অঙ্কিতা চক্রবর্তী। ছবি: সংগৃহীত।
নিজের শহরকে নিয়ে, বাংলা ও বাঙালিকে নিয়ে গর্বের শেষ নেই অভিনেত্রী অঙ্কিতা চক্রবর্তীর। কাজের সূত্রে এই মুহূর্তে তিনি মুম্বইয়ে। কিন্তু শহরবাসীদের থেকে মানসিক ভাবে একটুও দূরে নেই তিনি। বিশেষ করে রবিবারের মহামিছিল নিয়ে তিনি আপ্লুত। সেই আবেগে সমাজমাধ্যমে এক ভিডিয়োবার্তায় বলেছেন, “কলকাতাবাসী হওয়ার জন্য, বাঙালি হওয়ার জন্য গর্বে মাথাটা উঁচু হয়ে গেল। আমরা আবার দেখতে পেলাম, ফ্ল্যাট কালচারে আবদ্ধ বাঙালি রবিবারের ভাতঘুম ছেড়ে রাস্তায় নেমে পড়েছে।” দূরে থেকেও তাঁর সহকর্মী, শহরবাসীদের যন্ত্রণা অনুভব করতে পারছেন তিনি। সেই জায়গা থেকে তাঁরও প্রত্যেকের প্রতি সহমর্মিতা রয়েছে।
শুধুই মিছিল নয়, রবিবার ফের রাত দখলে টলিউড। জনতার সঙ্গে ধর্মতলায় এ দিন পথেই রাত কাটিয়েছেন স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়, বিদীপ্তা চক্রবর্তী, সুদীপ্তা চক্রবর্তী, শোভন গঙ্গোপাধ্যায়, দেবলীনা দত্ত-সহ অনেকেই। তাঁদের প্রত্যেককে কুর্নিশ জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শাসকদলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের প্রতি। মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি অঙ্কিতার অনুযোগ, “একটি ভিডিয়োবার্তায় ওঁর কাছে অনুরোধ জানিয়েছিলাম, শাসকদলের প্রধান হিসাবে নয়, একজন নারী হিসাবে আপনি বিচার এনে দিন।” পরের দিনই মুখ্যমন্ত্রী দলীয় প্রতিনিধিদের নিয়ে পথে নামেন। মিছিল করে বিচার চান। অঙ্কিতা অবাক, যিনি শাসনের শীর্ষে, তিনি কার কাছে বিচার চাইছেন?
অঙ্কিতা কিন্তু শুধু মুখ্যমন্ত্রীকে বিঁধেই ক্ষান্ত নন। তিনি তোপ দেগেছেন দলীয় মুখপাত্র কুণালের বিরুদ্ধেও। সমাজমাধ্যমে অরিজিৎ সিংহের বিরুদ্ধে তাঁর বক্তব্য রাখা নিয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন অভিনেত্রী। জানিয়েছেন, গায়কের মতো জীবনযাপন ও অধ্যবসায় থাকলে হয়তো দেশের রাজনীতিবিদদের অনেক উন্নতি হত। একই সঙ্গে তিনি তুলে ধরেছেন অনেক না পাওয়ার কথা। তার পরেই তাঁর সতর্কবার্তা, “এগুলোয় যখন রাজনৈতিক মহল চুপ, তা হলে এখনও চুপ থাকুন! একদম ধমকাবেন না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy