Advertisement
১২ জানুয়ারি ২০২৫
bollywood

অভিনয়ের সঙ্গে দক্ষ নাচেও, গোবিন্দর জন্য ইন্ডাস্ট্রি থেকে হারিয়ে যান এই সুদর্শন নায়ক

ছোট থেকে তারকাদের দেখতে দেখতে সুমিতও ঠিক করেন বড় হয়ে অভিনেতা হবেন।সুদর্শন সুমিতের প্লাস পয়েন্ট ছিল উচ্চতা। তবে প্রথম ছবি থেকেই তাঁর তুলনা হতে থাকে গোবিন্দর সঙ্গে।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ০৮ অক্টোবর ২০২০ ০৮:৩২
Share: Save:
০১ ১৭
আরবসাগরের তীরে কেরিয়ার শুরু করেছিলেন প্রত্য়াশা জাগিয়ে। কিন্তু কয়েক বছরের মধ্য়েই ছোট ঢেউয়ের মতো হারিয়ে যায় তাঁর অস্তিত্ব। দর্শকদের আজ আর বড় একটা মনে পড়ে না সুমিত সেহগলের কথা।

আরবসাগরের তীরে কেরিয়ার শুরু করেছিলেন প্রত্য়াশা জাগিয়ে। কিন্তু কয়েক বছরের মধ্য়েই ছোট ঢেউয়ের মতো হারিয়ে যায় তাঁর অস্তিত্ব। দর্শকদের আজ আর বড় একটা মনে পড়ে না সুমিত সেহগলের কথা।

০২ ১৭
সুমিতের জন্ম ১৯৬৬ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি। ১৯৮৭ থেকে ১৯৯৫ অবধি প্রায় ৩০ টি ছবিতে তিনি অভিনয় করেছেন।

সুমিতের জন্ম ১৯৬৬ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি। ১৯৮৭ থেকে ১৯৯৫ অবধি প্রায় ৩০ টি ছবিতে তিনি অভিনয় করেছেন।

০৩ ১৭
সুমিতের প্রথম ছবি ‘ইনসানিয়ৎ কে দুশমন’ মুক্তি পেয়েছিল ১৯৮৭ সালে। কেরিয়ারে বিভিন্ন ছবিতে পার্শ্ব অভিনেতা হিসেবে তিনি স্ক্রিনশেয়ার করেছিলেন সঞ্জয় দত্ত, গোবিন্দ, মিঠুন চক্রবর্তীর মতো তারকাদের সঙ্গে।

সুমিতের প্রথম ছবি ‘ইনসানিয়ৎ কে দুশমন’ মুক্তি পেয়েছিল ১৯৮৭ সালে। কেরিয়ারে বিভিন্ন ছবিতে পার্শ্ব অভিনেতা হিসেবে তিনি স্ক্রিনশেয়ার করেছিলেন সঞ্জয় দত্ত, গোবিন্দ, মিঠুন চক্রবর্তীর মতো তারকাদের সঙ্গে।

০৪ ১৭
তাঁর সংক্ষিপ্ত কেরিয়ারে উল্লেখযোগ্য ছবি হল ‘ইমানদার’, ‘প্রেমধরম’,‘লশকর’, ‘বাহার আনে তক’ এবং ‘গুনাহ’। ১৯৯৫ সালে তিনি শেষ বারের মতো অভিনয় করেছিলেন ‘সজন কি বাহোঁ মেঁ’ এবং ‘সওদা’ ছবিতে।

তাঁর সংক্ষিপ্ত কেরিয়ারে উল্লেখযোগ্য ছবি হল ‘ইমানদার’, ‘প্রেমধরম’,‘লশকর’, ‘বাহার আনে তক’ এবং ‘গুনাহ’। ১৯৯৫ সালে তিনি শেষ বারের মতো অভিনয় করেছিলেন ‘সজন কি বাহোঁ মেঁ’ এবং ‘সওদা’ ছবিতে।

০৫ ১৭
এরপর দীর্ঘ পনেরো বছর তিনি ছিলেন প্রচারের আলোর বাইরে। ২০১০ সালে তিনি একটি হরর মুভি প্রযোজনা করেন। ‘রোক’ নামের সেই ছবিতে অভিনয় করেছিলেন উদিতা গোস্বামী এবং তনুশ্রী দত্ত।

এরপর দীর্ঘ পনেরো বছর তিনি ছিলেন প্রচারের আলোর বাইরে। ২০১০ সালে তিনি একটি হরর মুভি প্রযোজনা করেন। ‘রোক’ নামের সেই ছবিতে অভিনয় করেছিলেন উদিতা গোস্বামী এবং তনুশ্রী দত্ত।

০৬ ১৭
সুমিত কিন্তু ইন্ডাস্ট্রিতে বহিরাগত ছিলেন না। তাঁর বাবা ছিলেন সিনেম্য়াটোগ্রাফার। ‘শোলা অউর শবনম’ এবং ‘ত্রিমূর্তি’ ছবিতে তিনি ছিলেন সিনেম্য়াটোগ্রাফার। ছোট থেকে বাবার সঙ্গে শুটিং সেটে যেতেন সুমিত।

সুমিত কিন্তু ইন্ডাস্ট্রিতে বহিরাগত ছিলেন না। তাঁর বাবা ছিলেন সিনেম্য়াটোগ্রাফার। ‘শোলা অউর শবনম’ এবং ‘ত্রিমূর্তি’ ছবিতে তিনি ছিলেন সিনেম্য়াটোগ্রাফার। ছোট থেকে বাবার সঙ্গে শুটিং সেটে যেতেন সুমিত।

০৭ ১৭
ছোট থেকে তারকাদের দেখতে দেখতে সুমিতও ঠিক করেন বড় হয়ে অভিনেতা হবেন। সুদর্শন সুমিতের প্লাস পয়েন্ট ছিল উচ্চতা। তবে প্রথম ছবি থেকেই তাঁর তুলনা হতে থাকে গোবিন্দর সঙ্গে।

ছোট থেকে তারকাদের দেখতে দেখতে সুমিতও ঠিক করেন বড় হয়ে অভিনেতা হবেন। সুদর্শন সুমিতের প্লাস পয়েন্ট ছিল উচ্চতা। তবে প্রথম ছবি থেকেই তাঁর তুলনা হতে থাকে গোবিন্দর সঙ্গে।

০৮ ১৭
গোবিন্দর সঙ্গে চেহারার সাদৃশ্যের কারণেই জিতেন্দ্র তাঁর ‘তমাচা’ ছবিতে সুযোগ দেন সুমিতকে। জিতেন্দ্রর সঙ্গে ‘সৌতন কি বেটি’ ছবিতেও অভিনয় করেন তিনি। ছবিতে তাঁর ভূমিকা ছোট হলেও অভিনয় পছন্দ হয়েছিল দর্শকদের।

গোবিন্দর সঙ্গে চেহারার সাদৃশ্যের কারণেই জিতেন্দ্র তাঁর ‘তমাচা’ ছবিতে সুযোগ দেন সুমিতকে। জিতেন্দ্রর সঙ্গে ‘সৌতন কি বেটি’ ছবিতেও অভিনয় করেন তিনি। ছবিতে তাঁর ভূমিকা ছোট হলেও অভিনয় পছন্দ হয়েছিল দর্শকদের।

০৯ ১৭
গোবিন্দর কাছেও সুমিতের খবর পৌঁছয়। তিনি জানতে পারেন তাঁর সঙ্গে চেহারার সাদৃশ্য আছে বলে সুযোগ পেয়েছেন এই নবাগত। এই সময়ে ‘হালাল কি কামাই’ ছবিতে সুযোগ পান সুমিত। চিত্রনাট্য পড়ে তিনি চুক্তিপত্র সইও করে ফেলেছিলেন। কিন্তু ছবির শুটিং শুরু হওয়ার পরে সুমিত জানতে পারলেন তিনি আর এই ছবির অংশ নন।

গোবিন্দর কাছেও সুমিতের খবর পৌঁছয়। তিনি জানতে পারেন তাঁর সঙ্গে চেহারার সাদৃশ্য আছে বলে সুযোগ পেয়েছেন এই নবাগত। এই সময়ে ‘হালাল কি কামাই’ ছবিতে সুযোগ পান সুমিত। চিত্রনাট্য পড়ে তিনি চুক্তিপত্র সইও করে ফেলেছিলেন। কিন্তু ছবির শুটিং শুরু হওয়ার পরে সুমিত জানতে পারলেন তিনি আর এই ছবির অংশ নন।

১০ ১৭
‘দোস্ত গরিবোঁ কা’ ছবিতে একসঙ্গে কাজ করেছিলেন সুমিত ও গোবিন্দ। ছবির মুক্তির পরে সুমিতের অভিযোগ ছিল, তাঁর ফাইট সিকোয়েন্স  এবং একটি নাচের দৃশ্য ছবি থেকে পুরোপুরি বাদ দিয়েছেন গোবিন্দ।

‘দোস্ত গরিবোঁ কা’ ছবিতে একসঙ্গে কাজ করেছিলেন সুমিত ও গোবিন্দ। ছবির মুক্তির পরে সুমিতের অভিযোগ ছিল, তাঁর ফাইট সিকোয়েন্স এবং একটি নাচের দৃশ্য ছবি থেকে পুরোপুরি বাদ দিয়েছেন গোবিন্দ।

১১ ১৭
১৯৮৯ সালে মুক্তি পায় ‘বিল্লু বাদশা’। এই ছবিতেও একসঙ্গে কাজ করেন গোবিন্দ ও সুমিত। এই ছবিতেও তাঁর দৃশ্যে কোপ পড়ে বলে অভিযোগ সুমিতের।

১৯৮৯ সালে মুক্তি পায় ‘বিল্লু বাদশা’। এই ছবিতেও একসঙ্গে কাজ করেন গোবিন্দ ও সুমিত। এই ছবিতেও তাঁর দৃশ্যে কোপ পড়ে বলে অভিযোগ সুমিতের।

১২ ১৭
কিন্তু তার পরেও সুমিতের কাছে কাজ ছিল। অন্যদিকে, গোবিন্দও থেমে ছিলেন না। মাল্টিস্টারার ছবি থেকে তিনি ক্রমে এগোচ্ছিলেন একক নায়কের ছবির দিকে। কিন্তু সুমিত পড়ে ছিলেন বহু তারকাখচিত ছবির একটি মুখ হয়েই।

কিন্তু তার পরেও সুমিতের কাছে কাজ ছিল। অন্যদিকে, গোবিন্দও থেমে ছিলেন না। মাল্টিস্টারার ছবি থেকে তিনি ক্রমে এগোচ্ছিলেন একক নায়কের ছবির দিকে। কিন্তু সুমিত পড়ে ছিলেন বহু তারকাখচিত ছবির একটি মুখ হয়েই।

১৩ ১৭
ধীরে ধীরে গোবিন্দর ছায়ায় ঢাকা পড়েন বেশ কিছু নবাগত। তাঁদের মধ্যে সুমিতও একজন। এক সময় সুমিতের কাছে মাল্টিস্টারার ছবির সুযোগও আসা বন্ধ হয়ে যেতে থাকে। শেষে তিনি হারিয়েই যান ইন্ডাস্ট্রি থেকে।

ধীরে ধীরে গোবিন্দর ছায়ায় ঢাকা পড়েন বেশ কিছু নবাগত। তাঁদের মধ্যে সুমিতও একজন। এক সময় সুমিতের কাছে মাল্টিস্টারার ছবির সুযোগও আসা বন্ধ হয়ে যেতে থাকে। শেষে তিনি হারিয়েই যান ইন্ডাস্ট্রি থেকে।

১৪ ১৭
সুমিত এখন একটি প্রযোজনা সংস্থার মালিক। তাঁর সংস্থা দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রির ছবি হিন্দি সংস্করণ প্রকাশ করে এবং ডিস্ট্রিবিউশনের
দায়িত্বে থাকে।

সুমিত এখন একটি প্রযোজনা সংস্থার মালিক। তাঁর সংস্থা দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রির ছবি হিন্দি সংস্করণ প্রকাশ করে এবং ডিস্ট্রিবিউশনের দায়িত্বে থাকে।

১৫ ১৭
সায়রা বানুর ভাইঝি শাহিনকে বিয়ে করেছিলেন সুমিত। কিন্তু ২০০৩ সালে ভেঙে যায় তাঁদের ২৩ বছরের দাম্পত্য। সুমিত-শাহিনের মেয়ে সায়েশাও এখন অভিনয় করেন।

সায়রা বানুর ভাইঝি শাহিনকে বিয়ে করেছিলেন সুমিত। কিন্তু ২০০৩ সালে ভেঙে যায় তাঁদের ২৩ বছরের দাম্পত্য। সুমিত-শাহিনের মেয়ে সায়েশাও এখন অভিনয় করেন।

১৬ ১৭
২০০৩ সালেই সুমিত বিয়ে করেন ফরাহকে। তব্বুর দিদি ফরাহ ছিলেন আশি ও নব্বইয়ের দশকের জনপ্রিয় নায়িকা। ফরাহ-র এটা দ্বিতীয় বিয়ে ছিল। অভিনেতা বিন্দু দারা সিংহ ছিলেন তাঁর প্রথম পক্ষের স্বামী।

২০০৩ সালেই সুমিত বিয়ে করেন ফরাহকে। তব্বুর দিদি ফরাহ ছিলেন আশি ও নব্বইয়ের দশকের জনপ্রিয় নায়িকা। ফরাহ-র এটা দ্বিতীয় বিয়ে ছিল। অভিনেতা বিন্দু দারা সিংহ ছিলেন তাঁর প্রথম পক্ষের স্বামী।

১৭ ১৭
অভিনেতা হিসেবে সফল হতে না পারলেও সুমিত তাঁর প্রযোজকজীবন উপভোগ করছেন। প্রত্যক্ষভাবে বলিউডের অংশ নন ঠিকই। কিন্তু ইন্ডাস্ট্রিকে পুরোপুরি জীবন থেকে মুছে ফেলতেও পারেননি।

অভিনেতা হিসেবে সফল হতে না পারলেও সুমিত তাঁর প্রযোজকজীবন উপভোগ করছেন। প্রত্যক্ষভাবে বলিউডের অংশ নন ঠিকই। কিন্তু ইন্ডাস্ট্রিকে পুরোপুরি জীবন থেকে মুছে ফেলতেও পারেননি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy