বলিউডে অসফল কেরিয়ারের জন্য পরোক্ষে বাবা শেখরকেই দুষলেন অধ্যয়ন। — ফাইল চিত্র।
সম্প্রতি, বলিউডে তাঁকে কোণঠাসা করা হয়েছিল বলে একটি সাক্ষাৎকারে অভিযোগ করেছিলেন প্রিয়ঙ্কা চোপড়া। তার পরেই প্রিয়ঙ্কার প্রসঙ্গ টেনে একের পর এক টুইট করেছিলেন শেখর সুমন। অভিনেতা জানিয়েছিলেন, এক সময় তাঁর এবং তাঁর পুত্র অধ্যয়ন সুমনের বিরুদ্ধে মায়ানগরীর অনেকেই দল পাকিয়েছিলেন।
শেখরের পুত্র অধ্যয়নও এক সময়ে পা রেখেছিলেন বলিউডে। ২০০৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘হাল এ দিল’ ছিল তাঁর প্রথম হিন্দি ছবি। কিন্তু এর পর সময়ের সঙ্গে মায়ানগরীতে অধ্যয়নের সাফল্য রয়ে গিয়েছে অধরা। এক সময় প্রচারের আলো থেকে দূরে চলে যান তিনি। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে বলিউডে কাজ না পাওয়ার ব্যাপারে মুখ খুলেছেন অধ্যয়ন। এরই সঙ্গে বলিউডে কাজ না পাওয়ার জন্য তিনি তাঁর বাবার দিকেই আঙুল তুলেছেন।
নব্বইয়ের দশকে ‘মুভার্স অ্যান্ড শেকার্স’ বলে একটি টক শো সঞ্চালনা করতেন শেখর। অধ্যয়নের মতে, শেখরের এই শোয়ের জন্যই পরবর্তী সময়ে ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ পেতে সমস্যায় পড়েছিলেন তিনি। অভিনেতার কথায়, ‘‘চিত্রনাট্যে থাকলেও শোয়ে কয়েক জনকে নিয়ে বাবার করা মন্তব্য একাংশের পছন্দ ছিল না। বাবা কিন্তু কাউকে ব্যক্তিগত আক্রমণ বা কারও সম্পর্কে কোনও খারাপ ভাষা ব্যবহার করেননি।’’ এখানেই না থেমে অধ্যয়ন বলেন, ‘‘ওটা শুধুমাত্র একটা অনুষ্ঠান ছিল। কিন্তু কয়েক জন সেটাকে ব্যক্তিগত স্তরে নিয়ে গিয়েছিলেন। হয়তো ভেবেছিলেন শেখরের বদলা তাঁর ছেলের উপর নেবেন!’’
নিজের কাজ না পাওয়ার জন্য বাবার সঙ্গে ইন্ডাস্ট্রির বাকিদের সম্পর্কের বিষয়টিও তুলে ধরেছেন অধ্যয়ন। তিনি জানিয়েছেন, অনেকেই নাকি অভিনেতাকে বলেছেন যে শেখরের সঙ্গে সুসম্পর্ক না থাকার কারণেই অধ্যয়নকে কেউ কাজ দিতে চাননি। অধ্যনের কথায়, ‘‘সম্প্রতি একজন সুপারস্টারের বিরুদ্ধে আমাকে খলনায়কের প্রস্তাব দেওয়া হয়। কিন্তু শেষ মুহূর্তে চুক্তি স্বাক্ষরের আগে আমাকে বাদ দেওয়া হয়।’’এছাড়াও জনৈক প্রযোজক তাঁর বিরুদ্ধে নিয়মানুবর্তিতা না থাকার অভিযোগ এনেছিলেন। এই প্রসঙ্গে অধ্যয়ন বলেছেন, ‘‘আমার সামনে ফোনে শুনেছি উনি আমাকে কাস্ট করতে নিষেধ করছেন। কারণ আমি নাকি মাদক সেবন করি!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy