্তার কারণ। বরং সুবিধা হয়েছে। আগে যে মিক্সিং করতে মাস পেরিয়ে যেত, সেটা কয়েক দিনে হয়ে যাচ্ছে। এটা বরং বাড়তি সুবিধা। সিনেমার গানে সফ্টঅয়্যার সাহায্য করতে পারে মাত্র। মানুষই তো বানিয়েছে এই প্রযুক্তি, তাই না! প্রযুক্তি আজ পর্যন্ত মানুষের থেকে বেশি স্মার্ট হতে পারেনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy