(বাঁ দিকে) হিনা খান ও শিবাঙ্গী জোশী। সংগৃহীত।
বদমেজাজের কারণেই ধারাবাহিক থেকে বাদ পড়েছিলেন হিনা খান। এ বার তাঁকে নিয়ে মুখ খুললেন ‘ইয়ে রিস্তা কেয়া কহলাতা হ্যায়’ ধারাবাহিকের প্রযোজক রাজন শাহী। এই ধারাবাহিকের হাত ধরে রাতারাতি খ্যাতির শীর্ষে পৌঁছে গিয়েছিলেন হিনা। টানা আট বছর মুখ্য চরিত্রে (অক্ষরা) অভিনয়ের পরে চিত্রনাট্যের খাতিরে শিবাঙ্গী জোশীর চরিত্রকে (অক্ষরার মেয়ে নায়রা) ঘিরে গল্প এগিয়ে যায়। তার পরেই ধারাবাহিকের সেটে ছন্দপতন।
ধারাবাহিকটি থেকে সরে এসেছেন হিনা খান, এই খবরে তোলপাড় হয় হিন্দি টেলিদুনিয়া। সংবাদমাধ্যমকে হিনা জানিয়েছিলেন, চিত্রনাট্যে তাঁর অভিনীত চরিত্রটির আর গুরুত্ব নেই। সে রকম কোনও কাজ নেই, তাই তিনি সরে এসেছেন। তবে প্রযোজক রাজন শাহীর গলায় অন্য সুর। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বললেন, “দিন দিন সেটে হিনা খানের খামখেয়ালিপনা বেড়েই চলেছিল। একটি দৃশ্যে শিবাঙ্গীকে সমর্থন করে কয়েকটি সংলাপ ছিল। কিন্তু হিনা সেই সংলাপ বলতে রাজি হননি। আমি বলেছিলাম, নির্দিষ্ট সংলাপ বলতেই হবে। নচেৎ সেট থেকে বেরিয়ে যেতে পারেন হিনা।”
সে দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত মেকআপ ভ্যানে সময় কাটিয়েছিলেন হিনা। তার পরে সেট ছেড়ে বেরিয়ে যান। প্রযোজনার তরফে অভিনেত্রীকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, এই ধারাবাহিকে তাঁর সমস্ত কাজ শেষ। শুটিং ফ্লোরে তাঁকে আর আসতে হবে না। কিন্তু ঘটনার পরের দিন ফের শুটিং ফ্লোরে হাজির হয়েছিলেন অভিনেত্রী। শুটিংয়ে চিত্রনাট্য অনুযায়ী সংলাপ বলেছিলেন। কিন্তু তার পরেও সিদ্ধান্ত বদল করেননি প্রযোজক। ধারাবাহিক থেকে হিনার চরিত্র সরিয়ে ফেলেছিলেন এবং তাঁর সঙ্গে যোগাযোগও বন্ধ করে দিয়েছিলেন তিনি। শিবাঙ্গীকে নিয়ে কি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিলেন হিনা, উঠছে প্রশ্ন।
তবে ধারাবাহিকের টিআরপির উপরে কোনও প্রভাব ফেলতে পারেনি ঘটনাটি। প্রযোজক জানিয়েছেন, ছ’টি দৃশ্য ছেঁটে ফেলতে হয়েছিল ধারাবাহিক থেকে। তিন দিন বিরতির পরে আবারও শুটিং শুরু হয়। কাজের পদ্ধতিতে বদল আনা হয় এবং চিত্রনাট্য অনুযায়ী এগিয়ে যায় ধারাবাহিক। প্রেক্ষাপট অনুযায়ী শিবাঙ্গী তাঁর চরিত্রটি এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন এবং প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন দর্শকের কাছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy