শুধু কৌশিকী চক্রবর্তীই নন, দক্ষিণ ভারতীয় শিল্পী টিএম কৃষ্ণও ট্যাটু করিয়েছেন। ছবি: সংগৃহীত।
শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পী পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তীর মেয়ে তিনি। নিজেও যথেষ্ট পরিচিত। বাবার পথে হেঁটে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছেন শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের জগতে। দেশে-বিদেশে অসংখ্য অনুষ্ঠানে শ্রোতাদের মন ভুলিয়েছেন নিজের গায়কির মাধ্যমে। তিনি কৌশিকী চক্রবর্তী। দেশের নতুন প্রজন্মের শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পীদের মধ্যে প্রথম সারিতে নাম তাঁর। তবে এ বার এমনই এক কাজ করলেন কৌশিকী, যা তথাকথিত ভাবে শাস্ত্রীয় ঘরানার শিল্পীদের সঙ্গে একেবারেই খাপ খায় না। নিজের হাতে ট্যাটু করিয়ে তার ছবি সমাজমাধ্যমের পাতায় পোস্ট করলেন কৌশিকী চক্রবর্তী।
হাতে ‘গ্রেস’ লেখা ট্যাটুর ছবি পোস্ট করে কৌশিকী লেখেন, ‘‘গ্রেস আর মিউজ়িক, আমার জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দুই স্তম্ভ। এই দুই স্তম্ভকে আমি যতটা শ্রদ্ধা করি, ততটাই এগুলোর জন্য নিজেকে কৃতজ্ঞ মনে করি। সেই কৃতজ্ঞতার বার্তা থেকেই এই ট্যাটু।’’ তিনি আরও লেখেন, ‘‘ট্যাটু বিষয়টা আমার সব সময়ই বেশ আকর্ষণীয় বলে মনে হত। যদিও ব্যথা লাগবে ভেবে সব সময়ই একটু ভয় পেয়েছি। ট্যাটু যে মোছা যায় না, সে কথা ভেবেও পিছিয়ে এসেছি। তবে এ বার, ভালবাসা দিয়ে এই ভয়কে জয় করলাম।’’ সঙ্গে কৌশিকী জুড়ে দেন, ‘‘আমি হয়তো প্রথম কয়েক জন শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পীর মধ্যে পড়ি, যাঁদের ট্যাটু আছে। তবে আমি নিশ্চিত যে, আরও বন্ধু খুব শীঘ্রই আমার সঙ্গে যোগ দেবেন।’’
কৌশিকীর এই সাহসী পদক্ষেপকে কুর্নিশ জানিয়েছেন তাঁর অনুরাগীরা। সমাজমাধ্যমের পাতায় ছবি পোস্ট করতেই তাঁকে বাহবা ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তাঁর অগুনতি শ্রোতা। শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পীদের গতে বাঁধা ‘রীতি’ থেকে বেরিয়ে যে নিজের স্বপ্নপূরণ করেছেন কৌশিকী, তার প্রশংসা করেছেন শ্রোতা ও অনুরাগীরা। তাঁদের আশা, আগামী দিনে অন্যান্য শিল্পীও কৌশিকীর দেখানো পথে হেঁটে নিজেদের ইচ্ছে পূরণ করতে পারবেন। তবে অনেকে প্রশ্নও তুলছেন তাঁর এই ‘খেয়াল’ নিয়ে। তাঁদের দাবি, ‘ট্যাটু’ বিষয়টার সঙ্গে শাস্ত্রীয়সঙ্গীত শিল্পীর ভাবমূর্তি যায় না।
খেলোয়াড় কিংবা ফিল্ম তারকার সঙ্গে শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পীর ফারাক আছে। তবে ট্যাটু করা শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পী হিসাবে কৌশিকীই প্রথম, এমন বলা যায় না। দক্ষিণ ভারতীয় শিল্পী টিএম কৃষ্ণও ট্যাটু করিয়েছেন। টিএম কৃষ্ণ পর্বতারোহণ করেন। এখনও পর্যন্ত সর্বোচ্চ যে উচ্চতায় তিনি উঠেছেন, তা তাঁর হাতে পাহাড়ের ট্যাটু এঁকে লেখা থাকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy