নানা টুইটে ছেয়েছে টুইটারের দেওয়াল। গ্রাফিক-তিয়াসা দাস।
‘শঙ্খ বাজালে রক্ত চলাচল ভাল হয়, ভাইরাসের কাজ করার ক্ষমতা হ্রাস পায়’ — দাবি করেছিলেন অমিতাভ। টুইটও করেছিলেন তিনি। তবে নেটাগরিকদের চরম ট্রোলে শেষমেশ সেই টুইট মুছতে বাধ্য হলেন বিগ-বি।
করোনা আক্রমণে কাঁপছে বিশ্ব। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ডাকে সাড়া দিয়ে গত রবিবার বিকেল পাঁচটায় এই সংকটময় পরিস্থিতিতেও যাঁরা কাজ করে যাচ্ছেন, তাঁদের ধন্যবাদ জ্ঞাপনের জন্য হাততালি দিয়েছিল, শঙ্খ-কাঁসর বাজিয়েছিল সারা ভারত।
তবে অনেকেই দাবি করেছিলেন, শাঁখ থেকে নির্গত শব্দতরঙ্গ নাকি ভাইরাসে প্রতিরোধে কার্যকরী ভূমিকা নেবে। তাঁদের সুরে সুর মিলিয়ে অমিতাভ লেখেন, “২২ তারিখ অমাবস্যা। মাসের সবচেয়ে কালো দিন। ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়ার ক্ষমতা এই সময়েই বৃদ্ধি পায়। এই সময় শাঁখ বাজালে সেই সব ভাইরাসের বিনাশ ঘটে। এই দিনই চন্দ্রকে অতিক্রম করবে রেবতি নক্ষত্র। আর এই নক্ষত্রই রক্ত চলাচল সচল রাখতে সাহায্য করবে।”
দেখুন অমিতাভের কোন পোস্ট নিয়ে এত বিতর্ক
আরও পড়ুন- বলিউড অনেক আগেই আমায় আইসোলেশনে পাঠিয়েছে: তনুশ্রী দত্ত
এর পরেই সমালোচনার ঝড় ওঠে সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে। এক জন লেখেন, “এত বড় এবং প্রভাবশালী মানুষের কাছ থেকে কুসংস্কার যুক্ত পোস্ট ভুল ব্যাখ্যা দেয়। আপনার আরও দায়িত্বশীল হওয়া উচিত।”অন্য এক টুইটাররেত্তির বক্তব্য, “কী ভাবে চিকিৎসা ব্যবস্থা উন্নত করা যাবে সেই বিষয়ে টুইট না করে আপনি এ সব কী লিখছেন? আপনার কাছ থেকে এ সব মোটেও আশা করা যায় না।”
রোষের মুখে পড়েই পরে সেই টুইট মুছে দেন অমিতাভ। যদিও ট্রোলিং থামেনি এর পরেও। এক জনের বক্তব্য, “টুইটটা মুছেই দিলেন। আপানার কথা তো প্রায় বিশ্বাসই করে ফেলেছিলাম।”কোনও বৈজ্ঞানিক প্রমাণ ছাড়াই কেন তিনি ওই পোস্ট শেয়ার করেছিলেন অমিতাভ? — সে বিষয়ে এখনও কোনও মন্তব্য করেননি তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy