দেবলীনা দত্ত ও মৈনাক বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: সংগৃহীত।
আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে বার বার উঠে এসেছে শিরদাঁড়ার প্রসঙ্গ। কলকাতা পুলিশের হাতে আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকেরা তুলে দিয়েছিলেন প্রতীকী শিরদাঁড়া। বুধবার বিশ্ব শিরদাঁড়া দিবস। চিকিৎসা বিজ্ঞান অনুযায়ী, শিরদাঁড়া বা মেরুদণ্ড ছাড়া কোনও মানুষের বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। কিন্তু আজকাল শিরদাঁড়া বিক্রি করে দিয়েও মানুষ দিব্যি বেঁচে থাকতে পারেন। শ্লেষের সঙ্গে আনন্দবাজার অনলাইনকে জানালেন দেবলীনা দত্ত।
দেবলীনার কথায়, “স্বাস্থ্যের দিক থেকে দেখলেও, শিরদাঁড়া আছে মানে প্রাণ আছে। শিরদাঁড়া নেই মানে তাঁর প্রাণ নেই। ছোটবেলা থেকে শিখে এসেছি, শিরদাঁড়ার অর্থ জীবন। একটা মানুষ শিরদাঁড়া ছেড়ে বেঁচে থাকতে পারেন না। তবে ইদানীং দেখছি, শিরদাঁড়া নামক অঙ্গটি বিক্রিও করা যাচ্ছে। আমি কোনও দিন ছোটবেলায় এমন কিছু পড়িনি বা এমন কোনও জ্ঞানও ছিল না।” শ্লেষের সুরে অভিনেত্রী প্রশ্ন তোলেন, “এ-ও সম্ভব? বর্তমান পরিস্থিতিতে জানা গিয়েছে শিরদাঁড়া বিক্রি করে বেঁচে থাকা যায়। এটা কিন্তু প্রমাণিত তথ্য! প্রচুর শিরদাঁড়া বিক্রি হচ্ছে। অর্থ ও যশের লোভে অনেকেই শিরদাঁড়া বিক্রি করছেন। কিন্তু তার পরেও তাঁদের মৃত্যু হচ্ছে না। বেঁকে-তেড়ে অথবা ঝুঁকে চলাফেরা করছেন। মাটিতে মিশে গিয়ে কী ভাবে ওই অর্থ উপভোগ করছেন আমার জানা নেই। তাই আমার মনে হয়, এই জীবনের থেকে তো মৃত্যু ভাল।”
শিরদাঁড়া নিয়ে এই মুহূর্তে সৌমিতৃষা কুন্ডুর মন্তব্যও সমাজমাধ্যমে ঘোরাফেরা করছে। অভিনেত্রীর বক্তব্য, ট্রোলিংয়ের ভয়ে সরকার আয়োজিত কার্নিভালে না গেলে বুঝতে হবে, সেই ব্যক্তির মেরুদণ্ড নেই। এই মন্তব্যের জেরে ট্রোল্ডও হচ্ছেন অভিনেত্রী। এই প্রসঙ্গে আনন্দবাজার অনলাইনের কাছে মৈনাক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, “আমার মনে হয় ওর অল্প বয়স। ও এখনও ঠিক করে জানেই না হয়তো, কোথায় কী হচ্ছে।” নিজের মন্তব্যের প্রেক্ষিতেই তিনি পাল্টা বলেন, “অবশ্য এটা বলাও ঠিক নয়। প্রত্যেক মানুষেরই নিজের মতো কথা বলার অধিকার রয়েছে। সে কোথায় যাবে, তা তার ব্যক্তিগত রুচি, সমাজবোধ, বিবেক ও পরিচয়ের উপর নির্ভর করে।”
আরজি কর-কাণ্ড নিয়ে সমাজমাধ্যমে সরব মৈনাক। মৈনাকের কথায়, “স্বাস্থ্যই সম্পদ। শিরদাঁড়াকে তাই সুস্থ, সবল রাখা দরকার। শিরদাঁড়া সোজা রাখার জন্য প্রয়োজনীয় শরীরচর্চা করা প্রয়োজন।” এই মন্তব্যের পরেই ব্যঙ্গের সুরে অভিনেতা বলেন, “শিরদাঁড়া বিক্রি নেই। এই কথা বললেই তো কলকাতা পুলিশ ধরে নিয়ে যাচ্ছে। কেউ হয়তো শিরদাঁড়া সোজা রাখার ব্যায়াম করছেন। তাঁকে হঠাৎ কলকাতা পুলিশ ধরে নিয়ে চলে গেল। কলকাতা পুলিশ যে আইন মেনে চলে, সেখানে শিরদাঁড়া সোজা রাখা একটি বেআইনি কাজ। আমরা তো অদ্ভুত দেশে বাস করি। যখন খুশি ব্যারিকেড পড়ে যায়। আবার হাইকোর্টের বকুনি খেয়ে সেই ব্যারিকেড খুলে দিতে হয়।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy