বন্ধু কাঞ্চনকে ‘ত্যাগ’ করলেন সুদীপ্তা। গ্রাফিক : শৌভিক দেবনাথ।
কাঞ্চন মল্লিকের সঙ্গে কি আজকের আলাপ? কাঞ্চন যখন নাট্যকর্মী, প্রতিষ্ঠা পেতে লড়াই করছে তখন থেকে ওকে চিনি। ও আমাদের নাটক দেখতে আসত। আমরাও যেতাম। সেই মানুষটা কি রাজনীতির ওষুধ খেয়ে বদলে গেল? না কি অসুস্থ? কী করে বলল, জুনিয়র চিকিৎসকেরা বেতন, বোনাস নেবেন না! বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিক কি জানেন না, ওঁরা স্টাইপেন্ড পান। বেতন, বোনাস কিচ্ছু পান না!
আমি রাজনীতির অলিন্দে নেই। নির্বাচিত প্রার্থীও নই। তাই আমি কিছু বললে হয়তো ততটাও গুরুত্ব পাবে না, যতটা কাঞ্চন বললে পাবে। ও কি সেটাও বুঝতে পারছে না? অনেক সময় দলীয় কারণে বক্তব্য না-ই রাখা যেতে পারে। তার মানে তো এটা নয়, যা খুশি বলবে!
কাঞ্চনের রবিবারের বক্তব্য শুনতে শুনতে ওর লড়াইয়ের কথা মনে পড়ে যাচ্ছিল। অনেক কষ্ট করে আজ ও এই জায়গায় পৌঁছেছে। আজ সেই লড়াকু কাঞ্চনের মুখে অন্যের লড়াই নিয়ে এই কথা শুনে আমি হতবাক, বিস্মিত, বাক্রুদ্ধ! যে নিজে লড়াই করেছে, সে কী করে অন্যের লড়াই ভুলে যেতে পারে? মানুষ যন্ত্রণায় কাঁদছে। আমরা বিচার চেয়ে পথে নেমেছি। খেতে, ঘুমোতে পারছি না। কাঞ্চন, এক বার আমাদের অবস্থানটাও অনুভব কর!
জানি, ওকে এখনও অনেক কথা শুনতে হয়। ওর ব্যক্তিজীবন নিয়ে। সে সব নিয়ে সমাজমাধ্যমে বা সংবাদমাধ্যমে মুখ খুলব না। ওকে ডেকে সটান বলব। কিন্তু ও সংবাদমাধ্যমে মুখ খুলেছে বলেই আমিও সমাজমাধ্যমে বলতে বাধ্য হচ্ছি। বয়কট নয়, বন্ধু কাঞ্চনকে আমি ‘ত্যাগ’ দিলাম।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy