ইদানীং আলিয়াকে ‘রাহার জননী’ বলে ডাকলে ডাকলে তিনি নাকি খুশিই হচ্ছেন। ছবি—ইনস্টাগ্রাম
জন্মের এক বছরের মাথায় সন্তানের মুখ প্রকাশ্যে এনেছেন প্রিয়ঙ্কা চোপড়া। বিপাশা বসু অত দেরি করেননি। কন্যা দেবীর জন্মের পর ৬ মাস না হতেই তার ছবি পোস্ট করে ফেলেছেন সমাজমাধ্যমে। কিন্তু বিপাশার কন্যার দু’মাস আগেই জন্ম নিয়েছে আলিয়া ভট্ট এবং রণবীর কপূরের কন্যা রাহা। তার ছবি দেখার জন্য অনুরাগীরা উদ্গ্রীব হয়ে থাকলেও এই মুহুর্তে যে দর্শন মিলবে না, তা স্পষ্ট করে দিলেন তারকা দম্পতি।
২০২২ সালের ৬ সেপ্টেম্বর জন্ম রাহার। ৬ মাস হয়ে গিয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই কৌতূহল প্রকাশ করছেন সবাই। ‘রণলিয়া’ অবশ্য কন্যার নিরাপত্তার বিষয়ে অত্যন্ত কড়া। কোনও ভাবেই ছবি তুলতে দেন না সাংবাদিকদের। আগে জানিয়েছিলেন, মেয়ের ২ বছর না হলে ক্যামেরায় মুখ দেখাবেন না। এখন কি মত বদলালেন? কী ভাবছেন রণলিয়া?
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে আলিয়া বললেন, “রণবীর একেবারেই চায় না রাহার ব্যক্তিজীবনে কোনও বিরক্তির উদ্রেক হোক। সবার সামনে এনে ফেলতে চাইছে না মেয়েকে। কোনও ছবি সমাজমাধ্যমে পোস্ট করতেও চাই না আমরা। কারণ এতে নানা কথা হবে, চর্চা হবে আমাদের মেয়েকে নিয়ে। তাতে আমরা অস্বস্তি বোধ করব।”
তবে ইদানীং আলিয়াকে ‘রাহার জননী’ বলে ডাকলে ডাকলে তিনি নাকি খুশিই হচ্ছেন। অভিনেত্রী জানালেন, যাঁদের ভালবাসেন তাঁদের ব্যাপারে তিনি খুব সাবধানী। কন্যাও সেই তালিকায় রয়েছে। তা ছাড়া, একটি শিশুর এখনই ‘পাবলিক ফিগার’ বা বিগ্রহ হয়ে ওঠার প্রয়োজন নেই বলেই মনে করছেন আলিয়া।
তিনি বোঝেন যে, মানুষের কৌতূহল থাকবেই। মুম্বই শহরে রাহার হাত ধরে কিছুক্ষণ রাস্তায় হাঁটা অসম্ভব ব্যাপার। সব সময় হাজার হাজার চোখ তাঁদের পর্যবেক্ষণে রেখেছে। এতে হাঁপ ধরে আসে বলে জানান অভিনেত্রী। সম্প্রতি তাঁর ৩০ বছরের জন্মদিনে রণবীর আর রাহার সঙ্গে উড়ে গিয়েছিলেন লন্ডনে। খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছেন।
আলিয়ার কথায়, “কেউ বিরক্ত করেনি আমাদের। এত শান্তিতে আমরা নিজেদের মতো সময় কাটিয়েছি যে, দিনগুলো স্বপ্নের মতো ছিল।” তবে মুম্বই বিমানবন্দরে আলোকচিত্রীরাও যে রাহাকে দেখলে ক্যামেরা নামিয়ে রাখেন, এ কথা স্বীকার করেছেন আলিয়া। তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন, রাহার একটি ছবিও এখনও অবধি প্রকাশ্যে না আনার জন্য। তাঁর কথায়, “ওঁদের সহযোগিতা ছাড়া আমরা মেয়ের নিরাপত্তা বজায় রাখতে পারতাম না।” রণবীর এবং আলিয়া দু’জনেই চান রাহাকে আর পাঁচজন শিশুর মতো বড় করতে। সে স্কুলে যাবে, সবার সঙ্গে খেলবে। তারকাসন্তান হওয়ার জন্য শৈশবের আনন্দ মাটি হোক রাহার, একেবারেই চান না দম্পতি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy