দেবলীনা কুমার হাসিখুশি, ছটফটে, মিশুকে। নিয়মিত শরীরচর্চা করেন। নাচ তাঁর ভালবাসা, পড়াশোনাও নাচ নিয়ে। অভিনয় তাঁর নেশা। অভিনেত্রী এই ভাবমূর্তিতেই জনপ্রিয়। এটাই কি দেবলীনার প্রকৃত রূপ? হাসির আড়ালে কখনও কি তিনি চোখের জল লুকোন না? মনের সব কথা, ব্যথা সঠিক সময়ে সঠিক ভাবে প্রকাশ করতে পারেন?
৩১ ডিসেম্বর, বছরের শেষ দিনে নতুন দেবলীনা সামনে এলেন। জানালেন, অতি ‘বহির্মুখিতা’র পাশাপাশি তিনি একই ভাবে মনে মনে ‘চাপা’ স্বভাবের! “নিজের সব অনুভূতি প্রকাশ করতে পারি না। খুব কাছের মানুষের কাছেও পারি না। বলতে পারেন, ভয় থেকেই নিজেকে প্রকাশ করি না”, দাবি তাঁর।
আরও পড়ুন:
এ দিন অভিনেত্রীর আরও একটি দিক উন্মোচিত। তিনি যথেষ্ট আধ্যাত্মিক, ঐশ্বরিক শক্তিতে বিশ্বাসী। সে জন্যই তিনি পুজো-অর্চনা করেন। এবং মনকে শান্ত রাখার প্রয়োজন অনুভব করেন। যে কারণে ইদানীং মোবাইল ফোন থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করছেন। মনকে শান্ত রাখতে কিছু আধ্যাত্মিক বই তাই বেছে নিয়েছেন। দেবলীনা নিয়মিত গীতা, উপনিষদ পড়ছেন। এতে তিনি এতটাই উপকৃত যে, অনুরাগীদেরও উদ্দেশেও অনুরোধ জানিয়েছেন দিনের যে কোনও একটা সময়ে গীতা বা উপনিষদ পাঠ করার।
বছরের শেষ দিনে সমাজমাধ্যম থেকে ‘লাইভ’-এ এসে তিনি পাঠ করেছেন গীতা, উপনিষদের একটি করে অনুচ্ছেদ। যেখানে বারংবার মনের যত্ন, মানসিক শান্তির কথা বলা হয়েছে। আর এর জন্য দুই আধ্যাত্মিক গ্রন্থেই বলা হয়েছে, পরনিন্দা-পরচর্চা থেকে যত দূরে থাকা যাবে, পরিস্থিতি থেকে নিজেকে যত বিচ্ছিন্ন রাখা যাবে ততই ভাবনা বা অনুভূতি উন্নত হবে। দেবলীনার উপলব্ধি, “সমস্ত কিছু থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন রাখা সহজ নয়। কিন্তু শরীরের যত্নের পাশাপাশি মনের যত্ন নেওয়াও আবশ্যিক।” অভিনেত্রীর বিশ্বাস, যাঁরা তাঁর মতে বিশ্বাসী, ২০২৫-এ যাঁরা তাঁর মতোই নিজের নতুন ‘রূপ’ আবিষ্কার করতে চান— তাঁরা সহজ ভাষায় লেখা এই ধরনের গ্রন্থ পড়বেন।