শ্রুতি এবং তাঁর প্রেমিক স্বর্ণেন্দু।
তিনি বলছেন, ‘‘হেটার্সদের মুখে ঝামার বদলে বিজয়ার মিষ্টির রস ঘষব তো ভি আচ্ছা। তোকে নিয়ে আমার আদিখ্যেতা ছিল, আছে, থাকবে... সমাদ্দারবাবু।’’ সোশ্যাল পেজে বিজয়ার বিষাদ মুছে ভালবাসার বিস্ফোরণ ঘটালেন ‘নয়ন’ শ্রুতি দাস। তাঁর সঙ্গে পরিচালক স্বর্ণেন্দু সমাদ্দারের প্রেমের কথা সকলেরই জানা। এর আগে আনন্দবাজার ডিজিটালকে এক সাক্ষাৎকারে শ্রুতি সাফ বলেছিলেন, ‘‘২৭ বছরের ছেলের সঙ্গে প্রেম আমার হবে না। ১৪ বছরের বড় স্বর্ণেন্দুই আমার বর!’’
এ বছর তাঁদের প্রেমের একবছর পূর্তি। এক সঙ্গে পুজো কাটানো দু’বছর ধরে। তাই যত ভালবাসা, ততটাই যেন হারাই-হারাই ভয়! যদিও পুজোর শুরুতে একান্তে সময় কাটিয়েছেন স্বর্ণেন্দু-শ্রুতি। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন সেই ছবি, সেই ভিডিয়ো। বাঁধনছাড়া ভাল লাগা জড়িয়েছিল দু’জনকেই। শ্রুতির মন মেঘলা অষ্টমী থেকে। তিনি লিখেছিলেন, ‘আমাদের দ্বিতীয় দুর্গাপুজো। যদিও পুজোর শুরুটা তোমার সাথেই করলাম। তবু এখন তোমায় ছেড়ে আছি যে, মনটা মানছে না। মন খারাপের আদর ছবি... ভালোবাসি সমাদ্দার বাবু’। কেন মনখারাপ অভিনেত্রীর? কারণ, সপ্তমীতে তাঁকে তাঁর ‘সমাদ্দারবাবু’র হাত ছাড়িয়ে পা বাড়াতে হয়েছে কাটোয়ায়, ঘরের পথে। পুজোয় কটা দিন ভীষণ ভাল থাকার চেষ্টা করেছেন। শাড়িতে, ওয়েস্টার্ন ড্রেসে, ডিজাইনার মাস্কে নিজেকে সাজিয়েছেন সুন্দর করে। বাড়ির ছোট-বড় সকলের সঙ্গে হইহই করেছেন। কেক কেটে উদযাপন করেছেন মায়ের জন্মদিন। তার মধ্যেও থেকে থেকে বারেবারে পিছু টান— ‘কে যেন ছিল! সে যেন নেই’।
তার মধ্যেই অষ্টমীতে ভার্চুয়াল দুষ্টুমি! ভিডিয়ো কল করেছিলেন স্বর্ণেন্দু। তাঁর ‘প্রিয়া’কে দেখবেন বলে। শ্যালিকাদের দুষ্টুমির চোটে সব চৌপাট। শ্রুতির মুখ ভর্তি আইসক্রিমে। কথা বলবেন কী? তাঁর নাজেহাল দশা দেখে হাসির তুবড়ি বোনেদের মুখে। সেই ভিডিয়োও জ্বলজ্বল করছে শ্রুতির পেজে। সঙ্গে লেখা, ‘মুখের ভেতর ঠাণ্ডা আইসক্রিম ঠুসিয়ে দিয়ে ইচ্ছাকৃত এ রকম ব্ল্যাকমেল জামাইবাবুর শালিরা ছাড়া জাস্ট কেউ করতে পারে না’। দশমীতে ফের খুল্লমখুল্লা প্রেমের ইস্তেহার। ঠিক এভাবেই এক বছর আগে ‘ত্রিনয়নী’র সেটে শ্রুতি সোজাসুজি প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছিলেন বয়সে অনেক বড় স্বর্ণেন্দুকে। তা নিয়ে এখনও ট্রোলিং, ‘বাবার বয়সী একটা লোকের সঙ্গে প্রেম করছে’। তাই জন্যই কি দশমীতে জেনেবুঝে ‘হেটার্স’ শব্দের ব্যবহার?
আরও পড়ুন: প্রবীণদের উপর অসাধারণ কাজ করছে অক্সফোর্ডের টিকা, দাবি রিপোর্টে
যদিও প্রথমদিকে শ্রুতিকে একেবারেই ‘পোষাত না’ সমাদ্দারবাবুর। কিন্তু মেয়ে নাছোড়। ধীরে ধীরে বরফ গলেছিল প্রেমের আঁচে। সেই থেকে শ্রুতি স্বর্ণেন্দুর আদরের ‘বাবি’। চুরি করে প্রেম করলেও প্রথম দিন থেকেই পুরোটা ধরে ফেলেছিলেন শ্রুতির মা। অভিনেত্রীর বাবাকে বলেওছিলেন, ‘‘ও সব দাদা-টাদা কিচ্ছু না। কিছু একটা ব্যাপার রয়েছে।’’ শ্রুতির কথায়, ‘‘মা মানতে চায়নি প্রথমে। মা-র বক্তব্য ছিল আমাদের মধ্যে এজ গ্যাপটা নিয়ে। বাবা শুধু বলেছিল, তাকেই ভালবাসবি যাকে আমার সামনে দাঁড় করাতে পারবি।” স্বর্ণেন্দু অবশ্য সেই পরীক্ষায় সসম্মানে উত্তীর্ণ। তাঁকে দেখেই শ্রুতির বাবা বলে দিয়েছিলেন, “জামাই পছন্দ”। ধীরে ধীরে মা-ও রাজি হয়ে গিয়েছেন।
আর স্বর্ণেন্দু পরিবারের লোকেরা কী বলছেন? হাসতে হাসতে শ্রুতি বললেন, “ওঁরা বলেন, ভাগ্যিস তুই এসেছিলি! আমাদের ছেলেটা তো ধীরে ধীরে সন্ন্যাসীই হয়ে যাচ্ছিল!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy