সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ‘কাছের মানুষ’ সুব্রত বারিশওয়ালা। ছবি: ফেসবুক।
প্রথম প্রেম ভাঙার পর জীবন থেকে মুখ ফিরিয়েছিলেন বারিশ। সারা ক্ষণ আত্মহত্যার কথা ভাবতেন। চেষ্টাও করেছেন বহু বার। আনন্দবাজার অনলাইনকে তিনি জানিয়েছেন, পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায় তাঁকে জীবনমুখী করেছেন। পরিচালকের ‘এক্স= প্রেম’ ছবিতে গান লিখে বিনোদন দুনিয়ায় তাঁর যাত্রা শুরু। এ বছরের পুজোর ছবি ‘টেক্কা’তেও গান রয়েছে তাঁর। পরিচালককে নিজের পথপ্রদর্শক মেনে চলেন তিনি। সেই বারিশ আবারও নাকি প্রেমে হাবুডুবু! তাঁর সমাজমাধ্যম জুড়ে দিন তিনেক ধরে প্রেমের কাব্যের ছড়াছড়ি।
যা রটেছে, বাস্তবে তাই-ই কি ঘটেছে? ঘটে থাকলে সৃজিতই কি তাঁর ‘লভগুরু’?
খোঁজ নিতে আনন্দবাজার অনলাইন যোগাযোগ করেছিল। বারিশ স্বীকার করেছেন তাঁর নতুন প্রেমের কথা। লাজুক স্বরে বলেছেন, “এক বছরের বন্ধুত্ব। ধীরে ধীরে সেটাই ভালবাসার রূপ নিচ্ছে। বলতে পারেন, তারই বহিঃপ্রকাশ ঘটছে আমার লেখায়।” তার পরেই হাসতে হাসতে জানিয়েছেন, সৃজিত তাঁকে জীবনে ফেরালেও প্রেমে ফেরাতে পারেননি। পরিচালক তাঁর মনে জীবনের প্রতি আগ্রহ ফিরিয়ে দিয়েছেন। প্রেমের প্রতি পুনরায় বিশ্বাস গড়ে তুলেছেন। এই ইতিবাচকতাই তাঁকে আবারও ভালবাসতে শিখিয়েছে।
সমাজমাধ্যমে বারিশের ‘টু লাইনার’ বা ‘কাপলেট’, অর্থাৎ দুই পঙ্ক্তির কবিতা এরই মধ্যে জনপ্রিয়। কাড়াকাড়ি করে নিজেদের সমাজমাধ্যমে ভাগ করে নিচ্ছেন অনুরাগীরা। বারিশের ভালবাসার বৃষ্টিতে মনের আনন্দে ভিজছেন তাঁরা। গীতিকার কিন্তু সে সব পেরিয়ে আরও এক ধাপ এগিয়ে গিয়েছেন। খবর, আগামী বইমেলায় তাঁর দুই পঙ্ক্তির কবিতারা দুই মলাটে বন্দি হয়ে বই আকারে প্রকাশিত হতে চলেছে। যাঁকে ভেবে বারিশের এত অনুভূতি, সেই প্রেয়সী কি জানেন প্রেমের কথা? গীতিকারের মতে, হয়তো কিছু বোঝে। হয়তো বোঝে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy