মাত্র চারটি পর্ব। অভিনেতাদের ভিড় নেই। তা সত্ত্বেও সারা বিশ্বে আলোড়ন ফেলে দিয়েছে নেটফ্লিক্সের নতুন ওয়েব সিরিজ় ‘অ্যাডোলেসেন্স’। মার্চ মাসে মুক্তিপ্রাপ্ত সিরিজ়টি এখনও পর্যন্ত প্রায় ১০ কোটি দর্শক দেখে ফেলেছেন। পাশাপাশি, সমাজে সমান্তরাল চিন্তার স্রোতের জন্ম দিয়েছে সিরিজ়টি। কেন এই সিরিজ় নিয়ে কৌতূহল সময়ের সঙ্গে বাড়ছে?
আরও পড়ুন:
১) ১৩ বছরের এক কিশোরকে কেন্দ্র করে বোনা হয়েছে সিরিজ়ের গল্প। জ্যামি (ওয়েন কুপার) নামের সেই ছেলেটি নাকি ক্লাসের এক সহপাঠিনীকে খুন করেছে। ছেলেটির গ্রেফতার এবং তদন্ত প্রক্রিয়াই সিরিজ়ের একটা বড় অংশ জুড়ে রয়েছে।
২) একের পর এক প্রমাণের বিপরীতমুখী কাটাছেঁড়া এবং অন্য দিকে সন্তানের প্রতি পরিবারের ভরসা মিশে দর্শককে এক অন্য দুনিয়ায় টেনে নিয়ে যায়।
৩) ফিলিপ বারানটিনি পরিচালিত সিরিজ়টির প্রতিটি পর্ব ‘সিঙ্গল টেক’-এ (এক বারে) শুট করা হয়েছে। ফলে দর্শকের কাছে তা অন্য অভিজ্ঞতা নিয়ে আসে। দীর্ঘ দিন মহড়া না দিলে এই ধরনের শুটিং সম্ভব নয়। উল্লেখ্য, এর আগে অস্কারজয়ী ছবি ‘বার্ডম্যান’ ছবিটিরও একই পদ্ধতিতে শুটিং করেছিলেন নির্মাতারা।
৪) বয়ঃসন্ধি পর্বে সমাজমাধ্যম, বন্ধু এবং পরিবারের মধ্যে একজন কিশোরের জটিল মনস্তত্ত্বকে যে ভাবে তুলে ধরেছে সিরিজ়টি, তা প্রশংসনীয়। ইতিমধ্যেই ব্রিটেনের স্কুলছাত্রদের মধ্যে নারীবিদ্বেষ বন্ধ করার জন্য এই সিরিজ়টি দেখানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
৫) সিরিজ়ে প্রত্যেকের অভিনয়ই নজরকাড়া। তবে আলাদা করে জ্যামির ভূমিকায় ওয়েন এবং তার বাবা এডির চরিত্রে স্টিফেন গ্রাহামের অভিনয় দর্শককে নাড়া দেয়।