মুর্শিদাবাদকাণ্ডে আরও এক জন গ্রেফতার। ধুলিয়ান পুরসভার জাফরাবাদে বাবা-ছেলের খুনের ঘটনায় হাওড়ার জোমজুড় থেকে এক অভিযুক্তকে পাকড়াও করেছে পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট)। পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার রাতে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তকে ধরা হয়েছে। রবিবার তাঁকে মুর্শিদাবাদ নিয়ে আসা হয়। ধৃতকে জঙ্গিপুর আদালতে হাজির করিয়ে নিজেদের হেফাজতে চাইবে পুলিশ। হরগোবিন্দ এবং চন্দন দাস খুনে এই নিয়ে গ্রেফতারির সংখ্যা হল পাঁচ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার যাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁর নাম ফেকারুল শেখ। অভিযুক্ত আদতে শমসেরগঞ্জের সুলিতলার এলাকা বাসিন্দা। পেশায় রাজমিস্ত্রি অশান্তির পরেই এলাকা ছেড়ে পালিয়েছিলেন। তবে ঘটনার দিনের সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করে এবং ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জোড় খুনের ঘটনায় ফেকারুলের সম্পর্কের কথা জানতে পারা যায়। কয়েক দিন ধরেই অভিযুক্তের খোঁজে নানা জায়গায় তল্লাশি চলেছে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে জোমজুড় থেকে অবশেষে ফেকারুলকে পাকড়াও করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন:
ওয়াকফ সংশোধনী আইনের বিরোধিতায় মুর্শিদাবাদে অশান্তির আবহে গত ১২ এপ্রিল জাফরাবাদে খুন হন বাবা-ছেলে খুন হন। অভিযোগ, হরগোবিন্দ এবং তাঁর ছেলে চন্দনকে বাড়ি থেকে টেনে গিয়ে খুন করে একদল লোক। খুনের ঘটনার তদন্তে সিট গঠন করে রাজ্য। খুনের মামলায় প্রথম গ্রেফতার হন কালু নাদাব এবং দিলদার নাদাব নামে দুই ভাই। পরে আরও এক জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার পরে উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া থেকে খুনের ঘটনায় ‘অন্যতম মূল চক্রী’ জিয়াউল শেখকে পাকড়াও করা হয়। এ বার সিটের জালে আরও এক অভিযুক্ত। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত ফেকারুলের বিরুদ্ধে খুনে যুক্ত থাকার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে।
উল্লেখ্য, শনিবার মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি হরগোবিন্দ এবং চন্দনের পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা করে অর্থসাহায্য করেন।