বেরিয়ে বাঁচেন রুক্মিণী মৈত্র? ছবি: ফেসবুক।
রুক্মিণী মৈত্রের পায়ের তলায় নাকি সর্ষে! সুযোগ পেলেই তিনি বেড়াতে বেরিয়ে পড়েন। সঙ্গী অবশ্যই দেব। কখনও গ্রিস, কখনও পারস্য। আর কোথাও সুযোগ না পেলে তাইল্যান্ডেই খুশি। গড়পড়তা বাঙালি বেড়াতে এমনিতেই ভালবাসে। দেবের ‘দেবী’ কি একটু বেশিই?
যেমন, অগস্টে যুগলের বিদেশ ভ্রমণ। পুজোর ছবি ‘টেক্কা’র সাফল্য উদ্যাপনে ফের তাঁরা বাইরে। কেন প্রায়ই তিনি ব্যাগপত্তর গুছিয়ে বিমানের টিকিট কাটেন? সম্প্রতি, সেই রহস্য নায়িকা নিজেই ফাঁস করেছেন। তাঁর বক্তব্য, অনুরাগীরা সারা ক্ষণ মাথায় তুলে রাখেন। যার জেরে তিনি নিজেও নিজেকে কেউকেটা ভাবতে থাকেন। এই বেড়ানো তাঁকে মাটির কাছাকাছি নিয়ে আসে।
রুক্মিণীর যুক্তি শুনে অবাক হচ্ছেন? তা হলে নায়িকার পুরো বক্তব্য জানুন। সম্প্রতি বেড়াতে যাওয়া নিয়ে নায়িকা মুখ খুলেছেন। সেই ভিডিয়ো প্রকাশ্যে। সেখানে তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, “বেড়ানো আমার কাছে এক ধরনের ‘থেরাপি’। কিছু দিন সব কোলাহল থেকে সরে থাকার ভীষণ ভাল পদ্ধতি। একই সঙ্গে প্রকৃতির কোলে সময় কাটিয়ে নিজেকে মাটির কাছাকাছি রাখতে পারি। সেই জন্যই প্রতৃতির কোলে বেশি সময় কাটাই।” তিনি আরও যোগ করেছেন, অভিনয়ের কারণে অনুরাগীরা সারা ক্ষণ কিছু না কিছু প্রশংসা করেই চলেছেন। যার জেরে এক এক সময় নায়িকাও নিজেকে বিরাট কিছু মনে করতে থাকেন। সে ক্ষেত্রে প্রকৃতি তাঁর প্রকৃত শিক্ষাদাতা।
রুক্মিণীর কথায়, “যেখানে বেড়াতে যাই, সেখানে আমায় কেউ চেনেন না। বুঝতে পারি, বিশাল ব্রহ্মাণ্ডে আমি ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র কণা মাত্র। মনের মধ্যে জমে থাকা অহং কমতে থাকে। আমিও আবার পুরনো ‘আমি’ হয়ে যাই।” বেড়ানো তাঁকে এত কিছু দেয় বলেই রুক্মিণী অবসরে ব্যাগ কাঁধে বেরিয়ে পড়ার সুযোগ হাতছাড়া করেন না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy