গায়ক হিসাবে তাঁর যতখানি পরিচিতি, তার চেয়ে অনেক বেশি পরিচিতি গায়কের ভাই হিসাবে। তিনি অমাল মলিক। বৃহস্পতিবার গায়ক নিজেই সমাজমাধ্যমে জানালেন অবসাদে ভুগছেন। আর তাঁর এই অবস্থার জন্য সরাসরি দায়ী করলেন বাবা-মাকে। এমনকি ভাইয়ের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতির জন্যও দায়ী করেন তাঁদেরই। তাই পরিবারের সঙ্গে আর কোনও সম্পর্ক রাখতে চান না অমাল।
বৃহস্পতিবার ইনস্টাগ্রামে গায়ক লেখেন, “আজ আমি যেখানে এসে পৌঁছেছি, তার পর আমার যন্ত্রণার কথা না-বলে আর চুপ করে থাকতে পারছি না। আমার দিন রাত এক করে অন্যের জীবনের নিরাপত্তার কথা ভেবেছি, তবু বলা হয়েছে আমি কিছুই পারি না। আমার রক্ত, ঘাম কান্নার বিনিময়ে গত এক দশকে তৈরি হয়েছে ১২৬টি গান।”
অমাল সরাসরি আঙুল তুলেছেন তাঁর বাবা-মায়ের দিকে। তিনি লেখেন, “আমার অভিভাবকদের কার্যকলাপের কারণেই আমরা দুই ভাই পরস্পরের থেকে আলাদা হয়ে গিয়েছি।” বাবা-মা নাকি তাঁকে দিনের পর দিন অপদস্থ করার চেষ্টা করে গিয়েছেন। অমাল লিখেছেন, “গত কয়েক বছরে ওঁরা আমার ভাল থাকাকে বিপর্যস্ত করার চেষ্টা করছেন, আমার সমস্ত সম্পর্ক, বন্ধুত্ব, আমার ভাবনাচিন্তা, আমার আত্মবিশ্বাসকে খাটো করে দেখাতে চেষ্টা করছেন। কিন্তু আমি নিজের পথে চলছি, কারণ আমি জানি, আমি পারি এবং আমি বিশ্বাস করি আমার দৃঢ়তা রয়েছে।”
আরও পড়ুন:
সমাজমাধ্যমেই অমাল জানিয়েছেন, “আজ আমি এমন জায়গায় দাঁড়িয়ে রয়েছি, আমার সমস্ত শান্তি খোয়া গিয়েছে, মানসিক ভাবে আমি বিধ্বস্ত, বোধহয় আর্থিক ভাবেও। তবে এ সব নিয়ে আমি ভাবিত নই। তবে সব থেকে বড় বিষয়টি হল এই যে চিকিৎসক জানিয়েছেন আমি অবসাদগ্রস্ত। হ্যাঁ, এ সব কিছুর জন্য হয়তো শুধু আমিই দায়ী। কিন্তু আত্মমর্যাদা অসংখ্য বার ক্ষুণ্ণ হয়েছে আমার কাছের মানুষদের জন্যই।”
তাই পরিবারের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করতে চেয়েছেন তিনি। বলেছেন, “আমি আমার জীবন আর জীবনের শান্তি পুনরুদ্ধার করতে চাই।”
যদিও এ বিষয়ে সংবাদমাধ্যমের কাছে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন অমালের মা জ্যোতি মলিক। তিনি বলেছেন, “আমার ছেলের যা ইচ্ছে হয়েছে সে তা বলেছে, অন্যদের তা নিয়ে মাথা না ঘামালেও চলবে।”