‘আমরা কিন্তু চুমু খেয়ে কাজ পাই না’, সোশ্যালে প্রতিবাদ শ্রুতির

হেডিং পড়েই ট্রোলড হন অভিনেতারা। ভিতরে কী লেখা হয়েছে? পড়েই দেখেন না কেউ!--- এই অভিযোগ একাধিক অভিনেতা-অভিনেত্রীর।

এর আগে ‘চুনি-পান্না’র ‘চুনি’ অন্বেষা হাজরা এই নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। এ বার ‘ত্রিনয়নী’র শ্রুতি দাস। সহকর্মীকে চুম্বনের ছবি সোশ্যালে পোস্ট করতেই সেই খবর ভাইরাল সংবাদমাধ্যমে। তারই প্রতিক্রিয়ায় শ্রুতির মন্তব্য, ‘‘ইন্ডাস্ট্রির অভিনেতারা পরিবারের বাইরে কাউকে গালে হামি খেয়ে ছবি দেওয়া মানেই ‘এই মেয়েটা তো এই করেই কাজ পায় এবং পাবে'!"

আসল ঘটনা কী? গত শনিবার তিনি একটি ফটোশ্যুট করেছিলেন মেকআপ আর্টিস্ট শুভম চক্রবর্তী ও তাঁর টিমের সঙ্গে। অ্যালবামের নাম ‘স্বর্ণপ্রিয়া’। গয়নায়, শাড়িতে, বধূবেশে শ্রুতির লুক। ফটোশ্যুটের পরেই বন্ধুত্বের খাতিরে দীর্ঘদিনের সহকর্মী শুভমের গালে তিনি চুমু খান। শুভমও তাঁর গালে ফিরিয়ে দেন পাল্টা আদর।

সেই ছবি সোশ্যালে পোস্ট করে কড়া সতর্কবাণীও দেন অভিনেত্রী, ‘নোংরা কমেন্ট দেখলেই ব্লক।’

শ্রুতির অভিযোগ, সংবাদমাধ্যম সেই ছবি নিয়ে চটুল খবর পরিবেশন করেছে। যার ফলে তুমুল অশান্তি তাঁর পরিবারে। অভিনেত্রীও এর পরেই পাল্টা ক্ষোভ উগরে দেন সামাজিক পাতায়। লেখেন, ‘আপনারা তো মনে করেন মফঃস্বল থেকে উঠে এসে ডিরেক্ট একটা সিরিয়ালের লিড পাওয়া মানেই সেখানে দু’নম্বরী কোনও গল্প আছে'।

আরও পড়ুন: জলের তলায় চুম্বন দৃশ্য, ভাইরাল সারা ও বরুণের ক্লিপিং

এর আগেও এই ধরনের খবর নাকি লেখা হয়েছে শ্রুতিকে নিয়ে। সোশ্যালে অকপটে সে কথাও জানিয়েছেন তিনি, ‘আগে বিবো (আমার ভাতৃতুল্য কলিগ)-এর গালে হামি খাওয়া ছবি নিয়েও নিউজ হয়েছিল। আজ শুভম (ভাতৃসম কলিগ)-এর গালে হামি খেয়ে ছবি দেওয়ায় সেটা নিয়ে এমন ভাবে লেখালেখি হল, "শ্রুতি দাস কি খাচ্ছেন!" যেন খাওয়ার জিনিসের বদলে হামি খেয়ে বেড়াই!’

প্রসঙ্গত, এর আগে একাধিক সাক্ষাৎকারে শ্রুতি জানিয়েছেন, পরিচালক স্বর্ণেন্দু সমাদ্দারের সঙ্গে সম্পর্ক শুরুর পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচণ্ড ট্রোলড হচ্ছেন তাঁরা। ‘‘কেউ স্বর্ণকে বলছে, আর মেয়ে পেলেন না! শেষে হাঁটুর বয়সি মেয়ের সঙ্গে প্রেম করতে হচ্ছে!’’ ক্ষোভের সঙ্গে বলেছেন অভিনেত্রী। কেউ আবার তাঁকেও খোঁটা দিয়েছেন এই বলে যে, তিনি বাবার বয়সি বর বেছেছেন কেরিয়ার পোক্ত করতে।

আরও পড়ুন: রণবীরের কাছাকাছি থাকতে নতুন বাড়ি কিনলেন আলিয়া ভট্ট, দাম কত জানেন?

এ বার সম্পর্কে থাকা সত্ত্বেও অন্য সহকর্মীকে আদর করছেন। তিনিও আদর নিচ্ছেন। এগুলো দেখেই হয়তো কুৎসা রটাবেন নেটাগরিকেরা। সেই সম্ভাবনা আটকাতেই আগেভাগে নেটাগরিকদের সাবধান করেছিলেন তিনি।