‘মোহর’ ধারাবাহিকে রাহুল, মোহর ও শঙ্খ
এক দিকে নিন্দের ঝড়। অন্য দিকে, যুক্তি দিয়ে সেই নিন্দে খন্ডানোর চেষ্টা। ‘মোহর’-এর নতুন পর্ব এ ভাবেই দুই দলে ভাগ করে দিয়েছে নেটাগরিকদের। কী ভাবে? এত দিন মোহরের শত্রু তালিকায় শীর্ষে ছিলেন শ্রেষ্ঠা ম্যাম আর ছোটকা। নতুন সংযোজন অধ্যাপক রাহুল চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু রাহুল যে আরও বিষাক্ত, কেউ বুঝতেই পারেননি। বুঝতে পারেনি স্বয়ং মোহরও। তাই শ্রেষ্ঠা ম্যাম যখন বলেছিলেন, চড়ুইভাতিতে শঙ্খও থাকবে আগুপিছু চিন্তা করেনি সে। বাগানবাড়িতে বাকি ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে সেও গিয়েছে। অঘটন সেখানেই। খাবারে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে মোহরকে এক ঘরে বন্দি করে ফেলেছে রাহুল! নিজের সম্মান কী করে বাঁচাবে মোহর?
কলেজ অধ্যাপকের এই আচরণ মেগায় উঠে আসতেই সমাজ মাধ্যমে শুরু জোর বিতর্ক। বিস্মিত নেটাগরিকদের একটা বড় অংশের জিজ্ঞাসা, ‘আর কোনও দিন কোনও শিক্ষার্থী শিক্ষকদের সঙ্গে চড়ুইভাতিতে যাওয়ার সাহস পাবে? এটা কী দেখালেন লীনা ম্যাম? ছিঃ ছিঃ! ধিক্কার জানাই। এটা স্টুডেন্ট কমিউনিটি আর টিচার কমিউনিটিকে অপমান!’
রাহুল আর মোহর এক ঘরে থাকায় মোহরকে ভুল বুঝতে পারে শঙ্খ। আরও অবনতি হবে তাঁদের সম্পর্কে। কিন্তু বেহুঁশ মোহর যে নিরুপায়! এই নিয়েও দারুণ চিন্তায় ‘মোহদীপ’-এর অনুরাগীরা। তাঁদের মত, ‘এ বার দেখার শঙ্খের কী অবস্থা হয়? শঙ্খ নিশ্চয়ই অবিশ্বাস করবে মোহরকে। কারণ, মোহর তো পালানোর মতো অবস্থায় নেই।’ কিছু জন মনেপ্রাণে চাইছেন, ‘এখন মোহরের ওপর যা ঘটতে চলেছে আশা করি মোহর এর পর কাউকে এত সহজে আর বিশ্বাস করবে না। বোকামি করে আর ভুল করবে না।’
নেতিবাচক, সমালোচনার পাশাপাশি ইতিবাচক মন্তব্যও যদিও রয়েছে। বেশ কিছু অনুরাগী ভরসা রেখেছেন চিত্রনাট্যকারের উপর। তাঁরা মনেপ্রাণে বিশ্বাস করেন, ‘লীনা ম্যাম বরাবরই চূড়ান্ত নেতিবাচক দিক দেখান সবার চোখ খুলে দেওয়ার জন্য। আগাগোড়া মোহর সমাজের জ্বলন্ত প্রতিচ্ছবি। তাই সমাজে যা খারাপ ঘটে তার ছায়া পড়ে এই ধারাবাহিকে। আজগুবি কিছু দেখানো হয় না বলেই রেটিং কমছে মোহর-এর। তবু ভরসা রাখছি ধারাবাহিকের উপর।’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy