অদিতি মুন্সি। গ্রাফিক : সনৎ সিংহ।
আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে সরব তারকা থেকে সাধারণ মানুষ। তবে এই প্রতিবাদ ঘিরে চলেছে দল বিভাজান। চলছে ‘আমরা-ওরা’। এক দিকে রয়েছেন তৃণমূলের সাংসদ, বিধায়ক, তারকারা। অন্য দিকে বাকি তারকারা। যদিও এর মাঝে বামমনস্ক তারকাদের কেউ কেউ আবার ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন তৃণমূলের তারকা সাংসদ ও বিধায়কদের নিয়ে। ইতিমধ্যেই সমাজমাধ্যমে ট্রোল্ড হতে হয়েছে সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়, সায়নী ঘোষদের। আরজি কর-কাণ্ডে যখন পথে নেমে প্রতিবাদ করেছেন সাধারণ মানুষ থেকে তারকারা, তখন তাঁদের দেখা গিয়েছে ১৬ অগস্ট মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকা পদযাত্রায়। তবে শুধু রচনা-সায়নী নয়, শাসকদলের আরও এক বিধায়ককে নিয়ে চলছে নিরন্তর কটাক্ষ সমালোচনা। তিনি অদিতি মুন্সি। রাজারহাট গোপালপুর বিধানসভার বিধায়ক। কীর্তনশিল্পীকে নিয়ে নানা কুরুচির মন্তব্য করেছেন নেটাগরিকেরাও। এ বার জবাব দিলেন অদিতি।
এমনিতেই মিতভাষী। পেশায় সঙ্গীতশিল্পী। মূলত কীর্তনই গেয়ে থাকেন অদিতি। আরজি করের তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যুতে তিনি আর পাঁচ জনের মতো কেন পথে নেমে প্রতিবাদ করলেন না, সেই নিয়ে সরব হয় নেটপাড়া। অদিতির গানের ঘরানা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। যে হেতু ভক্তিগীতির শিল্পী অদিতি, তাই সেই প্রসঙ্গ তুলে কেউ কেউ ‘অতিভক্তি চোরের লক্ষণ’-সহ নানা কটূক্তি করেন।
এ বার নিন্দকদের কড়া জবাব দিলেন। অদিতি লেখেন, ‘‘স্বাধীনতার ৭৭ বছর পর নারী নির্যাতন নিয়ে প্রতিবাদ করতে হচ্ছে, এটা ভাবলেই ঘেন্না হচ্ছে। আমি জানি এর পরেও অনেক মানুষ ব্যক্তিগত আক্রমণ করবেন, তবে সেটা আপনাদের ব্যক্তিগত রুচি। আপনারা যাঁরা দীর্ঘ দিন আমার সঙ্গে আছেন, তাঁরা জানেন যে আজ পর্যন্ত আমি সঙ্গীত বাদে কোনও রাজনৈতিক পোস্ট তো দূরের কথা, এমনকি কোনও নেতিবাচক কথাও বলিনি। কারণ আমার ধর্ম, আমার শিক্ষা, আমার সঙ্গীত, ঘৃণা নয়— ভালবাসার কথা বলে। আজ যাঁরা এর প্রতিদানে এত আঘাতে ভরিয়ে দিলেন, তাঁদের ধন্যবাদ।’’ শেষে অদিতির সংযোজন, শুধু আরজি কর-কাণ্ড নয়, প্রত্যেকের সঙ্গে হতে থাকা সমস্ত অপরাধের বিচার চান তিনি। সেই বিচার ঈশ্বরের হাতেই হবে বলে জানান অদিতি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy