হিরণ চট্টোপাধ্যায় আর শ্রীলেখা মিত্র।
তারকাদের শিবির বদল নিয়ে বুধবার থেকেই নেটমাধ্যমে সরব অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র। বৃহস্পতিবার সকালে তাঁর সামাজিক পাতায় ফুটে উঠেছে একটি লাইন, ‘সেল সেল সেল.... সেলেবস (মাইন্ড ইউ নট আর্টিস্টস) অন সেল।’
এই কথা পোস্ট করে কী বোঝাতে চেয়েছেন শ্রীলেখা? অভিনেত্রীর কাছে সরাসরি জানতে চেয়েছিল আনন্দবাজার ডিজিটাল। মুঠোফোনে ব্যাখ্যা করেছেন তিনি, ‘‘ওই একটি কথাতেই সব বুঝিয়ে দিয়েছি। প্রকৃত শিল্পীরা কখনওই শিল্প বিক্রি করেন না। তাঁরা তাঁদের শ্রম বিক্রি করেন। সেই জন্যেই অভিনয় দুনিয়ায় এক এক জনের পারিশ্রমিক এক এক রকম। প্রকৃত শিল্পী বিক্রি হন না। যাঁরা সেলেব, যাঁরা মনে করছেন নিজেদের সেলেবেল, তাঁদের নমুনা তো দেখতেই পাচ্ছি চোখের সামনে।’’
অভিনেত্রীর দাবি, এটা সবে শুরু। এর পর মানুষ বুঝতে পারবে সব। অবশ্য তত দিন পর্যন্ত যদি ‘মান’ আর ‘হুঁশ’টুকু থাকে। শ্রীলেখা কিন্তু এখানেই থামেননি। নিজের উপলব্ধির কথা বোঝাতে গিয়ে তাঁর যুক্তি, ‘‘এভাবেই এমএলএ, এমপি হওয়ার টোপ দেওয়া হচ্ছে।’’ উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরেন হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের কথা। জানান, তিনি এর আগে শুনেছিলেন, তাঁকে শাসকদল নাকি শুধুই প্রচারের কাজে ব্যবহার করে এসেছে। কোনও পদ দেয়নি। তাই তিনি বিজেপি-তে যোগ দিতেই পারেন। তবে তার আগে জেনে নেবেন কোন কাজের দায়িত্ব দেওয়া হবে তাঁকে? মানুষের ‘কাজ’ না নিজের ‘কাজ’? যাঁরা জানতে পেরেছেন নতুন দলে তাঁদের অবস্থান, তাঁরা খাতায় নাম লিখিয়েছেন।
শ্রীলেখাও ডাক পেয়েছিলেন গেরুয়া শিবির থেকে, একথা জানাতেই স্বীকার করে নেন তিনি। বলেন, একবার নয় একাধিক বার তিনি ডাক পেয়েছিলেন। কিন্তু ‘দরাদরি’ পর্যন্ত আলোচনা এগোতে দেননি। তা ছাড়া, তাঁর মানসিকতার সঙ্গে বিজেপি-র নীতি, মানসিকতার মিল নেই। তাই ডাক এড়িয়ে গিয়েছেন।
বদলে অভিনেত্রীর বিশ্বাস, বামেরাই একমাত্র বিকল্প। যুক্তি হিসেবে বলেন, সাধারণ মানুষ সমস্ত দলের নীতি, শাসন পদ্ধতি, কাজ নিয়ে তুলনামূলক আলোচনা করলেই বোঝা যাবে কেন তিনি এ কথা বলছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy