গৌতম হালদার। ছবি: সংগৃহীত।
জনপ্রিয় কবিতা। বাংলার একটি সঙ্গীত রিয়্যালিটি শোয়ের মঞ্চে নিজস্ব ভঙ্গিতে পাঠ করেছেন অভিনেতা ও নাট্যনির্দেশক গৌতম হালদার। সেই ভিডিয়োর একটি অংশ নেটদুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই বিতর্কের সূত্রপাত। একের পর এক কটাক্ষ ধেয়ে এসেছে শিল্পীর উদ্দেশে।
জয় গোস্বামীর লেখা ‘মালতীবালা বালিকা বিদ্যালয়’ (যে কবিতা ‘বেণীমাধব’ নামেই সমাধিক পরিচিত) কবিতাটি পাঠ করেন গৌতম। কবিতাটি পাঠের ভঙ্গি নিয়ে নেটাগরিকদের একাংশ আপত্তি জানিয়েছেন। তালিকায় রয়েছেন বাচিকশিল্পীরাও। কারও মতে, গৌতমের ‘বিশেষ’ উপস্থাপনা কবিতাটিকে অসম্মান করেছে। আবার কারও মতে, আবৃত্তির মূল নিয়মকানুনই মানতে চাননি গৌতম। তবে পাশাপাশি অনেকেই সমাজমাধ্যমে শিল্পীকে তাঁর উপস্থাপনার জন্য সমর্থনও জানিয়েছেন।
তাঁকে যে ট্রোল করা হচ্ছে, গৌতম তা জানেন। আনন্দবাজার অনলাইনের তরফে যোগাযোগ করা হলে গৌতম বললেন, ‘‘শিল্পী হিসেবে প্রশংসা এবং সমালোচনা, দুটোই আমি গ্রহণ করতে রাজি আছি। কিন্তু হঠাৎ করে কেন সমালোচনা শুরু হল, বুঝতে পারছি না।’’
গৌতমের এই ‘আবৃত্তি’ কোনও আকস্মিক ঘটনা নয়। শিল্পী জানালেন, প্রায় ২৫ বছর ধরে বিভিন্ন কবিতা এবং লেখা নিয়ে তাঁর ‘কাব্যে গানে’ শীর্ষক উপস্থাপনাটির কথা। শুধু জয় গোস্বামী নন, সেখানে বুদ্ধদেব বসু, শঙ্খ ঘোষ, শক্তি চট্টোপাধ্যায়-সহ আরও অনেক কবির কবিতার নির্যাস থাকে। গৌতম বললেন, ‘‘দেশে-বিদেশে, অজস্র জায়গায় এর আগে আমি এই উপস্থাপনা করেছি। তার মধ্যে ‘বেণীমাধব’ও রয়েছে। শ্রোতারা কিন্তু মন খুলে প্রশংসাই করেছেন।’’
গৌতম অভিনেতা। তাঁর মতে, কবিতার সঙ্গে অভিনয়কে কী ভাবে মিশিয়ে দেওয়া যায়, তার একটা উদাহরণ এই উপস্থাপনা। গৌতমের যুক্তি, ‘‘এটা তো আবৃত্তি নয়! তার মধ্যে অভিনয়ও রয়েছে। নাটকের মাধ্যমে তো শব্দকেও খোঁজা সম্ভব। যাঁরা সমালোচনা করছেন, তাঁরা হয়তো সেটা বুঝতে পারছেন না।’’
কটাক্ষকে আলাদা করে গুরুত্ব দিতে নারাজ গৌতম। তাঁর কথায়, ‘‘একই সঙ্গে প্রশংসাও তো করেছেন অনেকেই। শিল্পের প্রতি যাঁদের শ্রদ্ধা নেই, আমি তাঁদের গুরুত্ব দিতে চাই না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy