বন্ধুবিচ্ছেদ প্রসঙ্গে মুখ খুললেন কাঞ্চন মল্লিক। ছবি: সংগৃহীত।
আরজি কর-কাণ্ড নিয়ে উত্তাল কলকাতা। দীর্ঘ দিন ধরেই সাধারণ মানুষ অভিযোগ করেন, কোনও বাদ-প্রতিবাদে রুপোলি পর্দার তারকাদের দেখা যায় না। কিন্তু গত ৯ অগস্ট চিকিৎসক-পড়ুয়ার মৃত্যুর পর, পরিস্থিতি একেবারে অন্য রকম। প্রায় প্রতি দিনই কোনও না কোনও ভাবে প্রতিবাদে শামিল হচ্ছেন ছোট ও বড় পর্দার অভিনেতারা। বাদ যাননি পরিচালক ও অন্য কলাকুশলীরা।
এরই মধ্যে জুনিয়র চিকিৎসকদের কর্মবিরতির প্রসঙ্গে মন্তব্য করেছেন বিধায়ক-অভিনেতা কাঞ্চন মল্লিক। আর তার পরেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। শুধু তা-ই নয়, সমাজমাধ্যমে শুরু হয়েছে তাঁর বন্ধুবিচ্ছেদের পালা। সোমবার ভোরবেলায় ফেসবুকে সুদীপ্তা চক্রবর্তী লেখেন, “এক সময়ের বন্ধু/সহকর্মী কাঞ্চন মল্লিক, তোকে ত্যাগ দিলাম।” সেই পোস্টে মন্তব্য বিভাগে বন্ধুত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলেন সুজন মুখোপাধ্যায়ও। টলিপাড়ার একের পর এক অভিনেতা ও পরিচালক কাঞ্চনের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে চলেছেন।
কিন্তু, এই প্রসঙ্গে খুব বেশি কথা বলতে রাজি নন স্বয়ং কাঞ্চন। বন্ধুবিচ্ছেদ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে আনন্দবাজার অনলাইনকে তিনি বলেন, “আমি এ বিষয়ে কী আর বলব! সুদীপ্তার মনে হয়েছে, বলেছেন। যে যাঁর ব্যক্তিগত মত জানাচ্ছেন। আমিও আমার ব্যক্তিগত মতই প্রকাশ করেছিলাম।”
কাঞ্চন দাবি করেন, তিনি অন্তরের অন্তঃস্তল থেকে ন্যায়বিচার চান। রবিবার কোন্নগরে এক প্রতিবাদ ধর্নামঞ্চ থেকে কাঞ্চন বলেন, “কর্মবিরতি পালন করছেন শাসকদলের বিরুদ্ধে, ভাল। কিন্তু, তাঁরা সরকারি বেতন নিচ্ছেন তো, না কি নিচ্ছেন না? এটা আমার প্রশ্ন। বোনাস নেবেন তো? না নেবেন না?” পাশাপাশি কাঞ্চন বলেন, “আজ আন্দোলনের নামে চিকিৎসকেরা কর্মবিরতি পালন করছেন। সবাই বলেন, চিকিৎসক মানে ভগবান। গ্রামের মানুষ ছুটে আসেন শহরের হাসপাতালে, চিকিৎসার জন্য। আপনারা আন্দোলন করুন। তবে রোগীরা কী অপরাধ করেছেন? এমন কোনও কাজ আপনাদের করা উচিত নয়, যাতে তাঁরা ‘চিকিৎসকেরা ভগবান’ বলতে দ্বিধা করেন।”
সোমবার আনন্দবাজার অনলাইনকে এই প্রসঙ্গে কাঞ্চন বলেন, “আমি শুধু এটুকুই বলেছিলাম, চিকিৎসকেরা তো বেতন পান। মুমূর্ষু রোগীরা কি পরিষেবা পাবেন না? আমি যদি আন্দোলন করছি বলে কাজ না করি, আমাকে কি আমার প্রযোজক টাকা দেবেন? পেশাদার হিসেবে আমাকে পরিষেবা দিতেই হবে। তিনি চিকিৎসক হতে পারেন, আমার মতো অভিনেতা বা সাংবাদিকও হতে পারেন।” কাঞ্চনের কথায় উঠে আসে দৈনন্দিন কাজকর্ম স্বাভাবিক রাখার প্রসঙ্গও।
কাঞ্চন আরও বলেন, “সকলের গণতান্ত্রিক অধিকার রয়েছে বিরোধিতা করার। কিন্তু বিরোধিতা করলে সমগ্র ব্যবস্থার বিরোধিতা করতে হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy