Actor Sumeet Saigal faded away from the industry very soon dgtl
bollywood
অভিনয়ের সঙ্গে দক্ষ নাচেও, গোবিন্দর জন্য ইন্ডাস্ট্রি থেকে হারিয়ে যান এই সুদর্শন নায়ক
ছোট থেকে তারকাদের দেখতে দেখতে সুমিতও ঠিক করেন বড় হয়ে অভিনেতা হবেন।সুদর্শন সুমিতের প্লাস পয়েন্ট ছিল উচ্চতা। তবে প্রথম ছবি থেকেই তাঁর তুলনা হতে থাকে গোবিন্দর সঙ্গে।
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ০৮ অক্টোবর ২০২০ ০৮:৩২
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৭
আরবসাগরের তীরে কেরিয়ার শুরু করেছিলেন প্রত্য়াশা জাগিয়ে। কিন্তু কয়েক বছরের মধ্য়েই ছোট ঢেউয়ের মতো হারিয়ে যায় তাঁর অস্তিত্ব। দর্শকদের আজ আর বড় একটা মনে পড়ে না সুমিত সেহগলের কথা।
০২১৭
সুমিতের জন্ম ১৯৬৬ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি। ১৯৮৭ থেকে ১৯৯৫ অবধি প্রায় ৩০ টি ছবিতে তিনি অভিনয় করেছেন।
০৩১৭
সুমিতের প্রথম ছবি ‘ইনসানিয়ৎ কে দুশমন’ মুক্তি পেয়েছিল ১৯৮৭ সালে। কেরিয়ারে বিভিন্ন ছবিতে পার্শ্ব অভিনেতা হিসেবে তিনি স্ক্রিনশেয়ার করেছিলেন সঞ্জয় দত্ত, গোবিন্দ, মিঠুন চক্রবর্তীর মতো তারকাদের সঙ্গে।
০৪১৭
তাঁর সংক্ষিপ্ত কেরিয়ারে উল্লেখযোগ্য ছবি হল ‘ইমানদার’, ‘প্রেমধরম’,‘লশকর’, ‘বাহার আনে তক’ এবং ‘গুনাহ’। ১৯৯৫ সালে তিনি শেষ বারের মতো অভিনয় করেছিলেন ‘সজন কি বাহোঁ মেঁ’ এবং ‘সওদা’ ছবিতে।
০৫১৭
এরপর দীর্ঘ পনেরো বছর তিনি ছিলেন প্রচারের আলোর বাইরে। ২০১০ সালে তিনি একটি হরর মুভি প্রযোজনা করেন। ‘রোক’ নামের সেই ছবিতে অভিনয় করেছিলেন উদিতা গোস্বামী এবং তনুশ্রী দত্ত।
০৬১৭
সুমিত কিন্তু ইন্ডাস্ট্রিতে বহিরাগত ছিলেন না। তাঁর বাবা ছিলেন সিনেম্য়াটোগ্রাফার। ‘শোলা অউর শবনম’ এবং ‘ত্রিমূর্তি’ ছবিতে তিনি ছিলেন সিনেম্য়াটোগ্রাফার। ছোট থেকে বাবার সঙ্গে শুটিং সেটে যেতেন সুমিত।
০৭১৭
ছোট থেকে তারকাদের দেখতে দেখতে সুমিতও ঠিক করেন বড় হয়ে অভিনেতা হবেন। সুদর্শন সুমিতের প্লাস পয়েন্ট ছিল উচ্চতা। তবে প্রথম ছবি থেকেই তাঁর তুলনা হতে থাকে গোবিন্দর সঙ্গে।
০৮১৭
গোবিন্দর সঙ্গে চেহারার সাদৃশ্যের কারণেই জিতেন্দ্র তাঁর ‘তমাচা’ ছবিতে সুযোগ দেন সুমিতকে। জিতেন্দ্রর সঙ্গে ‘সৌতন কি বেটি’ ছবিতেও অভিনয় করেন তিনি। ছবিতে তাঁর ভূমিকা ছোট হলেও অভিনয় পছন্দ হয়েছিল দর্শকদের।
০৯১৭
গোবিন্দর কাছেও সুমিতের খবর পৌঁছয়। তিনি জানতে পারেন তাঁর সঙ্গে চেহারার সাদৃশ্য আছে বলে সুযোগ পেয়েছেন এই নবাগত। এই সময়ে ‘হালাল কি কামাই’ ছবিতে সুযোগ পান সুমিত। চিত্রনাট্য পড়ে তিনি চুক্তিপত্র সইও করে ফেলেছিলেন। কিন্তু ছবির শুটিং শুরু হওয়ার পরে সুমিত জানতে পারলেন তিনি আর এই ছবির অংশ নন।
১০১৭
‘দোস্ত গরিবোঁ কা’ ছবিতে একসঙ্গে কাজ করেছিলেন সুমিত ও গোবিন্দ। ছবির মুক্তির পরে সুমিতের অভিযোগ ছিল, তাঁর ফাইট সিকোয়েন্স এবং একটি নাচের দৃশ্য ছবি থেকে পুরোপুরি বাদ দিয়েছেন গোবিন্দ।
১১১৭
১৯৮৯ সালে মুক্তি পায় ‘বিল্লু বাদশা’। এই ছবিতেও একসঙ্গে কাজ করেন গোবিন্দ ও সুমিত। এই ছবিতেও তাঁর দৃশ্যে কোপ পড়ে বলে অভিযোগ সুমিতের।
১২১৭
কিন্তু তার পরেও সুমিতের কাছে কাজ ছিল। অন্যদিকে, গোবিন্দও থেমে ছিলেন না। মাল্টিস্টারার ছবি থেকে তিনি ক্রমে এগোচ্ছিলেন একক নায়কের ছবির দিকে। কিন্তু সুমিত পড়ে ছিলেন বহু তারকাখচিত ছবির একটি মুখ হয়েই।
১৩১৭
ধীরে ধীরে গোবিন্দর ছায়ায় ঢাকা পড়েন বেশ কিছু নবাগত। তাঁদের মধ্যে সুমিতও একজন। এক সময় সুমিতের কাছে মাল্টিস্টারার ছবির সুযোগও আসা বন্ধ হয়ে যেতে থাকে। শেষে তিনি হারিয়েই যান ইন্ডাস্ট্রি থেকে।
১৪১৭
সুমিত এখন একটি প্রযোজনা সংস্থার মালিক। তাঁর সংস্থা দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রির ছবি হিন্দি সংস্করণ প্রকাশ করে এবং ডিস্ট্রিবিউশনের
দায়িত্বে থাকে।
১৫১৭
সায়রা বানুর ভাইঝি শাহিনকে বিয়ে করেছিলেন সুমিত। কিন্তু ২০০৩ সালে ভেঙে যায় তাঁদের ২৩ বছরের দাম্পত্য। সুমিত-শাহিনের মেয়ে সায়েশাও এখন অভিনয় করেন।
১৬১৭
২০০৩ সালেই সুমিত বিয়ে করেন ফরাহকে। তব্বুর দিদি ফরাহ ছিলেন আশি ও নব্বইয়ের দশকের জনপ্রিয় নায়িকা। ফরাহ-র এটা দ্বিতীয় বিয়ে ছিল। অভিনেতা বিন্দু দারা সিংহ ছিলেন তাঁর প্রথম পক্ষের স্বামী।
১৭১৭
অভিনেতা হিসেবে সফল হতে না পারলেও সুমিত তাঁর প্রযোজকজীবন উপভোগ করছেন। প্রত্যক্ষভাবে বলিউডের অংশ নন ঠিকই। কিন্তু ইন্ডাস্ট্রিকে পুরোপুরি জীবন থেকে মুছে ফেলতেও পারেননি।