Advertisement
E-Paper

‘আমার ফোনে ‘ঙ’ পড়ে না!’ ‘বাংগালি’ লিখে অবাঙালিত্বের দাগ নিয়ে রুদ্রনীলের আক্ষেপ

পোস্টের ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘এই দুই বাংগালির স্ট্রাগল, পরিশ্রম, বিচক্ষণতা, দায়িত্ববোধ ও সিদ্ধান্ত অনেক মানুষকে সাহস দেয়!’ 

রুদ্রনীল ঘোষ

রুদ্রনীল ঘোষ

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৫:৩৬
Share
Save

এক নয়, একাধিক বার। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকে রুদ্রনীল ঘোষকে প্রায়শই বানানের শিক্ষা নিতে হচ্ছে নেটাগরিকদের কাছ থেকে। তিনি কখনও লিখে ফেলছেন ‘নরেদ্র মোদী’। কখনও বা ‘বাংগালি’ লেখার জন্য ট্রোল হতে হচ্ছে। অভিনেতা কি বানানবিধি ভুলতে বসলেন নাকি প্রযুক্তির গোলমাল? আর জনতাই বা তাঁর বানানের দক্ষতা নিয়ে এত কৌতূহলী কেন? জানতে উৎসাহী আনন্দবাজার ডিজিটাল। উত্তরের সঙ্গে মিলল অভিনেতার উপলব্ধিও।

বুধবার বিজেপি-র কাছে গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন ছিল। ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের পর যে ভাবে বেশ কয়েক জন অভিনেতা-অভিনেত্রী দিল্লিতে গিয়ে দলে যোগদান করেছিলেন, তেমনই এ দিন যশ দাশগুপ্ত, সৌমিলি বিশ্বাস, পাপিয়া অধিকারীর মতো এক দল টলি তারকা বিজেপিতে নাম লেখালেন। কেউ তৃণমূল ছাড়লেন, কেউ বা প্রথম বার রাজনীতিতে পা রাখলেন।

এ দিন সকালে রুদ্রনীল ঘোষ একটি পোস্ট করেন ফেসবুকে। তাতে ছিল দু’জন তারকার ছবি। প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় এবং মিঠুন চক্রবর্তী। দু’জনের সঙ্গে রয়েছেন দুই বিজেপি নেতা। ছবি দু’টি শেয়ার করে তিনি পোস্টের ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘এই দুই বাংগালির স্ট্রাগল, পরিশ্রম, বিচক্ষণতা, দায়িত্ববোধ ও সিদ্ধান্ত অনেক মানুষকে সাহস দেয়! নতুন ভাবে ভাবতে শেখায়!’

ব্যস! 'বাংগালি' কেন? শব্দটা তো 'বাঙালি'। নেটাগরিকদের দাবি, অবাঙালি প্রধান বিজেপি-র বাংলা বলতে চাওয়ার মতো শোনাচ্ছে। তাই কি? রুদ্রনীল কি সত্যিই বিজেপি-র প্রভাবে অবাঙালিত্বকে ধারণ করার চেষ্টায় রয়েছেন?
একটি মাত্র সহজ উত্তরে সব জল্পনা ওড়ালেন অভিনেতা। তিনি বললেন, ‘‘আরে আমার ফোনে ‘ঙ’ পড়ে না, কী করব!’’ বলেই হেসে উঠলেন অভিনেতা। ‘‘তার জন্য যদি আমায় সবাই মিলে অবাঙালি বানিয়ে দেয়, তা হলে তো মহা মুশকিল। আসলে কিছুই না, এগুলো হল যুক্তির অভাবের ফলশ্রুতি।’’ মত অভিনেতার।

 'বাংগালি' লিখে ট্রোলের শিকার রুদ্রনীল

'বাংগালি' লিখে ট্রোলের শিকার রুদ্রনীল

‘নরেদ্র’ মোদী লিখে ট্রোলের শিকার রুদ্রনীল

‘নরেদ্র’ মোদী লিখে ট্রোলের শিকার রুদ্রনীল

তাঁর উপলব্ধি হয়েছে, যাঁরা এ সমস্ত মন্তব্য করছেন, তাঁরা হয় সিপিএম-এর নয়তো তৃণমূলের কর্মী। রুদ্রনীলের বিরুদ্ধে আর কোনও অভিযোগ বা তাঁর খুঁত ধরতে না পেরে হয়রান হয়ে এ সব করছেন। রদ্রনীলের ধারণা, ‘‘যদি ভুল বানান চোখে না পড়ে তা হলে বলবে আমার বাবা আসলে গুজরাট বা উত্তরপ্রদেশের মানুষ। এ সব এখন চলবে। নির্বাচন হয়ে যাওয়ার পরে আবার এই মানুষগুলোই আমার কবিতাতে, ছবিতে ভালবাসা জানাবেন। তাই এঁদের উপর আমার একটুও রাগ হয় না। আরে বাবা আমি তো আর ভাষাবিদ নই যে সব জেনে বসে থাকব। যেটা জানা দরকার, সে বিষয়ে আমার জ্ঞান রয়েছে বলেই আমি বিশ্বাস করি।’’ নেটাগরিকদের জন্য রুদ্রনীলের পরামর্শ, ‘‘নেটমাধ্যমে বসে বসে এই মন্তব্য না করে মাঠে নামুন। যে দলের জন্য লড়াই করছেন, তাঁদের ভাল করতে চাইলে মাঠে নেমে জনগণের সেবা করুন। আর হ্যাঁ, যদি বাংলার জন্য এতই চিন্তা হয়, তা হলে বাংলাকে বাঁচান। যে দল আপনাদের আয়করের টাকা কোথায় দিচ্ছে কোনও ঠিক নেই। তাঁদের চাটুকারিতা করবেন না।’’

BJP Bengali Trolling Rudranil Ghosh

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}