আমির খান। ছবি: সংগৃহীত।
‘খান’ পদবির কারণে দেশের অন্দরে বিভিন্ন সময় ‘দেশদ্রোহী’র তকমা পেয়েছেন। তিনি যাতে পাকিস্তানে চলে যান, তেমন কথাও শুনতে হয়েছে দেশের একাংশের মানুষের কাছে। তাঁর ছবি ‘লাল সিংহ চড্ডা’ মুক্তির পর রোষের মুখে পড়তে হয় অভিনেতাকে। এ বার তিনিই ‘আদাব’ ভুলে নমস্কারের শক্তির কথা বললেন।
কিছু দিন আগে ‘দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান কপিল শর্মা’ শো-তে এসেছিলেন আমির খান। সেখানে তিনি জানান দু’হাত জোড় করে নমস্কার করার কী মাহাত্ম্য। আমির বলেন, ‘‘আমি মুসলিম হয়েও বুঝেছি নমস্কার করার মধ্যে একটা আলাদা শক্তি আছে।’’ এই উপলব্ধিটা তাঁর হয়েছে পঞ্জাবে। অভিনেতা তাঁর জীবনের অন্যতম দুটি চর্চিত ছবি ‘দঙ্গল’ ও ‘রং দে বাসন্তী’-র শুটিং করতে গিয়েছিলেন সেখানে। তখনই বুঝেছেন সেখানকার মানুষেরা তেমন কিছুই চান না, শুধু দুটো হাত জোড় করে অভিবাদন জানালেই তাঁরা খুশি।
পঞ্জাবে শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা ভাগ করে তারকা বলেন, ‘‘দঙ্গল আমার খুব কাছের একটা ছবি। এটার শুটিংয়ের জন্য দু’মাস পঞ্জাবের একটা প্রত্যন্ত গ্রামে থাকতে হয়েছিল। তখন রোজ ভোর ৫টা-৬টার সময় শুটিং শুরু করতাম। দেখতাম, ভোরবেলাই বেরিয়ে পড়েছেন সেখানকার মানুষ। তাঁরা রাস্তার পাশে ভিড় জমাতেন আমাদের স্বাগত জানানোর জন্য। নমস্কার করে ওঁরা আমায় ‘সত শ্রী অকাল’ বলতেন। আবার যখন রাতে ফিরতাম, তখন নমস্কার করে ‘শুভ রাত্রি’ বলতেন। বিন্দুমাত্র বিরক্ত করতেন না আমাদের। খুব শান্তিপূর্ণ ভাবে শুটিং করেছিলাম।’’
অভিনেতা জানান, মুসলিম পরিবারে বেড়ে ওঠার কারণে অভিবাদন জানাতে আদাবকেই বুঝতেন। কিন্তু পঞ্জাবে গিয়ে বদলে গিয়েছে সেই ধারণা। আমিরের কথায়, ‘‘মুসলিম বলে ‘আদাব’ অভিবাদন জানানোর অভ্যেস ছিল। করজোড়ে নমস্কার করার অভ্যেস খুব একটা ছিল না। হাত তুলে মাথা ঝুঁকিয়ে ‘আদাব’ বলতাম। কিন্তু পাঞ্জাবে গিয়ে নমস্কারের কী মাহাত্ম্য সেটা বুঝতে পেরেছিলাম।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy