পল্লবীর মৃত্যুর খবরে হতবাক রাজীব।
হাসিখুশি, ঝলমলে একটা মেয়ে। সেটে এলেই যে মাতিয়ে রাখে সবাইকে! প্রয়াত অভিনেত্রী পল্লবী দে-কে এ ভাবেই চিনত টেলিপাড়া। রবিবার সকাল হতেই সব ধারণা ওলটপালট। মিষ্টি হাসির আড়ালে কতটা অশান্তি বয়ে বেড়াচ্ছিল মাত্র বছর পঁচিশের মেয়েটা? যার জন্য এ ভাবে ঝরে যেতে হল অকালে? এই প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজছেন সহ-অভিনেতারা।
‘কুঞ্জছায়া’ ধারাবাহিকে নায়িকা পল্লবীর সহ-অভিনেতা ছিলেন রাজীব বসু। রবিবার অভিনেত্রীর দেহ উদ্ধারের খবরে প্রথমে হতবাক, তার পর স্তব্ধ হয়ে গিয়েছেন রাজীব। তাঁর কথায়, ‘‘সেটেই আলাপ আমাদের। ভীষণ হাসিখুশি, সবাইকে নিয়ে হইচই করত। আবার পরিচালকের কথা শুনে শান্ত হয়ে অভিনয়টাও করত ঠিকঠাক। কখনও মনে হয়নি ও কোনও সমস্যায় আছে। ধারাবাহিক শেষ হওয়ার পরেও একাধিক জায়গায় দেখা হয়েছে বিভিন্ন সময়ে। সব সময়েই হেসে এগিয়ে এসেছে কথা বলতে। তার এমন পরিণতি, বিশ্বাসই হতে চাইছে না।’’
কোন সমস্যা বা অশান্তি পল্লবীকে এমন চূড়ান্ত পরিণতির দিকে ঠেলে দিল, জানেন না রাজীব। জানতে চানও না। তাঁর বক্তব্য, ‘‘দেখতে সুন্দর, ভাল অভিনয় করে, পরপর ধারাবাহিকে মুখ্য চরিত্র পাচ্ছিল। বয়সও এত কম, সবে তো শুরু। টেলিপাড়ায় কাজ নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকেই, তবে ও অন্তত তার মুখোমুখি হয়নি। এই জগতে আছে যখন, কাজের ধরন, চাপের সঙ্গেও পরিচিত। ওর তো তা হলে পেশাগত সমস্যা হওয়ার কথা নয়।’’
পল্লবীর সঙ্গে সাধারণ সহ-অভিনেতার মতোই সম্পর্ক ছিল রাজীবের। ব্যক্তিগত কথা, সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা হত না তেমন। তবে পরিবারের গল্প করতেন দু’জনে। মায়ের ভীষণ কাছের ছিলেন পল্লবী। সে গল্প শোনাতেন রাজীবকে। অভিনেতার প্রশ্ন তাই একটাই— ‘‘হতে পারে ওর ব্যক্তিগত সম্পর্কে টানাপড়েন চলছিল। কিন্তু ছেলেটিকে ও ক’দিন চিনত? এতটুকু মেয়ে, জীবন শেষ করে দেওয়ার আগে মায়ের কথাও এক বার ভাবল না?’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy